ব্যাংকারদের পদোন্নতিতে শর্ত ও ব্যাংকিং ডিপ্লোমার আবশ্যকতা
মুহাম্মদ শামসুজ্জামানঃ ব্যাংকারদের পদোন্নতিতে শর্ত ও ব্যাংকিং ডিপ্লোমার আবশ্যকতা – এখন থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নীতিমালায় নতুন শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালায় শর্তানুযায়ী, ব্যাংকারদের পদোন্নতি তথা ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে হলে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রমে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়, এমন কর্মকর্তাদের জন্য এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকিং ডিপ্লোমা: আইবিবির আয় বাড়ানোর দায় ব্যাংকারদের ঘাড়ে
আগে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকে কর্মরত অফিসার ও সমমানের পদ থেকে মহাব্যবস্থাপক ও সমমানের (প্রধান নির্বাহীর অব্যবহিত নিচের এক স্তর ব্যতীত অন্যান্য সকল কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) পদ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত মোট নম্বরের মধ্যে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা (জেএআইবিবি ও এআইবিবি) পরীক্ষায় পাশের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দ রাখতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
নতুন জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ খাতে মৌলিক ব্যাংকিং জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। ব্যাংকিং আইন ও নিয়মাচার অনুশীলন সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার একটি মানদণ্ড হলো দ্য ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি) কর্তৃক পরিচালিত দুই পর্বের (জেএআইবিবি ও এআইবিবি) ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার পাঠ্যক্রম ব্যাংকিং বিষয়ক যাবতীয় তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্তপূর্বক প্রণীত হয় যেখানে জেএআইবিবি পরীক্ষায় ব্যাংকিং সম্পর্কিত প্রাথমিক ও মৌলিক জ্ঞান এবং ডিএআইবিবি পরীক্ষায় উচ্চতর ব্যাংকিং জ্ঞান ও দক্ষতা যাচাই করা হয়। উল্লেখ্য, জেএআইবিবি ও ডিএআইবিবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা সনদ প্রদান করে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিনিয়র অফিসার অথবা সমতুল্য পদের পরবর্তী সব পদে পদোন্নতির যোগ্যতার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা উভয় পর্ব পাশ বাধ্যতামূলক করা হলো। তবে, ব্যাংকিং কার্যক্রমে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয় যেমন :ডাক্তার, প্রকৌশলী (পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িেকৗশল ও আইটি প্রফেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা) এবং প্রচার-প্রকাশনা পদে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
এই নির্দেশনা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর জারি করা বিআরপিডি ১৮ এর নির্দেশনা রহিত করা হলো। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই যে ব্যাংকের মত বিশেষায়িত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পেশাগত দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। সরকারী ও প্রাইভেট ব্যাংকে প্রতিবছর অনেক পোস্ট গ্রাজুয়েটের চাকুরীর সূযোগ মেলে। এরা সাধারণ শিক্ষিতই বেশী কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত। অবশ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়োগ বিধিতে কিছু কিছু ব্যাংক মৌলিক বানিজ্য বিষয়াদিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এমবিএ, এমবিএম কিংবা একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ব্যাংকিং এন্ড ফিন্যান্স এর মধ্যে অন্যতম। সুতরাং এই নভিসদের ব্যাংকিং শেখা আবশ্যক বিবেচনায় ডিপ্লোমার যৌক্তিকতা থাকতেই পারে, পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন বলে কথা। কিন্ত আমার অবজারভেশন ভিন্ন। যারা ডিপ্লোমাধারী তারা আসলেই কি ডিপ্লোমাহীনদের থেকে কর্মে বেশী পারংগম? কোন পরিসংখ্যান কি আছে? পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে একটি ইন্সস্টিটিউট আছে। তারাই সব আয়োজন করেন। বছরে দু’বার পরীক্ষা হয়, অবশ্য সব সাবজেক্টই ছুটির দিনে।
আমি জীবনে একবার শিক্ষানভিশ থাকাকালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সে ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রামে। হলভর্তি ব্যাংকার। সোনালী, রুপালী, কৃষিসহ সব ব্যাংকেরই কর্মকর্তা আছেন, বয়স্ক ও নবীন, পুরুষ ও নারী। পরীক্ষার হলেই উচ্চস্বরে চেঁচামেচি হচ্ছে, নকল চলছে, পূরোদস্তর গাইড বই খুলে। ছাত্রজীবনে কোনদিন এমন দৃশ্য দেখিনি। কক্ষে যিনি ইনভিজিলেটর তিনি ঐ স্কুলের সম্মানিত শিক্ষক। তিনি বারবারই বুড়ো ছাত্রদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন কিন্ত ব্যর্থ হয়ে চুপচাপ বসে গিয়েছেন। মেয়েরা বলছে, স্যার আমাদের অনেক বছর চাকরি, প্রমোশন হয়না। স্বামীরা বলে এ চাকরী করে লাভ কি? ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমার একজন এক্স কলিগ লিখেছেন- ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা নিয়ে বেশ হতাশা কাজ করে ব্যাংকারদের মধ্যে; বিশেষ করে বেশির ভাগ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকে অনেকাংশেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাশের উপরে প্রমোশন নির্ভর করে। আবার ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বেশির ভাগ সাবজেক্ট বাণিজ্য বিভাগের হওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয় বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর শেষ করা ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য। এছাড়া খুব ভালো লেখার পরও বারবার ফেল করানোর মতো অভিযোগও আছে ব্যাংকারদের; বিশেষ করে বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স/ মাস্টার্স শেষ করা অনেক ব্যাংকারকেই ডিপ্লোমা পরীক্ষাতে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টে পাশ করতে কয়েকবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে! আর এ কারণেই হতাশ হতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা পরীক্ষার দুই পার্টে পাশ করা না থাকলে প্রমোশন হচ্ছে না অনেক দক্ষ ব্যাংকারদের। অথচ সবাই তাদের উচ্চশিক্ষা শেষ করে মেধার স্বাক্ষর রেখে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করে থাকে।
তিনি আরো বলেছেন- আইবিবি কর্তৃক গৃহিত এই ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার মানদন্ড যথেষ্ট পরিমাণ অস্বচ্ছ এবং খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ। এই পরীক্ষায় মূল পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখে কেউ পাশ করে অথচ যার খাতা থেকে কপি করা হয়েছে তিনিই ফেল করেন। এমন অসংখ্য সহকর্মীকে পেয়েছি যিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিংয়ে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ অথচ ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় তিনি ঐ বিষয়েই অকৃতকার্য। সঙ্গত কারণে প্রশ্ন জাগে আইবিবি’র পরীক্ষার মান কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়েও উন্নত?
