মোবাইল ব্যাংকিং

ডাক বিভাগের “নগদ সেবা” কতিপয় জিজ্ঞাসা

ডাক বিভাগের নতুন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ সেবা” চালু হয়েছে। এই সেবার কারনে বিকাশ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশসহ বিদ্যমান মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লেনদেন সীমা এবং ব্যালেন্স নিয়ে চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল অর্থ লেনদেন সেবা ‘নগদ’। চলুন জেনে নেই নগদ (Nagad) কি এবং কিভাবে নগদ হিসাব খোলা যাবে তার বিস্তারিত?

০১. নগদ কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। মানুষকে লেনদেনের স্বাধীনতা দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হচ্ছে এই সেবা। ‘নগদ’ সেবা পরিচালিত হবে ‘বাংলাদেশ পোস্টাল অ্যাক্ট এমেন্ডমেন্ট ২০১০’ আইন অনুযায়ী। এই সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মাস্টার এজেন্ট, যাদের আছে পূর্ব অভিজ্ঞতা। অনেকে জানিনা যে, ২০১০ সালে শুরু হওয়া পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সার্ভিস ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস।

০২. নগদ একাউন্ট কিভাবে খোলা যাবে?
উত্তরঃ আপনার এলাকার নিকটস্থ পোস্ত অফিসে গিয়ে আপনি নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, থানা, গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে পোস্ট অফিস রয়েছে।

০৩. নগদ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে?
উত্তরঃ নগদ একাউন্ট খোলা বিকাশ বা রকেটের মতই সহজ। আপনার দুই কপি পার্সপোট সাইজের ছবি ও দুই কপি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নিকটস্থ পোস্ট অফিস বা অনুমোদিত নগদ এজেন্ট দোকানে গিয়ে একাউন্ট করতে পারেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

০৪. নগদ একাউন্ট সুবিধা কি?
উত্তরঃ বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এ যে সকল সুবিধা পেয়েছেন নগদে সেই একই সুবিধা পাবেন। তবে নগদে অন্যান্যের মতো অতিরিক্ত চার্জ নেই। বাংলাদেশে সকল জায়গায় অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যাংক শাখা নেই। কিন্তু সকল জায়গায় পোস্ট অফিস রয়েছে। আর পোস্ট অফিসে যে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এটি আমরা অনেকেই জানিনা।

নগদ লেনদেন সীমা
নগদ গ্রাহকের লেনদেনের লিমিটসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো-

ক্যাশ ইনঃ দৈনিক ২,৫০,০০০ টাকা
মাসিক ৩,০০,০০০ টাকা।

ক্যাশ আউটঃ দৈনিক ২,৫০,০০০ টাকা
মাসিক ৩,০০,০০০ টাকা।

সেন্ডমানি (P2P): দৈনিক ২,৫০,০০০ টাকা
মাসিক ৫,০০,০০০ টাকা। বি. দ্র. প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা লেনদেন করা যাবে।

বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি বিদ্যমান নিয়মে একটি মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে দিনে সর্বোচ্চ দুই বারে ১৫ হাজার এবং মাসে ২০ বারে এক লাখ টাকা ক্যাশ-ইন বা জমা দেওয়া যায়। তবে ডাক বিভাগের সেবার আওতায় একজন গ্রাহক দিনে ১০ বারে আড়াই লাখ টাকা এবং মাসে ৫০ বারে পাঁচ লাখ টাকা ক্যাশ-ইন করতে পারবেন।

এ ছাড়া বিদ্যমান নিয়মে দুই বারে ১০ হাজার এবং মাসে সর্বোচ্চ ১০ বারে ৫০ হাজার টাকা টাকা ক্যাশ-আউট তথা উত্তোলন করা যায়। আর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে দিনে ১০ হাজার এবং মাসে ২৫ হাজার টাকা স্থানান্তর করা যায়। ডাক বিভাগের সেবা ব্যবহার করে দিনে ৫০ বারে আড়াই লাখ টাকা এবং মাসে ১৫০ বারে পাঁচ লাখ টাকা স্থানান্তর করা যাবে।

০৫. নগদ কি বিকাশের মতো বাড়ির পাশে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ সারাদেশে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ সেবা দেওয়া হবে, যেখানে একজন গ্রাহক দিনে ১০ বারে আড়াই লাখ টাকা জমা এবং সমপরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বর্তমানে বিকাশ, ইউক্যাশ বা রকেটের একজন গ্রাহক দিনে দুই বারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন এবং ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পারেন। আপনি জেনে অবাক হবেন, বিদ্যমান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তুলনায় জমার ক্ষেত্রে ২৫ গুণ এবং উত্তোলনে ১৭ গুণ বেশি লেনদেনের সুযোগ পাবেন ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা। নতুন সেবা চালুর জন্য এরই মধ্যে এজেন্ট নিয়োগের কাজ শুরু করেছে ডাক বিভাগ।

০৬. নগদ সেবায় কি বিকাশের মতো এপ্স ব্যবহার করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। নগদ নামে প্লে-স্টোরে একটি এপ্স ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। আপনি বিকাশের মতো করেই নগদ এপ্সটি ব্যাবহার করতে পারেন। অ্যাপ ইন্সটল করতে ক্লিক করুন

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর নগদ সার্ভিস নামে একটি নতুন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকরা পোস্ট অফিসে যখন একটি ই-অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তখন তাদের মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ্লিকেশন লোড করে দেওয়া হবে। এ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারবেন, প্রিয়জনকে নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত টাকা পাঠাতে পারবেন; এজন্য তাকে কোনো ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যেতে হবে না। এছাড়া ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতে ই-পেমেন্ট গেটওয়ে প্রস্তুত করা হবে, যেন ব্যাংক থেকে গ্রাহক তার পোস্ট অফিস ই-অ্যাকাউন্টে এবং পোস্ট অফিস ই-অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করতে পারে এবং দেশের যে কোনো স্থানে বসে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা নিতে পারে। বিদেশ থেকে প্রবাসীরা সহজে এ চ্যানেল ব্যবহার করে বৈধ পথে টাকা প্রেরণের সুযোগ নিতে পারবেন।

০৭. নগদ সেবার মাধ্যমে ডাক বিভাগের লাভ কি?
উত্তরঃ ডাক অধিদপ্তর বলছে, ‘নগদ’ এ সার্ভিসটি চালু করলে ডাক বিভাগের সঞ্চয় ব্যাংকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নগদ টাকার প্রবাহ কমবে। এর ফলে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাত্রা ব্যাপকভাবে কমবে। সম্প্রতি এ সেবা চালুর জন্য অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে চিঠি দিয়েছেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার পাল। চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় ‘নগদ’ সার্ভিস চালু করলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলোয় কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া ‘নগদ’ সার্ভিসটি ভবিষ্যতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গেও কো-ব্যান্ডেড করা যাবে।

০৮. ডাক বিভাগ “নগদ” সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ বিকাশ সহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার প্রতি গ্রাহক অনেকটা জিম্মি। গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই মূলত এই সেবা চালু করা হয়েছে। তাছাড়া জানা যায়, ২০১২ সালে ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক পোস্ট ই-পেমেন্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। তবে সফটওয়্যারজনিত ত্রুটির কারণে সার্ভিসটি চালু করা যায়নি। এজন্য নতুন সফটওয়্যার প্রবর্তনের মাধ্যমে ‘নগদ’ সার্ভিসটি চালু করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কারিগরি অবকাঠামো প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ‘নগদ’ সার্ভিস পাইলট কার্যক্রম এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডাক অধিদপ্তর।

০৯. নগদ ছাড়া আর কোন সেবা কি পোস্ট অফিসের আছে?
উত্তরঃ নগদ এর আগে ডাক বিভাগে মোবাইলভিত্তিক সেবা ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (ইএমটিএস) ও পোস্টাল ক্যাশকার্ড সেবা চালু করা হয়। ইএমটিএস সেবার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠানো যায়। এজন্য প্রথম এক হাজার টাকায় ২৭ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি হাজারে ১০ টাকা করে মাসুল নেওয়া হয়। এটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ ও রকেটের চেয়েও বেশি সাশ্রয়ী। অন্যদিকে, পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে টাকা জমা রেখে নগদ লেনদেন করার সুবিধা মিলছে। যে কেউ ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে হিসাব খুলে এ কার্ড নিতে পারেন। মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করে সহজেই এর গ্রাহক হওয়া যায় এবং ন্যূনতম ১০ টাকা ব্যালেন্স রেখে ৫ বছর অ্যাকাউন্ট সচল রাখা যায়। এ কার্ডে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ব্যালেন্স রাখা যায়।

এ বিষয়ে চিঠিতে ডাক অধিদপ্তর বলছে, ইএমটিএস ও পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের সঙ্গে ‘নগদ’ সার্ভিসের সাংঘর্ষিক কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এ সার্ভিসের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে আরও একটি বিকল্প সুযোগ উপস্থাপন করা হবে; যা গ্রাহকদের অধিকতর ডাক অধিদপ্তরমুখী করবে। এছাড়া ইমটিএস, পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ও ‘নগদ’ সার্ভিস এ তিনটি সেবা একসঙ্গে ডাক বিভাগে থাকলে দেশের আর্থিক সেবা গ্রহণকারীর অধিকাংশই ডাক বিভাগমুখী হবে; যা বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী আর্থিক সেবাভুক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ অবস্থায় অধিকতর ও বহুমুখী গ্রাহক সেবার স্বার্থে ‘নগদ’ সার্ভিস চালু করার অনুমতি প্রদানের জন্য চিঠিতে সবিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।

১০. নগদ সেবা চালুর মাধ্যমে কি কি ঝুঁকি থাকতে পারে?
উত্তরঃ বাংলাদেশের সব ধরনের পেমেন্ট সেবার লাইসেন্স এবং তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। নগদ মূলত একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। কিন্তু ‘নগদ’ পোস্টাল অ্যাক্টের আওতায় পরিচালিত হওয়ায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। আইনের এই ফাঁক ব্যবহার করে প্রচলিত মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চেয়ে নগদে কয়েক গুণ লেনদেন সীমা (ট্রানজেকশন লিমিট) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও চাঁদাবাজির মতো ঝুঁকি বাড়তে পারে।

বিস্তারিত জানতে
❏ ✆ কল সেন্টারঃ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
❏ অথবা টেলিফোনঃ ০৯৬ ০৯৬ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
❏ ইমেইলঃ info@nagad.com.bd
❏ ওয়েবসাইটঃ www.nagad.com.bd
❏ ঠিকানাঃ ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪), ৩৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা -১২১৩

১০ মন্তব্য

    1. বিস্তারিত জানতে
      ❏ ✆ কল সেন্টারঃ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ অথবা টেলিফোনঃ ০৯৬ ০৯৬ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ ইমেইলঃ info@nagad.com.bd
      ❏ ওয়েবসাইটঃ http://www.nagad.com.bd
      ❏ ঠিকানাঃ ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪), ৩৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা -১২১৩

    1. বিস্তারিত জানতে
      ❏ ✆ কল সেন্টারঃ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ অথবা টেলিফোনঃ ০৯৬ ০৯৬ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ ইমেইলঃ info@nagad.com.bd
      ❏ ওয়েবসাইটঃ http://www.nagad.com.bd
      ❏ ঠিকানাঃ ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪), ৩৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা -১২১৩

    1. বিস্তারিত জানতে
      ❏ ✆ কল সেন্টারঃ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ অথবা টেলিফোনঃ ০৯৬ ০৯৬ ১৬১৬৭ এ কল করুন।
      ❏ ইমেইলঃ info@nagad.com.bd
      ❏ ওয়েবসাইটঃ http://www.nagad.com.bd
      ❏ ঠিকানাঃ ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪), ৩৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা -১২১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button