বাংলাদেশ ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্ভাবনী পদক্ষেপই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদঃ কেইনসীয় নীতির ওপর ভিত্তি করে সামষ্টিক চাহিদা ব্যবস্থাপনা নীতি কিংবা ‘মুদ্রাবাদী অ্যাপ্রোচ’ (মনিটারিস্ট) অনুসরণপূর্বক মুদ্রা সরবরাহের পরিমাণের ওপর লক্ষ্য স্থির রাখার বিষয়ে মতদ্বৈধতার দিন শেষ। নাজুকতা ও অনিশ্চয়তার ক্রমপরির্বতনশীল পরিস্থিতিসহ কভিড-১৯ মহামারীর নজিরবিহীন সময়ে প্রধান রাষ্ট্রীয় নীতিগুলো, বিশেষ করে রাজস্ব ও মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে গতানুগতিক নীতি গ্রহণের সময় এখন নয়।

বাংলাদেশে এটি আরো বেশি প্রয়োজন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায়ও আমাদের দেশ সন্তোষজনকভাবে নৈপুণ্য দেখিয়েছে এবং বর্তমানে অর্থনীতিতে বিরাজমান বহিঃস্থ ও অভ্যন্তরীণ অভিঘাত মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ায় প্রত্যয়ী। এ অবস্থায় মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি।

সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে মুদ্রানীতি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হাতিয়ার। মুদ্রানীতিবিষয়ক বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণার মাধ্যমে মুদ্রা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মুদ্রা সরবরাহ, ঋণপ্রবাহ টার্গেট, উপকরণ এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কে নিজ অবস্থান পরিষ্কার করে। ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এমপিএস সাধারণত প্রতি ছয় মাসের জন্য ঘোষিত হয়। প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একবার এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরেকবার। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রমও রয়েছে, যখন বছরে একবার এমপিএস ঘোষিত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য গত জুলাইয়ে সর্বশেষ এমপিএস ঘোষিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি পর্যালোচনা এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ প্রয়োজন বিবেচনায় নীতি বিবৃতির সমন্বয় বা পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান কিছু চলকে কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কিছু তথ্য পর্যালোচনা করা যাক। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাত ও রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য উদ্যোগগুলোয় ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে প্রায় ২৬ শতাংশ এবং ১৪ শতাংশ, যেখানে একই সময়ে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ব্যক্তি খাত প্রকৃত প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও আয় সৃষ্টির চালিকাশক্তি হওয়ায় এটি মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। গত নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা সরবাহের পরিবর্তে মূলত চাহিদাচালিত। আবার এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পণ্যদামের কিছু প্রভাবও ছিল। এখন সার্বিকভাবে শ্রেণীকৃত ঋণ প্রায় ৯ শতাংশ। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিশেষায়িত ও উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণীকৃত ঋণের হার অনেক বেশি।

কভিড-১৯-এর অভিঘাত মোকাবেলায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ (যা আমাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ) ঘোষণা ছিল সরকারের একটি ভালো পদক্ষেপ, যদিও অনেক দেশে এ ধরনের প্যাকেজগুলো আমাদের জিডিপির অংশের চেয়ে লক্ষণীয় বেশি ছিল। কিন্তু প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন—যা ঋণভিত্তিক ও ব্যাংকমুখী ছিল—বেশ ধীর ও অসন্তোষজনক। বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুব কমই সুফল পেয়েছে। এমনকি কৃষি খাতেও (শস্য উৎপাদন, মত্স্য, গবাদিপশু এবং অন্যান্য) অর্থছাড় ধীর ও অপর্যাপ্ত ছিল।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় উল্লম্ফন ঘটে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্সপ্রবাহ ছিল সন্তোষজনক এবং পোশাক খাতের কিছু প্রতিষ্ঠান বেশ ভালো করেছে। কিন্তু এখন পুরো পোশাক খাতই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রধানত আন্তর্জাতিক বাজারে অভিঘাতের কারণে রফতানি পণ্যগুলো তেমন ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি। মোটামুটি এই হলো দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার সার্বিক দৃশ্যপট।

আবারো এ প্রেক্ষাপটে আমাদের মুদ্রানীতি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সঠিক নির্দেশনায় প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্য অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। অতএব, দেশের মুদ্রানীতি গতানুগতিক ‘সম্প্রসারণমূলক’ কিংবা ‘সংকোচনমূলক’ থেকে অগতানুগতিক, বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি সংবেদনশীল এবং বাস্তবায়নযোগ্য নীতির দিকে চালিত হওয়া উচিত।

চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে এমন নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা একটি গতানুগতিক বাজেট পেয়েছি। সময়ের বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতি ছিল সম্প্রসারণমূলক, বিশেষ করে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর প্রেক্ষাপটে।

ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো সঠিক ছিল। ব্যাংক হার ৫ থেকে ৪ শতাংশে কমানো হয়েছিল। সিআরআর ৪ শতাংশে হ্রাস করা হয়েছিল, রেপো হার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রিভার্স রেপো রেট ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ কমানো হয়েছিল। আরো বড় ব্যাপার এসএলআর যৌক্তিকভাবে ১৩ শতাংশের কম ছিল।

