মানবসম্পদ না বোঝা…চাকরি পরিবর্তনের সাতকাহন
সৈয়দ আব্দুর রাকিবঃ মানবসম্পদ না বোঝা…চাকরি পরিবর্তনের সাতকাহন- অনেকের কাছেই বিষয়টি হাস্যকর। মানবসম্পদ এর নাম শুনেছি মানবসম্পদ না বোঝা এটি আবার কি? ব্যাখ্যা দিচ্ছি। অনেক কর্মীই আছে যিনি খুব ভালো মানুষ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট পান্ডিত্য কিন্তু সঠিকভাবে প্রেজেন্ট করতে জানেন না। দুই বা তিনটি বিষয় একসাথে এলে এলেমেলো করে একেবারে ভজগট পাকিয়ে ফেলেন অথবা অনেক বেশি সময় নেন।সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এরকম কর্মীরা ক্যারিয়ার এর একটা জায়গায় যেয়ে আটকে যায়।আর এগুতে পারেনা। ম্যানেজমেন্ট তাদের উপর বড় দায়িত্ব অর্পণ করতে দ্বিধায় ভোগে।
নতুন চাকরিতে আবেদন করবেন? সার্কুলারে যা চেয়েছে সেই অভিজ্ঞতাও আছে। এই ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করবেন না। সার্কুলার এ কি চেয়েছে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। একবার দুইবার একাধিকবার। নিজের সিভিটাকে ঘষামাজা করুন।যদি আসলেই যোগ্য হোন তবেই আবেদন করুন। আপনার অভিজ্ঞতা এক বিষয়ে, লোক চেয়েছে অন্য বিষয়ের সেখানে অযথা আবেদন করে কনফিডেন্ট দেখাতে যাবেন না।
আরও দেখুন:
◾ রাষ্ট্রের সুষম উন্নয়নে ব্যাংকারদের ভূমিকা
অযথা তথ্য দিয়ে সিভির পৃষ্টা ভর্তি করবেন না। আপনার সিভি সর্বোচ্চ দুই পৃষ্টাতে সীমাবদ্ধ রাখুন। আমি তিন/চারজন ব্যাংকের এমডি স্যারের সিভি দেখেছি দুই থেকে তিন পৃষ্টায় সীমাবদ্ধ। অথচ উনাদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা ২০-২২ বছরের অধিক….
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
স্বাক্ষর বিহীন সিভি কোথাও পাঠাবেন না। এমনকি ইমেইলেও না। যেকোনো জায়গায় সিভি দিতে PDF ফরমেটে দিবেন এতে ফন্ট ভেংগে যাবেনা।
অনেকেই আছেন সিভিতে সেই বহু বছর আগের কলেজ বা ইউনিভার্সিটি লাইফে তোলা একটি ছবি জুড়ে দেন। যার সাথে আপনার বর্তমান চেহারার কোন মিল নাই। এটি করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার পেশার সাথে একেবারেই সংশ্লিষ্ট না এমন বিষয় সিভিতে না আনাই ভালো।
অনেকেই আছেন নতুন চাকুরীর আবেদনে কত টাকা স্যালারি বাড়িয়ে চাইবেন সেটি নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। অতিরিক্ত বেশি চাইলে বাছাই পর্বেই অনেক সিভি বাতিল হয়ে যায়। আর আপনাকে যদি বোর্ডের পছন্দ হয়েই যায় সেটি আপনি ইন্টারভিউ বোর্ডেই টের পাবেন। তখন আপনি ডিমান্ড করতে পারেন যে এত হলে আসব নয়তো নয়।
কোন প্রতিষ্ঠানে সবকিছু মিলে গেলে সেখানে কমিটমেন্ট দিলে সেটিকে অবশ্যই রাখতে হবে। অনেকেই আছেন কথা দিয়ে কথা রাখেন না। তাদেরকে পরবর্তীতে কেউ সহযোগিতা করেন না। তারা একটি সময় বৃত্তের বাইরে চলে যায় পরবর্তীতে তাদের আকুল আবেদনেও কেউ আর সাড়া দেয়না।
মনে রাখবেন ইন্টারভিউ বোর্ড এ আপনি খুব অল্প সময় পাবেন নিজেকে প্রমান করার। সেখানে নার্ভাস হওয়া যাবেনা। যখন আপনি একটি জবে আছেন তখন মাথায় রাখবেন আপনার হারানোর কিছু নেই… ভুল তথ্য দেয়া থেকে পুরোপুরি বিরত থাকুন। সব ব্যাংকেই সবার পরিচিত লোক আছে আর এক HR এর সাথে অন্য HR এর বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। ভুল তথ্য দিলে ধরা পড়ে যাবেন। তখন সবকিছু ঠিক থাকলেও চাকরি হবেনা।
লেখকঃ সৈয়দ আব্দুর রাকিব, হেড অফ এজেন্ট ব্যাংকিং বিজনেস, এবি ব্যাংক লিমিটেড