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা হয়েছে ডিজিটালাইজড। ম্যানুয়াল ব্যাংকিং বিদায় নিয়েছে, অনলাইন ব্যাংকিং সবার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে।
বর্তমান যুগে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে লেগেছে আধুনিকায়নের ছোঁয়া; কিন্তু ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা থেকে গেছে সেই পুরোনো ধারায়! যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটির আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে; বিশেষ করে তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলো কতটা প্রয়োজনীয়-এ বিষয়ে ভাবার সময় হয়েছে নীতি-নির্ধারকদের।
গত কয়েক বছরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বেশ পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষাগুলো হচ্ছে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে। অর্থাৎ সেখানে সরাসরি বই পড়ে উত্তর লেখার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা দিয়ে লেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অথচ ব্যাংকাররা সবাই উচ্চশিক্ষার লেভেল পার করে চাকরিতে এলেও তাদের আবার তাত্ত্বিক বিষয়ে ১২টি সাবজেক্টের লিখিত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে!
ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা নিয়ে বেশ হতাশা কাজ করে ব্যাংকারদের মধ্যে; বিশেষ করে বেশির ভাগ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকে অনেকাংশেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাশের উপরে প্রমোশন নির্ভর করে। আবার ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বেশির ভাগ সাবজেক্ট বাণিজ্য বিভাগের হওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয় বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর শেষ করা ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য। অনেক ব্যাংকারকেই ডিপ্লোমা পরীক্ষাতে সংশ্লিষ্ট সাবজেক্টে পাশ করতে কয়েকবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে! আর এ কারণেই হতাশ হতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের। উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা পরীক্ষার দুই পার্টে পাশ করা না থাকলে প্রমোশন হচ্ছে না অনেক দক্ষ ব্যাংকারদের।
ব্যাংকিং পেশায় সার্বক্ষণিক সতর্কতা ও পেশাগত জ্ঞান উন্নতির অন্যতম মৌলিক শর্ত। কিন্ত সেটা হতে হবে ব্যাংকের সার্ভিস ও প্রোডাক্ট নির্ভর। এখানে কাজের সাথে নিবিড় সংশ্রব জরুরী। তত্বগত জ্ঞানের চেয়ে প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা বেশী ভূমিকা রাখে বলেই ব্যাংকে Theory এর সাথে Practice ও গুরুত্বপূর্ণ।
আমার অভিজ্ঞতায়, ব্যাংকে জনশক্তিকে ব্যাংক নিজের প্লানেই ট্রেইন করতে পারে এবং এটা সবগুলো ব্যাংকই কমবেশী করে থাকে তাদের ট্রেনিং একাডেমীর মাধ্যমে। হাতে কলমের যে শিক্ষা তার ফল হয় দীর্ঘস্থায়ী আর বুড়ো বয়সের মুখস্ত ও ঠেকায় পড়ে শিক্ষা বড়জোর ঐ একটি ডিপ্লোমাই দিতে পারে, কাজের কাজ তেমন হয় বলে মনে হয়না।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরির ক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। অফিস সময়ের বাইরে গিয়েও কাজ করতে হয়। অর্থনীতির যে কোনো চাপ মোকাবিলায় সব সময়ই প্রস্তুত ব্যাংকাররা। করোনার সময়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেও ব্যাংকারদের ছিল সম্মুখযোদ্ধার ভূমিকা। আছে টার্গেট পূরণের চাপ, মন্দ ঋণ কমানোর চাপ, নতুন বিনিয়োগ গ্রাহকের সন্ধান, প্রত্যেক মাসে এক এক বিষয়ের পক্ষ বা মাস উদযাপন-এসব নিয়ে ব্যাংকাররা এমনিতেই কম্মসারা।
পূরোনো ধাঁচের পৃষ্ঠা পূর্ণ করার পরিবর্তে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার আধুনিকায়নে হতে পারে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিশেষ করে তাত্ত্বিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা কমিয়ে দক্ষ ব্যাংকারদের মূল্যায়নে প্রাকটিক্যাল কোর্সের আয়োজন করা যেতে পারে। ডিপ্লোমা পরীক্ষাতে শুধু ব্যাংকিং রিলেটেড সাবজেক্ট অন্তর্ভুক্তিকরণ কিংবা অসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাদ দেওয়া, পরীক্ষার হলে ব্যাংকারদের হয়রানি না করাসহ বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ হতে পারে সমাধান। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার আধুনিকায়নের উদ্যোগ হবে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত-এটা সব ব্যাংকার বিশ্বাস করেন।