ইসলামী ব্যাংকিং

ইসলামি ব্যাংক কী ঘুরিয়ে খায়?

মো. খায়রুল হাসান, সিএসএএঃ বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং শিল্পের বয়স চার দশকের উপরে। এ সময়ে দেশের আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ইসলামি ব্যাংকিং শিল্প। বর্তমানে সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিচালিত হচ্ছে শরিয়াহ পদ্ধতিতে। এ কারণে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে জানার আগ্রহ ব্যাপক।

ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের ধারণাই ইতিবাচক। তবে, এ সম্পর্কে কিছু মানুষের মধ্যে এখনো একটি বদ্ধমূল ধারণা প্রচলিত আছে। আর তাহলো- ‘ইসলামি ব্যাংক ঘুরিয়ে খায়’। কি ঘুরিয়ে খায়? জানতে চাইলে তারা বলে- প্রচলিত ব্যাংক যেটাকে সুদ বলে, ইসলামি ব্যাংক সেটাকে মুনাফা বলে। বিষয়টা আসলে একই রকম। উভয়ের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই।

আরও দেখুন:
অর্থনীতিতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রভাব, গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জ

এই ধরণের মন্তব্য নতুন নয়। ইসলামে সুদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এ ধরণের মন্তব্য করে আসছে একটি পক্ষ। সুদ ও মুনাফার ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। ইসলামি শরিয়ায় সুদ হারাম এবং মুনাফা হালাল। ইসলামি স্কলারগণ বিভিন্ন বই পুস্তক ও লেখনীর মাধ্যমে সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

অনেকের ধারণা, কুরআনে বর্ণিত সুদ আর বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকিং সুদ এক নয়। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। তারা বলেন, ব্যাংকিং সুদ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি। বর্তমানে সুদ ছাড়া আধুনিক অর্থনীতি অচল। সুদের বিকল্প আসলে কিছু নাই। যারা শরিয়াহ ব্যাংকিংয়ের কথা বলছে- তারাও পুরোপুরি সুদমুক্ত নয়।

সুদের কুফল বর্ণনা করা বা তাদের এ ধরণের সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং এখানে আমি কিছু ব্যবহারিক দৃষ্টান্তের মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকিং ও ইসলামি ব্যাংকিংয়ের কর্মকান্ডের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর চেষ্টা করব। আশাকরি এর মধ্যদিয়ে ইসলামি কী ঘুরিয়ে খায়? প্রশ্নের জবাব মিলবে।

ধরুন, আপনার এলাকার চেয়ারম্যান তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গ্রামের সকল মানুষকে দাওয়াত দিলেন। গ্রামের বাসিন্দা হিন্দু-মুসলমান সবাই দাওয়াত খেতে এলো। মুসলমানদের আপ্যায়নের জন্য ইসলামি রীতি অনুযায়ী হালাল উপায়ে পশু জবেহ করা হলো। হিন্দুদের জন্যও সে-ধর্মের রীতি মেনে দেবতার নামে পশু বলি দেওয়া হলো। আলাদাভাবে রান্না করা হলো মাংসগুলো। অবশেষে একই মজলিসে দুটি আলাদা পাত্রে মেহমানদের মাঝে পরিবেশন করা হলো সেগুলো। হিন্দু-মুসলমান সবাই একসাথে দাওয়াত খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে বিদায় নিলেন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে।

প্রশ্ন হলো- রান্না করা পশুমাংসের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য আছে কী? আপতঃদৃষ্টিতে মাংস দুটির রং,স্বাদ ও গন্ধে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত না থাকলেও পার্থক্য শুধু প্রক্রিয়াগত ও বিশ্বাসগত। একটি পশু হালাল প্রক্রিয়ায় যবেহ করার কারণে সেটি মুসলমানদের জন্য হালাল এবং অন্যটি বলি দেওয়ার কারণে সেটি তাদের দৃষ্টিতে হারাম। ঠিক এখানেই ইসলামি ব্যাংকিং ও প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের মৌলিক বিশ্বাসগত পার্থক্য লুকায়িত। দেখতে ও স্বাদে একই কিন্তু জবেহের পদ্ধতিগত কারণে মুসলমানদের জন্য একটি মাংস হালাল এবং অন্যটি হারাম।

এবার দেখা যাক ইসলামি ব্যাংক ও প্রচলিত ব্যাংকের কর্মকান্ডের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না। না কি উভয় ব্যাংক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে? ধরুন, একজন গ্রাহকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২ লাখ টাকার অর্থায়ন প্রয়োজন। প্রচলিত ব্যাংক ২ লাখ টাকার সাথে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে সুদ যোগ করে উক্ত গ্রাহককে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বলবে যে নির্দিষ্ট ময়াদে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এবার একই গ্রাহক গেলেন ইসলামি ব্যাংকে। ব্যাংকের ম্যানেজার সাহেব বললেন, আমরা তো কাউকে নগদ টাকা দেইনা। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি। আপনার যে পণ্যের জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন সেটি ব্যাংক আপনার জন্য ক্রয় করে দেবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক ইসলামি ব্যাংক ২ লাখ টাকা দিয়ে বাজার থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে গ্রাহকের নিকট ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করল।

এখন প্রশ্ন হলো- এই দুই অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকার মধ্যে পার্থক্য কি? উপরে বর্ণিত দুই মাংসের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তি এই দুই ২০ হাজারের মধ্যেও কোন পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। এখানে একটি সুদ, আরেকটি মুনাফা। প্রথমটি সুদ কারণ এতে পণ্যের লেনদেন হয় নাই। প্রচলিত ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি টাকা দিয়ে দিয়েছে। বিনিময়ে সময়ের ব্যবধানে মূল টাকার উপর সুদ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা আরোপ করেছে।

অপরদিকে, ইসলামি ব্যাংক গ্রাহকের নিকট পণ্য বিক্রি করেছে। অর্থ্যাৎ ইসলামি ব্যাংক এখানে ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেছে, যা হালাল। ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ভাষায় এটাকে বলে বাই মুরাবাহা বা সম্মত লাভে বিক্রি। এ পদ্ধতিতে গ্রাহকের অর্ডারকৃত পণ্য কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা শরিয়াহসম্মত। এখানে গ্রাহক-ব্যাংক পরষ্পর সম্মত হয়ে ক্রয়বিক্রয় করেছে। এটা জায়েজ। সুরা নিসার ২৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে “পরস্পর সম্মত হয়ে ব্যবসা করা বৈধ।”

আবার অর্থনীতির ভাষায় এখানে বাজার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাহিদা ও যোগান রেখা ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিন্দুতে ক্রস করেছে। যেখানে উভয়ের স্বার্থ রক্ষা পেয়েছে। ক্রেতা বাকিতে পণ্য পেয়েছে। বিক্রেতা ২০ হাজার টাকা লাভ করেছে।

আরেকটি উদাহরণ দিই। ধরুন, অপর একজন গ্রাহক ১ কোটি দামের একটি ফ্ল্যাট কিনতে লোনের জন্য প্রচলিত ব্যাংকে গেলেন। গ্রাহকের ৩০ লাখ টাকা আছে, ব্যাংক থেকে তিনি লোন হিসেবে নিলেন ৭০ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি কেনার পর ভাড়া দিবেন না-কি ফেলে রাখবেন এ ব্যাপারে ব্যাংকের কিছু আসে যায় না। সুদ আসল মিলে ১৫-২০ বছর মেয়াদী কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করলে ব্যাংক ফ্ল্যাটটির মালিকানা বুঝিয়ে দিবে গ্রাহককে।

