সার্বজনীন ব্যাংকিং (Universal Banking) কি?
মানুষের প্রয়োজনে দেশের উন্নতিতে সমাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন রকমের ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে।
➡ Definition of Universal Banking (সার্বজনীন ব্যাংকিং এর সংজ্ঞা)
যে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় একটি ব্যাংক কোন কর্পোরেট ফার্মের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শেয়ার কিনে উক্ত ফার্মের মালিকানায় অংশ নিতে পারে তাকে সার্বজনীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা বলে।
✔ Investopedia তে Universal Banking এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে-
Universal banking is a system in which banks provide a wide variety of financial services, including commercial and investment services.
অর্থাৎ ইউনিভার্সাল ব্যাংকিং এমন একটি সিস্টেম যে ব্যাংক বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সেবাসহ বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সেবা সরবরাহ করে।
✔ Business Dictionary তে Universal Banking এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে-
A type of banking that combines the aspects of both investment banking with commercial banking, thus allowing these banks to offer a much wider variety of financial options to their customers.
অর্থাৎ বাণিজ্যিক ব্যাংকিংয়ের সাথে বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ের উভয় দিককে সমন্বিত করে এমন ব্যাংকিংয়ের একটি ধরন, এই ব্যাংকগুলিকে তাদের গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন ধরণের বৈচিত্র্যপূর্ণ বিকল্প অফার দিয়ে থাকে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এ ব্যাংক ব্যবস্থায় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্পোরেট ফার্মের বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নীতিমালা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ব্যাংক তার বিনিয়োজিত ফার্মকে দুটি দৃষ্টিকোণ হতে পর্যবেক্ষণ করতে পারে-
১) পাওনাদার হিসেবে; ও
২) মালিক বা পরিচালক হিসেবে।
সার্বজনীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা বর্তমানে জার্মানিতে প্রচলিত রয়েছে। তাই একে জার্মান সার্বজনীন ব্যাংকিং ব্যবস্থাও বলে। তাছাড়া বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাংক পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে নীতি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করে বিধায় একে সম্পর্কযুক্ত ব্যাংকিং বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
এ ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ ব্যাংকিং কে আলাদাভাবে বিবেচিত করা হয় না। অর্থাৎ যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক সকল ধরনের বিনিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ব্যবসায়িক কার্যাবলীতে সম্পৃক্ত হতে পারে।
তাছাড়া যে কোন বিনিয়োগ ব্যাংক এরূপ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সকল ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং এ অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এ সকল ব্যাংক সিকিউরিটিজ কোম্পানির কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারে।