ব্যাংকিং আইনমানি লন্ডারিং

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২

মানিলন্ডারিং ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ এবং এর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও অধ্যাদেশ রহিতক্রমে প্রণীত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৫ নং আইন, তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১২/৮ ফাল্গুন, ১৪১৮) বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতির সূত্রে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২
(২০১২ সনের ৫ নং আইন)
[ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২] মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও অধ্যাদেশ রহিতক্রমে এতদ্‌সংক্রান্ত আইন পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু মানিলন্ডারিং ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ এবং উহাদের শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও অধ্যাদেশ রহিতক্রমে এতদ্‌সংক্রান্ত আইন পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
(১) এই আইন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা ৩ মাঘ, ১৪১৮ বঙ্গাব্দ/১৬ জানুয়ারি, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হইতে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

২ । সংজ্ঞা
বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে—
(ক) ‘‘অর্থ বা সম্পত্তি পাচার’’ অর্থ—
(১) দেশে বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটাইয়া দেশের বাহিরে অর্থ বা সম্পত্তি প্রেরণ বা রক্ষণ; বা
(২) দেশের বাহিরে যে অর্থ বা সম্পত্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রহিয়াছে যাহা বাংলাদেশে আনয়ন যোগ্য ছিল তাহা বাংলাদেশে আনয়ন হইতে বিরত থাকা; বা
(৩) বিদেশ হইতে প্রকৃত পাওনা দেশে আনয়ন না করা বা বিদেশে প্রকৃত দেনার অতিরিক্ত পরিশোধ করা;
(খ) ‘‘অর্থ মূল্য স্থানান্তরকারী’’ অর্থ এমন আর্থিক সেবা যেখানে সেবা প্রদানকারী একস্থানে নগদ টাকা, চেক, অন্যান্য আর্থিক ইন্সট্রুমেন্ট (ইলেকট্রনিক বা অন্যবিধ) গ্রহণ করে এবং অন্যস্থানে সুবিধাভোগীকে নগদ টাকা বা আর্থিক ইন্সট্রুমেন্ট বা অন্য কোনভাবে সমপরিমাণ মূল্য প্রদান করে;
(গ) ‘‘অপরাধলব্ধ আয়’’ অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত অপরাধ হইতে অর্জিত, উদ্ভূত সম্পত্তি বা কারো আয়ত্তাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন এ ধরণের সম্পত্তি;
(ঘ) ‘‘অবরুদ্ধ’’ অর্থ এই আইনের আওতায় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন সম্পত্তি অস্থায়ী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা আদালতের নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করা যাহা আদালত কর্তৃক বাজেয়াপ্তকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হইবে;
(ঙ) ‘‘অলাভজনক সংস্থা/প্রতিষ্ঠান (Non Profit Organisation)’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২৮ এর অধীন সনদপ্রাপ্ত কোন প্রতিষ্ঠান;
(চ) ‘‘আর্থিক ইন্সট্রুমেন্ট’’ অর্থ সকল কাগুজে বা ইলেকট্রনিক দলিলাদি যাহার আর্থিক মূল্য রহিয়াছে;
(ছ) ‘‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(জ) ‘‘আদালত’’ অর্থ স্পেশাল জজ এর আদালত;
(ঝ) ‘‘ক্রোক’’ অর্থ এই আইনের আওতায় আদালত কর্তৃক কোন সম্পত্তি অস্থায়ী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা আদালতের জিম্মায় আনয়ন করা যাহা আদালত কর্তৃক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হইবে;
(ঞ) ‘‘গ্রাহক’’ অর্থ ১[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] কর্তৃক সময় সময় সংজ্ঞায়িত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অথবা সত্তা বা সত্তাসমূহ;
(ট) ‘‘ট্রাস্ট ও কোম্পানী সেবা প্রদানকারী’’ অর্থ কোন ব্যক্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাহা অন্য কোন আইনে সংজ্ঞায়িত করা হয় নাই এবং যে বা যাহা কোন তৃতীয় পক্ষকে নিম্নবর্ণিত যে কোন সেবা প্রদান করিয়া থাকেঃ
(১) কোন আইনী সত্তা প্রতিষ্ঠার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন,
(২) কোন আইনী সত্তার পরিচালক, সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন বা অন্য কাহাকেও নিয়োগ করা বা অংশীদারী ব্যবসায়ে অংশীদার হিসাবে দায়িত্ব পালন অথবা সমপর্যায়ের অন্য কোন দায়িত্ব পালন,
(৩) কোন আইনী সত্তার নিবন্ধিত এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন,
(৪) কোন এক্সপ্রেস ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন বা অন্য কাহাকেও নিয়োগ করা,
(৫) নমিনী শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোন ব্যক্তির পরিবর্তে পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা,
২[(ঠ) ‘‘তদন্তকারী সংস্থা’’ অর্থ এই আইনের অন্য কোন বিধানে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে,-
(অ) দফা (শ) এ বর্ণিত ‘সম্পৃক্ত অপরাধ’ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তদন্তকারী সংস্থা:
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল সম্পৃক্ত অপরাধ বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য তাহা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (criminal investigation department) কর্তৃক তদন্ত করিতে হইবে;
(আ) সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপ-দফা (অ) এ উল্লিখিত এক বা একাধিক তদন্তকারী সংস্থা;] (ড) ‘‘নগদ টাকা’’ অর্থ কোন দেশের যথাযথ মুদ্রা হিসাবে উক্ত দেশ কর্তৃক স্বীকৃত কোন ধাতব মুদ্রা ও কাগজের মুদ্রা এবং ট্রাভেলার্স চেক, পোস্টাল নোট, মানি অর্ডার, চেক, ব্যাংক ড্রাফট, বিয়ারার বন্ড, লেটার অব ক্রেডিট, বিল অব এক্সচেঞ্জ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা প্রমিজরি নোটও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঢ) ‘‘নিষ্পত্তি’’ অর্থ ক্ষয়যোগ্য, দ্রুত পচনশীল অথবা নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবহার অযোগ্য সম্পত্তি বিক্রয় বা অন্য কোন আইনের অধীন ধ্বংস করিবার উপযোগী সম্পত্তি ধ্বংসকরণ বা আইনসম্মতভাবে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে হস্তান্তরও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ণ) ‘‘বাজেয়াপ্ত’’ অর্থ ধারা ১৭ এর আওতায় কোন আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোন সম্পত্তির স্বত্ব স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রের অনুকূলে আনয়ন করা;
(ত) ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর দ্বারা স্থাপিত Bangladesh Bank ;
(থ) ‘‘বীমাকারী’’ অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২(২৫) এ সংজ্ঞায়িত বীমাকারী;
(দ) ‘‘বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (Non Government Organisation)’’ অর্থ Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860), Voluntary Social Welfare Agencies (Registration and Control) Ordinance, 1961 (Ordinance No. XLVI of 1961), Foreign Donations (Voluntary Activities) Regulation Ordinance, 1978 (Ordinance No. XLVI of 1978), Foreign Contributions (Regulation) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XXXI of 1982) এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর আওতায় অনুমোদিত বা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান যাহারা—
(১) স্থানীয় উৎস হইতে তহবিল (ঋণ, অনুদান, আমানত) গ্রহণ করে বা অন্যকে প্রদান করে; এবং/অথবা
(২) যে কোন ধরণের বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করে;
(ধ) ‘‘বৈদেশিক মুদ্রা’’ অর্থ Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (Act No. VII of 1947) এর section 2(d) তে সংজ্ঞায়িত foreign exchange;
(ন) ‘‘ব্যাংক’’ অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী এবং অন্য কোন আইন বা আইনের অধীন ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত যে কোন প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(প) ‘‘মানি চেঞ্জার’’ অর্থ Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (Act No. VII of 1947) এর section 3 এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
(ফ) ‘‘মানিলন্ডারিং’’ অর্থ—