গ্রাহক এবার একটি ইসলামি ধারার ব্যাংকে গেলেন। গ্রাহকের কথা শুনে ম্যানেজার সাহেব এবারও ঐ একই কথা বললেন- আমরা টাকার ব্যবসা করি না বরং যৌথ মালিকানায় ব্যবসা করি। আপনি ৩০ লাখ টাকা দিবেন এবং ব্যাংক দিবে ৭০ লাখ টাকা। উভয়ের যৌথ অর্থায়নে ফ্ল্যাটটি ক্রয় করা হলো। এখন ফ্ল্যাটটির মালিকানা গ্রাহকের ৩০%, আর ব্যাংকের ৭০%।

ধরুন, ফ্ল্যাটটির মাসিক ভাড়া ৪০ হাজার টাকা। এই ভাড়ার টাকার মালিকানা আনুপাতিক হারে গ্রাহক পাবেন ৩০% অর্থ্যাৎ ১২ হাজার টাকা, আর ব্যাংক পাবে ৭০% অর্থ্যাৎ ২৮ হাজার টাকা। এর সাথে প্রতি মাসে ব্যাংকের অংশের ক্রয় বাবদ অর্থ্যাৎ ৭০ লাখের কিছু অংশ পরিশোধ করবেন গ্রাহক। এভাবে ক্রমান্বয়ে গ্রাহকের মালিকানার অনুপাত বাড়বে এবং ব্যাংকের মালিকানা কমবে। ফলে ব্যাংকের প্রদেয় ভাড়ার পরিমাণও কমতে থাকবে। এক পর্যায়ে ব্যাংকের কোনো মালিকানা থাকবে না। ফ্ল্যাটটির পুরো মালিকানাই গ্রাহকের হয়ে হবে।

ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পরিভাষায় এই অর্থায়ন পদ্ধতিকে বলে হায়ার পারচেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক (এইচপিএসএম)। এটা হলো অংশীদারের ভিত্তিতে ব্যবসা, যা ইসলামী অর্থনীতির প্রাণ। এখানে ইসলামি ব্যাংক ২০ বছরে আসল টাকা+বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রায় ৫৯ বা ৬০ লাখ টাকা আয় করবে। পক্ষান্তরে, সুদি ব্যাংকও মুল টাকার সাথে সুদ যোগ করে অন্তত ৬০ লাখ টাকা ইনকাম করবে। এই দুই কমবেশি ৬০ লাখের মধ্যে পার্থক্য কি? ফলাফল তো একই। ইসলামি ব্যাংক “বাড়ি ভাড়া বাবদ” শব্দটা ব্যবহার করেছে। সম্পদ খাটিয়ে ভাড়া আদায় করা বৈধ। প্রচলিত ব্যাংক ব্যবহার করেছে “সুদ”, যা হারাম। পার্থক্য এখানেই।

ইসলামি ব্যাংক বিভিন্ন মোড ও পদ্ধতিতে ব্যবসা করে। ব্যাংকগুলো তাদের কর্মকান্ডে যেসকল পদ্ধতি অনুসরণ করে তার মধ্যে রয়েছে- অর্থায়ন ও বিনিয়োগ কার্যক্রম, ক্রয়-বিক্রয়, অংশীদারি ব্যবসা, ভাড়া বা ইজারা, এজেন্সি সেবা, সার্ভিস চার্জ প্রভৃতি। ইসলামি ব্যাংক কোনো হারাম পণ্যের ব্যবসা বা নিষিদ্ধ অবৈধ সেবা দিতে পারে না। অর্থ্যাৎ ইসলামি ব্যাংকিংয়ে পণ্য ও পদ্ধতি উভয়ই বৈধ হতে হয়।

