ডিজিটাল ডিভাইস কিনতে ঋণ দেবে ব্যাংক
ভোক্তা ঋণের আওতায় ডিজিটাল ডিভাইস (ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদি) কেনার জন্য ৭০:৩০ অনুপাতে ঋণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ভোক্তার কাছে ৩০ টাকা মূলধন রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ জুলাই, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৪) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উক্ত সার্কুলারে ০৩ নভেম্বর ২০০৪ তারিখে জারিকৃত Prudential Regulations for Consumer Financing সংক্রান্ত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৭ এবং ২২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩ এর প্রতি ব্যাংকসমূহকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলা হয়েছে।
উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান থাকায় শিক্ষক বা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও সরকারের রূপকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল অভিগমন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ মানবসম্পদ উন্নয়নে আইসিটি খাতে অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এতে আরও বলা হয়, বর্ণিত প্রেক্ষাপটে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, ভোক্তা ঋণের আওতায় গ্রাহকের অনুকূলে ডিজিটাল ডিভাইস (ল্যাপটপ/ মোবাইল/ কম্পিউটার/ ট্যাব ইত্যাদি) ক্রয় বাবদ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঋণ-মার্জিন অনুপাত ৩০:৭০-এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৭০:৩০ অনুপাত অনুসরণ করা যাবে।
উক্ত সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের Prudential Regulations for Consumer Financing, 2004 ও তদসংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সার্কুলার বা সার্কুলার লেটারসমূহে বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশাবলী পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ অর্থ ব্যবস্থাপনার পাঁচ পরামর্শ
◾ ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ জরুরি
◾ অর্থনৈতিক লেনদেনে ধোঁকা ও প্রতারণা
◾ নিম্ন সুদহার নীতি আর উচ্চ সুদহার ঝুঁকির চক্রে ব্যাংক
◾ বিধ্বংসী পুঁজিবাদের বিকল্প কি?