এসব পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পুনঃঅর্থায়নের স্কিম ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমানত হার ৬ শতাংশ এবং ঋণ হার ৯ শতাংশে নির্ধারণ এবং সঞ্চয় হার বৃদ্ধির বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোর তারল্য স্ফীতি ঘটেছে, যা মোটেই ইতিবাচক লক্ষণ নয়।

বড় সংস্কার, আর্থিক খাত (ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মূলধন বাজার) পুনরুজ্জীবিত করার সময় এসেছে। একই সঙ্গে আর্থিক মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর ভূমিকা আর্থিকভাবে বাদ পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় করতে হবে এবং হেজিং, ফ্যাক্টরিং ও সিকিউরিটাইজেশনের মতো আরো উদ্ভাবনমূলক আর্থিক সেবা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি কিছু দিকের কথা উল্লেখ করব, ভবিষ্যৎ অবস্থান এবং আর্থিক খাতের নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যা বিবেচনায় নিতে পারে।

এক. এক বছর নয়, মুদ্রানীতি ষাণ্মাসিক হওয়া উচিত, যেহেতু অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে জোরালো পরিবর্তন ঘটছে।

দুই. নীতি টার্গেট হিসেবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মাত্রাতিরিক্ত জোর না দিয়ে মূল্যস্ফীতি এবং প্রবৃদ্ধির টার্গেট আর্থিক, রাজস্ব এবং রফতানি, শিল্প ও বিনিয়োগের মতো অন্য খাতের নীতিগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্জন সহায়ক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিন. নীতি হারগুলো সময়ে সময়ে পর্যালোচনা এবং ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিনিয়োগ চাহিদার অনুপস্থিতি এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে সুযোগের ঘাটতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংককে তারল্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নীতিগুলোর ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে।

চার. বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থাপনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় বাজারের পরিচালনা বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রকৃত বিনিময় হার (রিয়ার) ও গাণিতিক বিনিময় হার (নিয়ার) দুটোর মধ্যকার সম্পর্ক এবং আমাদের নিয়ারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে মৌলিক ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ঘিরে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, অন্য হার্ড কারেন্সি এবং ডলার থেকে নিজ মুদ্রা রেনমিনবি বিযুক্ত করতে চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশ উপেক্ষা করতে পারে না।

বাংলাদেশ ব্যাংককে অর্থনীতির ওপর কভিড ১৯-এর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা, অবিচার ও অসমতা দূরে নজর দিতে হবে। কারণ শুধু প্রবৃদ্ধিতে নজর প্রদান কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক ও প্রান্তিক মানুষের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর প্রাধিকারগুলো বিচ্যুত করেছে।

উল্লিখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু মৌলিক বিষয় উল্লেখ করতে চাই, যা মুদ্রানীতি এবং গাইডলাইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ এ ইস্যুগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মুদ্রানীতির ‘ট্রান্সমিশন মেকানিজম’। এটি হলো ব্যক্তি/পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সামষ্টিক নীতির প্রভাব। একটি মধ্যবর্তী পর্যায় আছে, যার মধ্য দিয়ে সামষ্টিক নীতি কাজ করে। এটিকে বলা হয় ‘মেসো লেভেল’ (মধ্যবর্তী পর্যায়)। এ পর্যায়ে বাজার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের ব্রোকারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বিএসইসির মতো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর মতো প্রমোটিং এজেন্সিগুলো অন্তর্ভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে কাজ না করলে কোনো মুদ্রানীতি বা রাজস্বনীতি-সংক্রান্ত পদক্ষেপ জনসাধারণ এবং বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর কার্যকর ও ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারবে না।

দ্বিতীয়ত, এখন আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো কাঠামোগত সংস্কার। আগেই উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশে ‘প্রতিষ্ঠানের’ সমস্যা রয়ে গেছে (যে সংজ্ঞায় তা ব্যবহূত হোক না কেন)। সেগুলোর জরুরি সংস্কার দরকার। আমাদের পণ্য ও সেবা বাজারগুলো আন্তর্জাতিক প্রভাব-অভিঘাতে এখন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, বিশ্বায়ন এবং কভিড-১৯ মহামারীর কারণে যা আরো তীব্রতর হয়েছে। সেজন্য এই সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

তৃতীয়ত, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা, উচ্চ খেলাপি ঋণের ঝুঁকি, দুর্নীতি এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় জবাবদিহিতার ঘাটতি সৃষ্ট পরিস্থিতি। চতুর্থত, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ঋণগ্রহীতাদের দুর্বল সুরক্ষা, প্রশাসনিক নির্দেশনা ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা ব্যতিরেকে ঋণ ও আমানত পরিচালনা, ব্যাংকগুলোয় এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর অন্যায্য প্রভাব সৃষ্টি। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধান না হলে দেশকে দ্রুত সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

পরিশেষে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক, মুদ্রানীতির প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগলেও এটি পুঁজিবাজারসহ আর্থিক খাতে মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ নীতি। উদ্ভাবনী ও যুগোপযোগী মুদ্রানীতি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত দেশের দ্রুত, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রূপরেখা বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা রাখা।

লেখকঃ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button