(অ) নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তি জ্ঞাতসারে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তরঃ
(১) অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করা; অথবা
(২) সম্পৃক্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িত কোন ব্যক্তিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হইতে রক্ষার উদ্দেশ্যে সহায়তা করা;
(আ) বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তি নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদেশে পাচার করা;
(ই) জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করিবার উদ্দেশ্যে উহার হস্তান্তর, বিদেশে প্রেরণ বা বিদেশ হইতে বাংলাদেশে প্রেরণ বা আনয়ন করা;
(ঈ) কোন আর্থিক লেনদেন এইরূপভাবে সম্পন্ন করা বা সম্পন্ন করিবার চেষ্টা করা যাহাতে এই আইনের অধীন উহা রিপোর্ট করিবার প্রয়োজন হইবে না;
(উ) সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচিত করা বা সহায়তা করিবার অভিপ্রায়ে কোন বৈধ বা অবৈধ সম্পত্তির রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা;
(ঊ) সম্পৃক্ত অপরাধ হইতে অর্জিত জানা সত্ত্বেও এই ধরণের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেওয়া বা ভোগ করা;
(ঋ) এইরূপ কোন কার্য করা যাহার দ্বারা অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করা হয়;
(এ) উপরে বর্ণিত যে কোন অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ, সম্পৃক্ত থাকা, অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র করা, সংঘটনের প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা করা, প্ররোচিত করা বা পরামর্শ প্রদান করা;
(ব) ‘‘রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা’’ অর্থ—
(অ) ব্যাংক;
(আ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(ই) বীমাকারী;
(ঈ) মানি চেঞ্জার;
(উ) অর্থ অথবা অর্থমূল্য প্রেরণকারী বা স্থানান্তরকারী যে কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান;
(ঊ) বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে ব্যবসা পরিচালনাকারী অন্য কোন প্রতিষ্ঠান;
(ঋ) (১) স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকার,
(২) পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার,
(৩) সিকিউরিটি কাস্টডিয়ান,
(৪) সম্পদ ব্যবস্থাপক;
(এ) (১) অলাভজনক সংস্থা/প্রতিষ্ঠান (Non Profit Organisation);
(২) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (Non Government Organisation);
(৩) সমবায় সমিতি;
(ঐ) রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার;
(ও) মূল্যবান ধাতু বা পাথরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান;
(ঔ) ট্রাস্ট ও কোম্পানী সেবা প্রদানকারী;
(অঅ) আইনজীবী, নোটারী, অন্যান্য আইন পেশাজীবি এবং একাউন্টেন্ট;
(অআ) সরকারের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, বিজ্ঞপ্তি জারীর মাধ্যমে ঘোষিত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান;
৩[(ভ) ‘‘রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার’’ অর্থ-
(অ) রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৮নং আইন) এর ধারা ২(১৫) এ সংজ্ঞায়িত যে কোন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা উহার কর্মকর্তা বা কর্মচারী; অথবা
(আ) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট যাহারা জমি, আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন এবং ফ্ল্যাট ইত্যাদি নির্মাণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের সহিত জড়িত;] (ম) ‘‘সত্তা’’ অর্থ কোন আইনী প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমবায় সমিতিসহ এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে কোন সংগঠন;
(য) ‘‘সন্দেহজনক লেনদেন’’ অর্থ এইরূপ লেনদেন—
(১) যাহা স্বাভাবিক লেনদেনের ধরণ হইতে ভিন্ন;
(২) যেই লেনদেন সম্পর্কে এইরূপ ধারণা হয় যে,
(ক) ইহা কোন অপরাধ হইতে অর্জিত সম্পদ,
(খ) ইহা কোন সন্ত্রাসী কার্যে, কোন সন্ত্রাসী সংগঠনকে বা কোন সন্ত্রাসীকে অর্থায়ন;
(৩) যাহা এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, জারীকৃত নির্দেশনায় বর্ণিত অন্য কোন লেনদেন বা লেনদেনের প্রচেষ্টা;
(র) ‘‘সমবায় সমিতি’’ অর্থ সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ এর ৪৭ নং আইন) এর ধারা ২(২০) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান যাহা আমানত গ্রহণ বা ঋণ প্রদান কাজে নিয়োজিত;
(ল) ‘‘সম্পত্তি’’ অর্থ দেশে বা দেশের বাহিরে অবস্থিত—
(অ) যে কোন প্রকৃতির, দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান, স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি; বা
(আ) নগদ টাকা, ইলেকট্রনিক বা ডিজিটালসহ অন্য যে কোন প্রকৃতির দলিল বা ইন্সট্রুমেন্ট যাহা কোন সম্পত্তির মালিকানা স্বত্ব বা মালিকানা স্বত্বে কোন স্বার্থ নির্দেশ করে;
(শ) ‘‘সম্পৃক্ত অপরাধ (Predicate offence)’’ অর্থ নিম্নে উল্লিখিত অপরাধ, যাহা দেশে বা দেশের বাহিরে সংঘটনের মাধ্যমে অর্জিত কোন অর্থ বা সম্পদ লন্ডারিং করা বা করিবার চেষ্টা করা, যথাঃ—
(১) দুর্নীতি ও ঘুষ;
(২) মুদ্রা জালকরণ;
(৩) দলিল দস্তাবেজ জালকরণ;
(৪) চাঁদাবাজি;
(৫) প্রতারণা;
(৬) জালিয়াতি;
(৭) অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা;
(৮) অবৈধ মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা;
(৯) চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা;
(১০) অপহরণ, অবৈধভাবে আটকাইয়া রাখা ও পণবন্দী করা;
(১১) খুন, মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি;
(১২) নারী ও শিশু পাচার;
(১৩) চোরাকারবার;
(১৪) দেশী ও বিদেশী মুদ্রা পাচার;
(১৫) চুরি বা ডাকাতি বা দস্যুতা বা জলদস্যুতা বা বিমান দস্যুতা;
৪[(১৬) মানব পাচার বা কোন ব্যক্তিকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করিয়া কোন অর্থ বা মূল্যবান দ্রব্য গ্রহণ করা বা করিবার চেষ্টা;] (১৭) যৌতুক;
(১৮) চোরাচালানী ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ;
(১৯) কর সংক্রান্ত অপরাধ;
(২০) মেধাস্বত্ব লংঘন;
(২১) সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান;
(২২) ভেজাল বা স্বত্ব লংঘন করে পণ্য উৎপাদন;
(২৩) পরিবেশগত অপরাধ;
(২৪) যৌন নিপীড়ন (Sexual Exploitation);
(২৫) পুঁজি বাজার সম্পর্কিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে তাহার কাজে লাগাইয়া শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে বাজার সুবিধা গ্রহণ ও ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার লক্ষ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা (Insider Trading & Market Manipulation);
(২৬) সংঘবদ্ধ অপরাধ (Organised Crime) বা সংঘবদ্ধ অপরাধী দলে অংশগ্রহণ;
(২৭) ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায়; এবং
(২৮) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ৫[ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] কর্তৃক সরকারের অনুমোদনক্রমে গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত অন্য যে কোন সম্পৃক্ত অপরাধ;
(ষ) ‘‘স্পেশাল জজ’’ অর্থ Criminal Law (Amendment) Act, 1958 (Act No. XL of 1958) এর section 3 এর অধীন নিযুক্ত Special Judge;
(স) (১) ‘‘স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকার’’ অর্থ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর যথাক্রমে বিধি ২ (ঝ) ও ২ (ঞ) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান;
(২) ‘‘পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার’’ অর্থ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) বিধিমালা, ১৯৯৬ এর যথাক্রমে বিধি ২ (চ) ও ২ (ঞ) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান;
(৩) ‘‘সিকিউরিটি কাস্টডিয়ান’’ অর্থ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটি কাস্টডিয়াল সেবা) বিধিমালা, ২০০৩ এর বিধি ২ (ঞ) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান;
(৪) ‘‘সম্পদ ব্যবস্থাপক’’ অর্থ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি ২ (ধ) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান;
(হ) ‘‘হাইকোর্ট বিভাগ’’ অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

৩। আইনের প্রাধান্য
৬[ ***] আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে।

৪। মানিলন্ডারিং অপরাধ ও দণ্ড
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মানিলন্ডারিং একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) কোন ব্যক্তি মানিলন্ডারিং অপরাধ করিলে বা মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করিলে তিনি অন্যূন ৪ (চার) বৎসর এবং অনধিক ১২ (বার) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত, যাহা অধিক, অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ৭[:
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আদালত অপরিশোধিত অর্থদণ্ডের পরিমাণ বিবেচনায় অতিরিক্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।] (৩) আদালত কোন অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বা সংশ্লিষ্ট।
৮[(৪) কোন সত্তা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিলে বা অপরাধ সংঘঠনের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করিলে ধারা ২৭ এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের অন্যূন দ্বিগুণ অথবা ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা, যাহা অধিক হয়, অর্থদন্ড প্রদান করা যাইবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সত্তা আদালত কর্তৃক ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে অর্থদন্ড পরিশোধে ব্যর্থ হইলে আদালত অপরিশোধিত অর্থদন্ডের পরিমাণ বিবেচনায় সত্তার মালিক, চেয়ারম্যান বা পরিচালক যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন, তাহার বিরুদ্ধে কারাদন্ডে দন্ডিত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।] (৫) সম্পৃক্ত অপরাধে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত হওয়া মানিলন্ডারিং এর কারণে অভিযুক্ত বা দণ্ড প্রদানের পূর্বশর্ত হইবে না।
অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ লংঘনের দণ্ড

৫। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ লংঘন করিলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অবরুদ্ধকৃত বা ক্রোক আদেশকৃত সম্পত্তির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৬। তথ্য প্রকাশের দণ্ড
(১) কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে তদন্ত সম্পর্কিত কোন তথ্য বা প্রাসংগিক অন্য কোন তথ্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করিবেন না।
(২) এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা এজেন্ট কর্তৃক চাকুরীরত বা নিয়োগরত থাকা অবস্থায় কিংবা চাকুরী বা নিয়োগজনিত চুক্তি অবসায়নের পর তৎকর্তৃক সংগৃহীত, প্রাপ্ত, আহরিত, জ্ঞাত কোন তথ্য এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা প্রকাশ করা হইতে বিরত থাকিবেন।
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৭। তদন্তে বাধা বা অসহযোগিতা, প্রতিবেদন প্রেরণে ব্যর্থতা বা তথ্য সরবরাহে বাধা দেওয়ার দণ্ড
(১) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন—
(ক) কোন তদন্ত কার্যক্রমে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান করিলে বা সহযোগিতা প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে; বা
(খ) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে যাচিত কোন প্রতিবেদন প্রেরণে বা তথ্য সরবরাহে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে;
—তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৮। মিথ্যা তথ্য প্রদানের দণ্ড
(১) কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে অর্থের উৎস বা নিজ পরিচিতি বা হিসাব ধারকের পরিচিতি সম্পর্কে বা কোন হিসাবের সুবিধাভোগী বা নমিনী সম্পর্কে কোনরূপ মিথ্যা তথ্য প্রদান করিবেন না।
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারা দণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৯। অপরাধের তদন্ত ও বিচার
৯[(১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ ধারা ২(ঠ) তে উল্লিখিত তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠত যৌথ তদন্তকারী দল, তদন্ত করিবে।
(২) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ Criminal Law (Amendment) Act, 1958 (Act XL of 1958) এর section 3 এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার সম্পত্তি অনুসন্ধান ও সনাক্তকরণের লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের পাশাপাশি অন্যান্য আইনে এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ক্ষমতাও প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) তদন্তকারী সংস্থা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অবহিত করিবে।]

১০। স্পেশাল জজ এর বিশেষ এখতিয়ার
(১) স্পেশাল জজ এই আইনের অধীন অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ এবং ক্ষেত্রমত, অধিকতর তদন্ত, সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ, ক্রোক, বাজেয়াপ্তকরণ আদেশসহ আবশ্যক অন্য কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) স্পেশাল জজ এই আইনের অধীন দায়েরকৃত কোন মামলায় অধিকতর তদন্তের আদেশ প্রদান করিলে উক্তরূপ আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন, যাহা ৬ (ছয়) মাসের অধিক হইবে না।

১১। অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও অ-জামিনযোগ্যতা
এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (Cognizable), অ-আপোষযোগ্য (Non- compoundable) এবং অ-জামিনযোগ্য (Non-bailable) হইবে।

১২। ১০[কর্তৃপক্ষের] অনুমোদনের অপরিহার্যতা
(১) ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ১১[সরকার কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের] অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণ (cognizance) করিবেন না।
(২) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্ত সমাপ্ত হইবার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করিবার পূর্বে ১২[উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের] পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিবেন এবং ১৩[ কর্তৃপক্ষ] কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদন পত্রের একটি কপি প্রতিবেদনের সহিত আদালতে দাখিল করিবেন।

১৩। জামিন সংক্রান্ত বিধান
এই আইনের অধীন অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে, যদি—
(ক) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া হয়; এবং
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্থ হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট না হন; অথবা
(গ) তিনি নারী, শিশু বা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ এবং তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন।

১৪। সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ (Freezing) বা ক্রোক (Attachment) আদেশ
১৪[(১) তদন্তকারী সংস্থার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত মানিলন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তি বা অপরাধলব্ধ আয় বা সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, মানিলন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তি, অপরাধলদ্ধ আয়, অর্থ বা সম্পত্তি চিহ্নিত করা সম্ভব না হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার অন্য অর্থ বা সম্পত্তি হইতে সমমূল্যের অর্থ বা সম্পত্তি অবরুদ্ধ বা ক্রোক করা যাইবে।] (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ১৫[ তদন্তকারী কোন সংস্থা কর্তৃক] কোন সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের জন্য আদালতে লিখিত আবেদন দাখিলের সময় উহাতে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি উল্লেখ করিবে, যথাঃ—
(ক) অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের নিমিত্ত সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ;
(খ) সম্পত্তিটি মানিলন্ডারিং বা অন্য কোন অপরাধের জন্য ক্রোকযোগ্য এর সপক্ষে যুক্তি ও প্রাথমিক প্রমাণাদি;
(গ) প্রার্থীত আবেদন মোতাবেক আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা না হইলে অভিযোগ নিষ্পত্তির পূর্বেই সম্পত্তিটি অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত হইবার আশংকা।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করা হইলে আদালত সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণসহ বিষয়টি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য সরকারি গেজেটে এবং অন্যূন ২ (দুই)টি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় [১ (এক)টি বাংলা ও ১ (এক)টি ইংরেজী] বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করিবে।
(৪) এই ধারার অধীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, পিতা, মাতার নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, জাতীয়তা, পদবী (যদি থাকে), পেশা, ট্যাক্স পরিচিতি নম্বর (TIN) , বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং অন্য কোন পরিচিতি, যতদূর সম্ভব, উল্লেখ থাকিবে; তবে, এই সকল তথ্যের সামান্য ক্রটি-বিচ্যুতির কারণে এই আইনের বিধান কার্যকর করা বাধাগ্রস্থ হইবে না।
(৫) উপ-ধারা (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তির সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের জন্য আদালত আদেশ প্রদান করিলে আদেশ কার্যকর থাকাকালীন, আদালত কর্তৃক ভিন্নরূপ কোন আদেশ প্রদান করা না হইলে, উক্ত সম্পত্তি কোনভাবে বা প্রকারে অন্যত্র হস্তান্তর, উক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোন প্রকার লেনদেন বা উক্ত সম্পত্তিকে কোনভাবে দায়যুক্ত করা যাইবে না।
(৬) কোন ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় উক্ত আদেশে ভিন্নরূপ উল্লেখ না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য হইয়াছে এইরূপ সমুদয় অর্থ তাহার অবরুদ্ধ ব্যাংক একাউন্টে জমা করা যাইবে।

১৫। অবরুদ্ধকৃত বা ক্রোককৃত সম্পত্তি ফেরত প্রদান
(১) ধারা ১৪ এর অধীন আদালত কোন সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করিলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তা ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা সত্তার উক্ত সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ থাকিলে তিনি বা উক্ত সত্তা উহা ফেরত পাইবার জন্য অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রচারের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা সত্তা আদালতে আবেদন করিলে আবেদনপত্রে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি উল্লেখ করিতে হইবে, যথাঃ—
(ক) মানিলন্ডারিং বা কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সহিত উক্ত সম্পত্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন সংশ্লিষ্টতা নাই;
(খ) আবেদনকারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত মানিলন্ডারিং বা অন্য কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নন;
(গ) আবেদনকারী অভিযুক্তের নমিনী নন বা অভিযুক্তের পক্ষে কোন দায়িত্ব পালন করিতেছেন না;
(ঘ) অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোককৃত সম্পত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার কোন স্বত্ব, স্বার্থ বা মালিকানা নাই; এবং
(ঙ) অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোককৃত সম্পত্তিতে আবেদনকারীর স্বত্ব, স্বার্থ ও মালিকানা রহিয়াছে।
(৩) ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন সম্পত্তি ফেরত পাইবার জন্য আদালত কোন আবেদনপ্রাপ্ত হইলে আবেদনকারী, তদন্তকারী সংস্থা ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তাকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানী অন্তে, প্রয়োজনীয় কাগজাদি পর্যালোচনাক্রমে ও রাষ্ট্র কর্তৃক বর্ণিত সম্পত্তিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততার গ্রহণযোগ্য সন্দেহের কোন কারণ উপস্থাপন না করিলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনকারীর আবেদন সম্পর্কে আদালত সন্তুষ্ট হইলে অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ বাতিলক্রমে সম্পত্তিটি, আদেশে উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আবেদনকারীর অনুকূলে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করিবেন।

১৬। সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের বিরুদ্ধে আপীল
(১) এই আইনের অধীন আদালত কোন সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করিলে উক্তরূপ আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সত্তা ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করা হইলে আপীল আদালত পক্ষবৃন্দকে, শুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়া, শুনানী অন্তে যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) ধারা ১৪ এর অধীন কোন সম্পত্তির বিষয়ে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের বিরুদ্ধে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সত্তা আপীল করিলে এবং আপীল আদালত কর্তৃক ভিন্নরূপ কোন আদেশ প্রদান করা না হইলে আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপ অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ কার্যকর থাকিবে।

১৭। সম্পত্তির বাজেয়াপ্তকরণ
(১) এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি বা সত্তা মানিলন্ডারিং অপরাধে দোষী সাব্যস্থ হইলে আদালত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত দেশে বা দেশের বাহিরে অবস্থিত যে কোন সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের অধীন মানিলন্ডারিং অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন অনুসন্ধান ও তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম চলাকালীন সংশ্লিষ্ট আদালত প্রয়োজনবোধে দেশে বা দেশের বাহিরে অবস্থিত যে কোন সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) এই আইনের অধীন মানিলন্ডারিং অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্থ কোন ব্যক্তি পলাতক থাকিলে বা অভিযোগ দাখিলের পর মৃত্যুবরণ করিলে আদালত উক্ত ব্যক্তির অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তিও রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।— যথাযথ কার্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করিতে ব্যর্থ হয় বা উক্ত সময়ের মধ্যে তাহাকে গ্রেফতার করা না যায় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পলাতক বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৪) এই ধারার অধীন আদালত কর্তৃক কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদানের পূর্বে কিংবা মামলা বা অভিযোগ দায়ের করিবার পূর্বে যদি কোন ব্যক্তি বা সত্তা সরল বিশ্বাসে এবং উপযুক্ত মূল্য প্রদান সাপেক্ষে বাজেয়াপ্তের জন্য আবেদনকৃত সম্পত্তি ক্রয় করিয়া থাকেন এবং আদালতকে তিনি বা উক্ত সত্তা এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে সক্ষম হন যে, তিনি বা উক্ত সত্তা উক্ত সম্পত্তিটি মানিলন্ডারিং এর সহিত সম্পৃক্ত বলিয়া জ্ঞাত ছিলেন না এবং তিনি বা উক্ত সত্তা সরল বিশ্বাসে সম্পত্তিটি ক্রয় করিয়াছিলেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান না করিয়া উহার বিক্রয়লব্ধ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, জমা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্থ ব্যক্তি বা সত্তাকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
(৫) আদালত যদি মানিলন্ডারিং বা সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির অবস্থান নির্ধারণ বা বাজেয়াপ্ত করিতে না পারেন বা সম্পত্তি অন্য কোনভাবে ব্যবহারের ফলে অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়, তাহা হইলে—
(ক) অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নয় অভিযুক্ত ব্যক্তির এমন সমমূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে;
(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে পরিমাণ সম্পত্তি আদায় করা যাইবে না তাহার সমপরিমাণ আর্থিক দণ্ড প্রদান করিতে পারিবে।
(৬) এই ধারার অধীন কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হইলে বাজেয়াপ্ত আদেশের নোটিশ আদালত কর্তৃক যে ব্যক্তি বা সত্তার নিয়ন্ত্রণে সম্পত্তিটি রহিয়াছে সেই ব্যক্তি বা সত্তার সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাইতে হইবে এবং সম্পত্তির তফসিলসহ সকল বিবরণ উল্লেখক্রমে সরকারি গেজেটে এবং অন্যূন ২ (দুই)টি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় [১ (এক)টি বাংলা ও ১ (এক)টি ইংরেজী] বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিতে হইবে।
(৭) এই ধারার অধীন আদালত কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিলে উক্ত সম্পত্তির মালিকানা রাষ্ট্রের উপর ন্যস্ত হইবে এবং বাজেয়াপ্ত করিবার তারিখে সম্পত্তিটি যাহার জিম্মায় বা মালিকানায় থাকিবে তিনি বা সংশ্লিষ্ট সত্তা যথাশীঘ্র সম্ভব, উক্ত সম্পত্তির দখল রাষ্ট্রের বরাবরে হস্থান্তর করিবেন।
(৮) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধ লব্ধ সম্পত্তি যদি বৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তির সহিত সংমিশ্রিত করা হইয়া থাকে তাহা হইলে উক্ত সম্পত্তিতে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত অপরাধ লব্ধ অর্থ বা সম্পত্তির মূল্যের উপর অথবা অপরাধ লব্ধ বা সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব না হইলে অর্জনের উপায় নির্বিশেষে সংমিশ্রিত সম্পূর্ণ অর্থ বা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত আদেশ প্রদান করা যাইবে।

১৮। বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি ফেরত প্রদান
(১) ধারা ১৭ এর অধীন আদালত কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিলে উক্ত সম্পত্তিতে দোষী ব্যক্তি বা সত্তা ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা সত্তার কোন স্বত্ব, স্বার্থ বা অধিকার থাকিলে তিনি বা উক্ত সত্তা উহা ফেরত পাইবার জন্য বাজেয়াপ্তকরণের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় সর্বশেষ প্রচারের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদালতে আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদনপ্রাপ্ত হইলে আদালত মামলা দায়েরকারী, দোষী ব্যক্তি বা সত্তা এবং আবেদনকারীকে, শুনানীর জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়া, শুনানী অন্তে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিয়া প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ—
(ক) অপরাধ সংঘটনের সহিত আবেদনকারী বা বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তির বা সম্পত্তির কোন অংশের কোন সংশ্লেষ ছিল কি না;
(খ) বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি অর্জনে আবেদনকারীর বৈধ অধিকার রহিয়াছে কি না;
(গ) অপরাধ সংঘটনের সময়কাল এবং বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি আবেদনকারীর মালিকানায় আসিয়াছে এইরূপ দাবিকৃত সময়কাল; এবং
(ঘ) আদালতের নিকট প্রাসঙ্গিক বিবেচিত অন্য যে কোন তথ্য।

১৯। বাজেয়াপ্তকরণ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল
(১) এই আইনের অধীন আদালত কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিলে উক্তরূপ আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল দায়ের করা হইলে আপীল আদালত উভয় পক্ষকে, শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, শুনানী অন্তে যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

২০। বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তির নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া
(১) এই আইনের অধীন কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হইলে সরকার, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, যেই সম্পত্তি অন্য কোন আইনের অধীন ধ্বংস করিতে হইবে সেই সম্পত্তি ব্যতীত অন্যান্য সম্পত্তি, প্রকাশ্য নিলামে বা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অন্য কোন আইনসম্মত উপায়ে বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সম্পত্তি বিক্রয় বা অন্য কোন আইনগত উপায়ে নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হইবে।

২১। অবরুদ্ধকৃত, ক্রোককৃত বা বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ
এই আইনের অধীন কোন সম্পত্তি অবরুদ্ধ, ক্রোক বা বাজেয়াপ্ত করা হইলে, তদন্তকারী সংস্থা বা উহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্তরূপ সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা, তদারকি বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তির জন্য, আদালত, স্বীয় বিবেচনায়, যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ শর্তে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে উক্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করিতে পারিবে।

২২। আপীল
আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুন না কেন, আদালত কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ, রায়, ডিক্রি বা আরোপিত দণ্ড দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্তরূপ আদেশ, রায়, ডিক্রি বা দন্ডাদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবে।

২৩। মানিলন্ডারিং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ১৬[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের] ক্ষমতা ও দায়িত্ব
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ১৭[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের] নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথাঃ—
(ক) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হইতে প্রাপ্ত নগদ লেনদেন ও সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যাদি ১৮[ও অন্য কোন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদি] বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে ১৯[ প্রয়োজনীয়] অতিরিক্ত যে কোন তথ্য রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হইতে সংগ্রহ এবং উহার ২০[ তথ্য-উপাত্ত] সংরক্ষণ করা এবং ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ২১[ তদন্তকারী সংস্থা বা] আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উক্ত তথ্যাদি প্রদান করা;
২২[(খ) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য বা প্রতিবেদন সংগ্রহ করা;] (গ) কোন অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে কোন অর্থ বা সম্পত্তি কোন হিসাবে জমা হইয়াছে ২৩[ বা কোন হিসাবের অর্থ কোন অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইতে পারে] মর্মে সন্দেহ করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকিলে কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য উক্ত হিসাবের লেনদেন স্থগিত বা অবরুদ্ধ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত হিসাবের লেনদেন সম্পর্কিত সঠিক তথ্য উৎঘাটনের প্রয়োজন দেখা দিলে লেনদেন ২৪[স্থগিত বা অবরুদ্ধ রাখিবার জন্য উক্ত রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে ৩০ (ত্রিশ) দিন করিয়া সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বার নির্দেশ প্রদান করা যাইবে];
(ঘ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করিবার উদ্দেশ্যে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে, সময় সময়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা;
২৫[(ঙ) প্রয়োজনে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করা;] (চ) এই আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসহ ২৬[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের] বিবেচনায় যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সভা, সেমিনার, ইত্যাদির আয়োজন করা;
(ছ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ২৭[রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার কার্যক্রম তদারকিসহ] প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কার্য সম্পাদন করা।
(২) মানিলন্ডারিং বা সন্দেহজনক লেনদেন তদন্তে তদন্তকারী সংস্থা কোন তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করিলে, প্রচলিত আইনের আওতায় বা যদি অন্য কোন কারণে বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহা হইলে ২৮[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত তথ্য প্রদান করিবে।
(৩) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা এই ধারার অধীন কোন যাচিত তথ্য যথাসময়ে সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হইলে ২৯[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থাকে প্রতিদিন ১০ (দশ) হাজার টাকা হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে এবং কোন সংস্থা ১ (এক) অর্থ বৎসরে ৩ (তিন) বারের অধিক জরিমানার সম্মুখীন হইলে ৩০[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থা বা সংস্থার কোন শাখা, সার্ভিস সেন্টার, বুথ বা এজেন্টের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা রহিত করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত করিতে পারিবে বা ক্ষেত্রমত, নিবন্ধনকারী বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত বিষয়টি অবহিত করিবে।
(৪) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা এই ধারার অধীন যাচিত বিষয়ে কোন ভুল বা মিথ্যা তথ্য বা বিবরণী সরবরাহ করিলে ৩১[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থাকে অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে এবং কোন সংস্থা ১ (এক) অর্থ বৎসরে ৩ (তিন) বারের অধিক জরিমানার সম্মুখীন হইলে ৩২[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থা বা সংস্থার কোন শাখা, সার্ভিস সেন্টার, বুথ বা এজেন্টের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা রহিত করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত করিতে পারিবে বা ক্ষেত্রমত, নিবন্ধনকারী বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত বিষয়টি অবহিত করিবে।
(৫) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা ৩৩[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] কর্তৃক এই আইনের আওতায় জারীকৃত কোন নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হইলে ৩৪[ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থাকে প্রতিদিন ১০ (দশ) হাজার টাকা হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি অপরিপালনীয় বিষয়ের জন্য জরিমানা করিতে পারিবে এবং কোন সংস্থা ১ (এক) অর্থ বৎসরে ৩ (তিন) বারের অধিক জরিমানার সম্মুখীন হইলে ৩৫[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত সংস্থা বা সংস্থার কোন শাখা, সার্ভিস সেন্টার, বুথ বা এজেন্টের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা রহিত করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত করিতে পারিবে বা ক্ষেত্রমত, নিবন্ধনকারী বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত বিষয়টি অবহিত করিবে।
(৬) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর আওতায় ৩৬[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] কর্তৃক নির্দেশিত কোন অবরুদ্ধ বা স্থগিত আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হইলে ৩৭[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] উক্ত রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে অন্যূন উক্ত ব্যাংক হিসাবে স্থিতির সমপরিমাণ জরিমানা করিতে পারিবে যাহা নির্দেশনা জারীর তারিখে হিসাবে স্থিতির দ্বিগুনের অধিক হইবে না।
(৭) এই আইনের ধারা ২৩ ও ২৫ অনুযায়ী ৩৮[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] কর্তৃক আরোপিত জরিমানা কোন ব্যক্তি বা সত্তা বা রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা প্রদানে ব্যর্থ হইলে ৩৯[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক] সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সত্তা বা রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিজ নামে যে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত হিসাব বিকলনপূর্বক আদায় করিতে পারিবে এবং এক্ষেত্রে জরিমানার কোন অংশ অনাদায়ী থাকিলে তাহা আদায়ে প্রয়োজনে ৪০[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] আদালতে আবেদন করিতে পারিবে এবং আদালত যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবে।
৪১[(৭ক) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তে কোন তদন্তকারী সংস্থা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত দলিল ও তথ্যাদি উপযুক্ত আদালতের আদেশক্রমে অথবা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করিতে পারিবে।] (৮) উপ-ধারা (৩), (৪), (৫) ও (৬) অনুযায়ী কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে জরিমানা করা হইলে এই জন্য দায়ী উক্ত সংস্থার মালিক, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধেও ৪২[ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট] অন্যূন ১০ (দশ) হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।

২৪। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) প্রতিষ্ঠা
৪৩[(১) এই আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (Bangladesh Financial Intelligence Unit) নামে একটি পৃথক কেন্দ্রীয় সংস্থা থাকিবে, যাহার-
(ক) একটি পৃথক সীল মোহর ও লেটার হেড প্যাড থাকিবে;
(খ) একটি স্বতন্ত্র কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংকে অবস্থিত হইবে;
(গ) কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় অফিসস্থান, লোকবল, তহবিল, প্রশাসনিক সুবিধাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সরবরাহ করিবে;
(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদার একজন সার্বক্ষণিক প্রধান কর্মকর্তা থাকিবে, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর নেতৃত্বে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত শর্তে সরকার কর্তৃক চুক্তিভিত্তিক বা অন্যবিধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন;
(ঙ) প্রধান কর্মকর্তা যাবতীয় প্রশাসনিক বিষয়ে গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক-এর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিবেন;
(চ) প্রধান কর্মকর্তা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা, নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;
(ছ) প্রধান কর্মকর্তার চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উহাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকতা ও কর্মচারী পদায়ন করিতে পারিবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি সরকার বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হইতে প্রেষণে বা অন্যবিধভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য সরকারকে অনুরোধ করিতে পারিবে; এবং
(জ) প্রধান কর্মকর্তার চাহিদার প্রেক্ষিতে উহাতে চুক্তিভিত্তিক পরামর্শক নিয়োগ করা যাইবে।] (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহ বা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তদ্‌কর্তৃক সংরক্ষিত বা সংগৃহীত তথ্যাদি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে স্বপ্রণোদিতভাবে বা অনুরোধের সূত্রে সরবরাহ করিবে।
৪৪[(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্যাদি অনুরোধের প্রেক্ষিতে বা প্রয়োজন মোতাবেক স্ব-উদ্যোগে সরকারি অন্য কোন সংস্থাকে সরবরাহ করিতে পারিবে।] (৪) এই আইনের বিধান অনুযায়ী অন্য কোন দেশের সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তি বা ব্যবস্থার অধীন সংশ্লিষ্ট দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন বা কোন সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যাদি সরবরাহ করিবে এবং অন্য কোন দেশের নিকট হইতে অনুরূপ তথ্য চাহিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত চুক্তি বা ব্যবস্থা ছাড়াও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ক্ষেত্রমত, স্বপ্রণোদিতভাবে অন্য দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে তথ্য সরবরাহ করিতে পারিবে।

২৫। মানিলন্ডারিং অপরাধ প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার দায়-দায়িত্ব
(১) মানিলন্ডারিং অপরাধ প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিম্নরূপ ৪৫[দায়-দায়িত্বসহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়-দায়িত্ব] থাকিবে, যথাঃ—
(ক) উহার গ্রাহকের হিসাব পরিচালনাকালে গ্রাহকের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংরক্ষণ করা;
(খ) কোন গ্রাহকের হিসাব বন্ধ হইলে বন্ধ হইবার তারিখ হইতে অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত উক্ত ৪৬[হিসাব ও] হিসাবের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা;
(গ) দফা (ক) ও (খ) এর অধীন সংরক্ষিত তথ্যাদি ৪৭[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের] চাহিদা মোতাবেক, সময় সময়, সরবরাহ করা;
(ঘ) ধারা ২ (য) এ সংজ্ঞায়িত কোন সন্দেহজনক লেনদেন বা লেনদেনের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হইলে স্ব-উদ্যোগে অবিলম্বে ৪৮[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে] ‘সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট’ করা।
(২) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে ৪৯[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ]-
(ক) উক্ত সংস্থাকে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে; এবং
(খ) দফা (ক) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অতিরিক্ত উক্ত সংস্থা বা সংস্থার কোন শাখা, সার্ভিস সেন্টার, বুথ বা এজেন্টের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অনুমতি বা লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে বা ক্ষেত্রমত, নিবন্ধনকারী বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বিষয়টি অবহিত করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অর্থ ৫০[ ***] রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করিবে।
৫১[(৪) রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তাহাদের বিদ্যমান তদারকি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপ-ধারা (১) ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্ব পরিপালন নিশ্চিত করিবে এবং উপ-ধারা (১) ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্ব পরিপালনে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার ব্যর্থতার দায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের উপরও বর্তাইবে।
(৫) কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা উপ-ধারা (১) এর বিধানসহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিধান লংঘন করিলে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (২) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এইরূপে গৃহীত ব্যবস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অবিলম্বে অবহিত করিতে হইবে।
(৬) রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তাহাদের তদারকি কার্যক্রম বা অন্য কোনভাবে এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ সর্ম্পকে অবহিত হইলে বা চিহ্নিত করিলে অবিলম্বে তাহা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অবহিত করিবে।]

২৬। বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তি
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার দ্বি-পাক্ষিক বা বহু পাক্ষিক চুক্তি, কনভেনশন বা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অন্য কোনভাবে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তি করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীন সরকার কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তিবদ্ধ হইলে মানিলন্ডারিং অপরাধ প্রতিরোধে সরকার—
(ক) উক্ত বিদেশী রাষ্ট্র বা সংস্থার নিকট প্রয়োজনীয় তথ্যাদি চাহিতে পারিবে; এবং
(খ) উক্ত বিদেশী রাষ্ট্র এবং সংস্থা কর্তৃক যাচিত তথ্যাদি, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি না হইলে, সরবরাহ করিবে।
(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিদেশী ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট অথবা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করিতে পারিবে এবং স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় বিএফআইইউ—
(ক) উক্ত বিদেশী ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট বা সংস্থার নিকট প্রয়োজনীয় তথ্যাদি চাহিতে পারিবে; এবং
(খ) উক্ত বিদেশী ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং সংস্থা কর্তৃক যাচিত তথ্যাদি, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি না হইলে, সরবরাহ করিবে।
(৪) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন চুক্তির অধীন কোন বিদেশী রাষ্ট্রের আদালতের কোন আদেশ কার্যকর করিবার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিবার বা ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হইলে এটর্নী জেনারেলের অফিসের আবেদনক্রমে আদালত যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; একইভাবে বাংলাদেশে আদালতের বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ বা উক্ত সম্পত্তি ফেরত আনয়নের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের অধীনস্থ রাষ্ট্রকে এটর্নী জেনারেলের অফিস অনুরোধ করিতে পারিবে।
(৫) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতার আওতায় কোন বিদেশী রাষ্ট্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রাপ্ত দলিলাদি সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে।

২৭। সত্তা কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন সত্তা কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে উক্তরূপ অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে সত্তার এইরূপ প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
ব্যাখ্যা।— এই ধারায় ‘‘পরিচালক’’ বলিতে সত্তার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে।

২৮। সরল বিশ্বাসে কৃতকার্য রক্ষণ
এই আইনের বা বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, সেইজন্য সরকার বা সরকারের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ৫২[বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা ইহার] কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ৫৩[তদন্তকারী সংস্থা বা ইহার] কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোন রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা বা উহার পরিচালনা পর্ষদ বা উহার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী বা প্রশাসনিক বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।

২৯। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

৩০। আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ
(১) এই আইনের প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা পাঠ এবং ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

৩১। রহিতকরণ ও হেফাজত
(১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৮ নং আইন) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০১২ (২০১২ সনের ২ নং অধ্যাদেশ), অতঃপর উক্ত আইন ও অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্বেও উক্ত আইন ও অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম, দায়েরকৃত কোন মামলা বা গৃহীত কোন কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত হইয়াছে।
(৩) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্বেও Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (Act No. VII of 1947) এবং উক্ত আইন ও অধ্যাদেশের আওতাধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হইলে বা তদন্তাধীন বা বিচারাধীন থাকিলে উক্ত অপরাধসমূহ এই আইনের বিধান অনুযায়ী এইরূপে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন দায়েরকৃত বা গৃহীত হইয়াছে।

১ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২ দফা (ঠ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩ দফা (ভ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪ উপ-দফা (১৬) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২(ঘ)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৫ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২(ঘ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৬ “এই আইনের ধারা ৯ এর বিধান সাপেক্ষে” শব্দগুলি ও সংখ্যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত।
৭ কোলন “:” দাঁড়ির “।” পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪(ক) ধারাবলে সংযোজিত।
৮ উপ-ধারা (৪) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৯ ধারা ৯ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১০ “কর্তৃপক্ষের” শব্দগুলি “দুর্নীতি দমন কমিশনের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১১ “সরকার কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের” শব্দগুলি “দুর্নীতি দমন কমিশনের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১২ “উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের” শব্দগুলি “কমিশনের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৩ “কর্তৃপক্ষ” শব্দটি “কমিশন” শব্দটির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৪ উপ-ধারা (১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৫ “তদন্তকারী কোন সংস্থা কর্তৃক” শব্দগুলি “দুর্নীতি দমন কমিশন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা সংস্থা” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৭(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৬ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৭ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(খ)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৮ “ও অন্য কোন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদি” শব্দগুলি “লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যাদি” শব্দগুলির পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(খ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১৯ “প্রয়োজনীয়” শব্দটি “পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে” শব্দগুলির পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(খ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২০ “তথ্য-উপাত্ত” শব্দটি “ডাটা” শব্দটির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(খ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২১ “তদন্তকারী সংস্থা বা” শব্দগুলি “ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট” শব্দগুলি ও কমার পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮(খ)(আ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
২২ দফা (খ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২৩ “বা কোন হিসাবের অর্থ কোন অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইতে পারে” শব্দগুলি “হিসাবে জমা হইয়াছে” শব্দগুলির পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (ঈ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
২৪ “স্থগিত বা অবরুদ্ধ রাখিবার জন্য উক্ত রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে ৩০ (ত্রিশ) দিন করিয়া সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বার নির্দেশ প্রদান করা যাইবে” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি “স্থগিত বা অবরুদ্ধ রাখিবার মেয়াদ অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) দিন করিয়া সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস বর্ধিত করা যাইবে” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (ঈ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২৫ দফা (ঙ) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (উ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২৬ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (ঊ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২৭ “রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার কার্যক্রম তদারকিসহ” শব্দগুলি “উদ্দেশ্য পূরণকল্পে” শব্দগুলির পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (খ) (এ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
২৮ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২৯ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩০ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩১ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩২ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৩ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৪ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৫ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৬ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৭ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৮ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩৯ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪০ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪১ উপ-ধারা (৭ক) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
৪২ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৮ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৩ উপ-ধারা (১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৯ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৪ উপ-ধারা (৩) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৯ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৫ “দায়-দায়িত্বসহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়-দায়িত্ব” শব্দগুলি “দায়-দায়িত্ব” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০ (ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৬ “হিসাব ও” শব্দগুলি “হিসাবের” শব্দটির পূর্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০ (ক)(আ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
৪৭ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০(ক) (ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৮ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকে” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০(ক) (ঈ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪৯ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৫০ “বাংলাদেশ ব্যাংক তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায় করিবে এবং আদায়কৃত অর্থ” শব্দগুলি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
৫১ উপ-ধারা (৪), (৫) ও (৬) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১০ (ঘ) ধারাবলে সংযোজিত।
৫২ “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা ইহার” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৫৩ “তদন্তকারী সংস্থা বা ইহার” শব্দগুলি “দুর্নীতি দমন কমিশন বা কমিশনের” শব্দগুলির পরিবর্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

সোর্সঃ বিএফআইইউ সার্কুলার নম্বরঃ ২/২০১২ তারিখঃ ১৫ মার্চ, ২০১২
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button