উপশাখা ব্যাংকিং বনাম এজেন্ট ব্যাংকিং
মিল্টন রয়ঃ উপশাখা ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং দুটোই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অন্যতম মাধ্যম। দুটোই গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। অনেকেরই ধারণা- উপশাখা ব্যাংকিং চালু করার মাধ্যমেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজটি সম্পূর্ণভাবে করা সম্ভব অর্থাৎ এজেন্ট ব্যাংকিং এর আর প্রয়োজনীয়তা নাই। ব্যবসা সফলতার কথা বিবেচনা করলে দেখা যাবে, উপশাখা নিয়ে ব্যাংকগুলো সর্বোনিম্ন উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারবে।
এর নীচে (যেমন- ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলো কিংবা গ্রামের ছোট ছোট পকেট বাজারগুলোতে) যেতে গেলে ব্যাংকগুলো খরচের তুলনায় আয়ের ভারসাম্য হারাবে অর্থাৎ ব্যাংকগুলো ব্যবসা সফল হতে পারবে না। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতো কিংবা গ্রামের ছোট ছোট পকেট বাজারগুলোতে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে গেলে এজেন্ট ব্যাংকিং এর কোন বিকল্প নেই। এতে করে ব্যাংকের স্থাপনা ব্যয় যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি অন্যদিকে পরিচালনা ব্যয়ও বহুলাংশে সাশ্রয় হবে পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মূল উদ্দেশ্যও হবে বাস্তবায়ন।
মোদ্দা কথায় বলা যায়- এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপশাখা ব্যাংকিং একে অপরের বিরোধী নয় বরং একে অপরের সম্পূরক। শাখা সাপোর্টেড উপশাখা আর উপশাখা সাপোর্টেড এজেন্ট আউটলেট হবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সর্বোৎকৃষ্ট মডেল। তবে, এই ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ক্লাস্টার ভিত্তিতে এগোতে হবে।
এতে করে, ব্যাংকগুলো অল্প সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী একটি বড় রকমের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবে; ফলে বাড়বে গ্রাহকের সংখ্যা আর ব্যবসা সফলতার সাথে সাথে ছড়িয়ে পরবে ব্যাংকের পরিচিতি ও সুনাম।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
লেখকঃ মিল্টন রয়, হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন এন্ড ফরেন রেমিট্যান্স ডিপার্টমেন্ট, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড।