ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের আগে গ্রাহককে জানাতে হবে
যে কোন ধরনের হিসাব ডরম্যান্ট হিসাব (Dormant Account) হিসেবে চিহ্নিত করার একমাস আগে গ্রাহককে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা, ইমেইল, পত্র যোগাযোগ, ব্যাংকের নিজস্ব রিলেশনশিপ অফিসার বা অন্য যে কোন মাধ্যমে উক্ত হিসাবধারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রাহককে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একেক ব্যাংক গ্রাহককে একেক ধরনের নির্দেশনা দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে একই নির্দেশনা পরিপালনের নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে। যা অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-২৩) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন ব্যাংক ডরম্যান্ট হিসাব (Dormant Account) পরিচালনার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করছে, যা গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে এবং গ্রাহকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এছাড়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংক স্থগিত হিসাবে সুদ বা মুনাফা দিলেও বিভিন্ন ধরনের চার্জ কাটছে। এসব বিষয় বিবেচনায় স্থগিত হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো- ইসলামিক ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংকের চলতি, শর্ট নোটিশ ডিপোজিট (এসএনডি) এবং সঞ্চয়ী হিসাব যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন সর্বশেষ লেনদেন বা হিসাব বিবরণীর সর্বশেষ প্রাপ্তি স্বীকার বা উক্ত বিবরণীর জন্য সর্বশেষ অনুরোধের তারিখ থেকে অন্যূন ৬ মাস গ্রাহক কোন প্রকার লেনদেন না করলে, সেসব হিসাবকে অপ্রচলিত হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব হিসাবকে অপ্রচলিত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর নিম্নবর্ণিত সময় অতিক্রান্ত হলে তা স্থগিত হিসাব বলে গণ্য করা হবে।
ক) চলতি হিসাব: অন্যূন ০৬ (ছয়) মাস;
খ) এসএনডি হিসাব: অন্যূন ০৬ (ছয়) মাস;
গ) সঞ্চয়ী হিসাব: অন্যূন ১৮ (আঠারো) মাস। তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, নাবালক এবং আদালতের অর্থ সংক্রান্ত হিসাব ডরম্যান্ট হিসেবে গণ্য হবে না।
সার্কুলারের উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে, লেনদেন বলতে চেক, গ্রাহকের ডেবিট নির্দেশনা, ডেবিট বা এরূপ কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা যে কোন অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে হিসাবের লেনদেনকে বুঝাবে। এক্ষেত্রে হিসাবসমূহে প্রদেয় সুদ বা মুনাফা এবং চার্জ ও এক্সাইজ ডিউটি বা ভ্যাট আরোপ করা হলেও তা লেনদেন হিসাবে গণ্য হবে না। স্থগিতকৃত যে কোন চলতি, এসএনডি এবং সঞ্চয়ী হিসাবের উপর প্রযোজ্য সুদ বা মুনাফা গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে উক্ত হিসাবে প্রদান করতে হবে এবং এর উপর প্রযোজ্য চার্জ বা এক্সাইজ ডিউটি বা ভ্যাট নির্ধারিত সময়ে কর্তন করা যাবে।
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
ডরম্যান্টকৃত চলতি, এসএনডি এবং সঞ্চয়ী হিসাব পুনরায় পরিচালনা করার লক্ষ্যে গ্রাহক কর্তৃক শাখা ব্যবস্থাপকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদনে যাচিত চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক কর্তৃক স্থগিত হিসাব সক্রিয় বা চালুকরা যাবে। তবে, উক্ত হিসাবটি লেনদেনবিহীনভাবে ৫বছর অতিক্রান্ত হলে পরিচালনার জন্য নতুনভাবে কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে। ডরম্যান্ট হিসাব নতুনভাবে চালু করার ক্ষেত্রে কোন চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না।
এছাড়া উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এই নির্দেশনা অবিলম্বে ব্যাংকগুলোকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।