ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ কর্মকর্তা ছাটাই
ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ কর্মকর্তা ছাটাই – সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পর এবার কর্মকর্তা ছাঁটাই করল ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকার সময় চাকরি পাওয়া ২৬২ জন কর্মকর্তাকে বর্তমান পর্ষদ চাকরিচ্যুত করেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর, ২০২৪) ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. কবিরুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতরা ট্রেইনি অ্যাসিসট্যান্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায় বলে জানা গেছে। চিঠির সূত্রে জানা যায়, তারা গত এপ্রিল মাসে যোগদান করেছিলেন।
আরও দেখুন:
◾ ২০২৫ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা
এর আগে একই কায়দায় ১ নভেম্বর থেকে চাকরির অবসান ঘটে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৬শ’র মত কর্মকর্তার। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র পাওয়া সাড়ে ৩শ’ কর্মকর্তাকে এসএমএসের মাধ্যমে গত ১৯ আগস্ট জানিয়ে দেয়া হয়, তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকেও শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে, যাদের অধিকাংশের বাড়ি চট্টগ্রামে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
চাকরিচ্যুতরা বলছেন, আগের পরিচালনা পর্ষদের ক্ষোভ তাদের উপর মেটানো হচ্ছে। যা কখনো কাম্য নয়। তাছাড়া যারা ইতোমধ্যে ব্যাংকে যোগদান করে চাকরিচ্যুত হয়েছেন- তাদের অনেকে আগে অন্য জায়গায় চাকরি করতেন। এখন তারা দুকূল হারিয়ে বিপদে পড়েছেন। এছাড়া অনেকের ব্যাংকে চাকরি হওয়ায় তারা বয়স থাকতে অন্য কোথাও চাকরির জন্য আবেদন করেননি বা পরীক্ষা দেননি। এখন তাদের বয়সও চলে গেছে। তাহলে এখন তাদের কী হবে?
চাকরি হারানো ব্যাংকাররা ইতোমধ্যে চাকরি ফিরে পেতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, তাদের অধিকাংশই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা। কিন্তু তাদেরকে এমনভাবে হেয় করা হচ্ছে, যেন তাদের কোনো যোগ্যতাই নেই। তারা বলছেন, যদি অযোগ্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে বর্তমান পর্ষদের মনে হয়, তাহলে তারা যেন আবার সনদ যাচাই-বাছাই করেন।
তাছাড়া পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ নিয়ে পর্ষদের আপত্তি থাকলে তারা যেন আগে ছাঁটাই না করে পরীক্ষা নেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে তারা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানান। তারা আনুরোধ করেন, এভাবে একের পর এক ব্যাংক থেকে প্রতিহিংসার বশঃবর্তী হয়ে যেন ছাঁটাই করা না হয়। তারা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।