AML এবং CFT প্রতিরোধে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে করণীয়
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়ে থাকে। এজন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। নিম্নে AML এবং CFT প্রতিরোধে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
– প্রতিটি লেনদেনের (জমা বা উত্তোলন) সময় গ্রাহকের ঘোষিত লেনদেনের মাত্রা (Transaction Profile) এর আওতায় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনে সাথে সাথে Transaction Profile (TP) হালনাগাদ করে নেয়ার ব্যবস্থা করা।
– বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি বা দেনা-পাওনার সাথে সম্পর্কিত হলেও গ্রাহকের ঘোষিত লেনদেন মাত্রার Transaction Profile (TP) আওতায় রয়েছে কিনা তা দেখা এবং প্রয়োজনে সাথে সাথে Transaction Profile (TP) হালনাগাদ করে নেয়া।
– কোন হিসাবে পেশা বা আয়ের সাথে সংগতিহীন লেনদেন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
– সাধারণ লেনদেন এর চেয়ে বড় অঙ্কের কোন লেনদেন হলে এর প্রমাণ হিসেবে কপি সংগ্রহ করা।
– কোন হিসাবে দৈনিক অনলাইন বা অফলাইনে নগদ ১০ লক্ষ বা ততোধিক লেনদেন হলে গ্রাহকের KYC ও TP সহ ছবি সম্বলিত প্রমাণ বা পরিচিতি (জাতীয় পরিচয়পত্র, হালনাগাদ পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স) বিদ্যমান আছে কিনা তা দেখা। প্রয়োজনে সাথে সাথে তা নেয়ার ব্যবস্থা করা।
– অনলাইনে লেনদেনের (জমা বা উত্তোলন) ক্ষেত্রে ব্যক্তি বাহক হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কোন হিসাব আছে কিনা তা যাচাই করা, থাকলে হিসাবধারীর হিসাব নম্বর এবং শাখার নাম উল্লেখ করে স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তা প্রত্যায়ন করে নিবেন।
– অনলাইনে লেনদেনের (জমা বা উত্তোলন) ক্ষেত্রে ব্যক্তি বাহক হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কোন শাখার হিসাবধারী না হলে গ্রহণযোগ্য কোনো পরিচিতি ও অর্থের উৎস এবং উদ্দেশ্য উল্লেখপূর্বক অথবা Short KYC Form পূরণ করে ভাউচারের সাথে জমা দিবেন।
– অনলাইনে ঘনঘন লেনদেনের (জমা বা উত্তোলন) ক্ষেত্রে হিসাবের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য গ্রাহককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
– লেনদেন সন্দেহজনক মনে হলে সাথে সাথে BAMLCO কে অবহিত করতে হবে।
অন্যান্য লেনদেনের ক্ষেত্রে করণীয়
– TT, DD বা পে অর্ডার ইস্যুর ক্ষেত্রে হিসাবধারী ব্যতিরেকে আবেদনকারীর Short KYC Form নেয়া।
– পুরাতন বা অনিয়মিত হিসাবধারীর কোন সেবা প্রদান কালে মোবাইল নম্বরসহ হিসাবের তথ্যাবলী হালনাগাদ করা।
– প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে AML এবং CFT বিষয়ক নির্দেশক (৪১) পরিলক্ষিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
– আমদানি-রপ্তানি কালে Under Invoice বা Over Invoice হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
– বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহন কালে ঘোষিত বিনিয়োগের খাত বা উদ্দেশ্যের বিপরীতে অন্য খাতে Fund Transfer হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
– Guidelines for Foreign Exchange Transactions অনুসরণ করা।