সর্বশেষ আরেকটি জীবনঘনিষ্ঠ উদাহরণ দিয়ে শেষ করছি। ধরুন, এক যুবক একই গ্রামের অপর এক যুবতীকে পছন্দ করে। তাকে ভালোবাসে। তার উদ্দেশ্য হলো ঐ যুবতীর সাথে ঘরবেঁধে একসাথে সংসার করা। এখন যুবক লোকটি মেয়েটির বাবাকে প্রস্তাব দিলো যে, ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আপনার মেয়ের সাথে আমি সংসার বাঁধতে চাই। একই ঘওে একসাথে সাথে থাকতে চাই। প্রশ্ন হলো- এ প্রস্তাবে মেয়েটির বাবা কী রাজি হবে? আর রাজি হলেই কি এই ধরণের কাজ বৈধ হয়ে যাবে। আদৌ হবে না। সমাজের চোখে এ ধরণের বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক অবৈধ।

অপরদিকে, যুবকটি যদি মেয়েটির বাবাকে প্রস্তাব দেয় যে, আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করতে চাই। বিনিময়ে আপনার মেয়েকে মোহরানা বাবদ ৫ লাখ টাকা প্রদান করব। এতে মেয়েটির বাবা যদি রাজি হয়ে মোহরানা ধার্য্যপূর্বক রীতি অনুযায়ী দুজনের মধ্যে বিবাহ করিয়ে দেয় তাহলে এটা বৈধ। সমাজ ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটা বৈধ কাজ।

বৈধ সম্পর্কের ভিত্তিতে ঘরসংসার করাতে কোনো সমস্যা নাই। এখানে উভয় কাজের ফলাফল এক ও অভিন্ন। কিন্তু প্রক্রিয়া ভিন্ন হওয়ার কারণে একটি বৈধ এবং অপরটি চরম অবৈধ। পার্থক্য হলো একটিতে বিবাহ ও মোহরানা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, আরেকটিতে অবৈধ সম্পর্ক। শরিয়াহর জ্ঞান না থাকলে সাধারণ জ্ঞান দিয়েও যেমন দুটি মাংসের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক তেমনি দুটি ব্যাংকের কর্মকান্ডের মধ্যে আপাতঃ পার্থক্য চোখে পড়ে না।

একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলো- দাওয়াতের পশুগুলো ইসলামী রীতি অনুযায়ী জবেহ করা হয়েছিল কি না? জবাব হলো- এ দায়িত্ব দাওয়াত ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। এর জন্য যেমন মেহমানরা দায়ী নন, ঠিক তেমনি ইসলামি ব্যাংকের নামে কোনো ব্যাংক যদি শরিয়ার বিধান লঙ্ঘন করে, তাহলে এর দায়ভার ঐ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। রেগুলেটর, ব্যাংকের মালিক ও শরিয়াহ সুপার ভাইজার কমিটির দায়িত্ব হলো ব্যাংক পরিচালনায় কঠোরভাবে শরিয়াহ বিধান পরিপালন নিশ্চিত করা। এর জন্য গ্রাহকদের দায়ি করা যাবে না। তবে গ্রাহকদের উচিত সচেতনভাবে ব্যাংকের কর্মকান্ড যাচাই-বাছাই করে সেবা নেওয়া।

পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক ছাড়াও অনেক প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং শাখা /উইন্ডো খুলে শরিয়াহব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়াহ বোর্ড, ইসলামি ব্যাংকিং সফটওয়্যার, হিসাবনিকাশ, বিজনেস পলিসি রয়েছে। দেশের ইসলামি ব্যাংক ও উইংগুলো তদারকির জন্য যথাযথ রেগুলেটর রয়েছে। এতে সমস্যা থাকার কথা নয়।

ইসলামি ব্যাংকিংয়ের প্রচলিত সকল প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের শরিয়াহ অনুযায়ী যথাযথ ব্যাখ্যা, অর্থনীতির বিশ্লেষণ, ফিকহ আল-মুয়ামালাহ ও ইসলামি আইনের অনন্য সমন্বয় রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ হক্কানি আলেম ও ইসলামি স্কলারগণ এ সিস্টেমে একমত। তাহলে- একথা বলার সুযোগ নাই যে “ইসলামি ব্যাংক ঘুরিয়ে খায়”। বরং ইসলামি ব্যাংক সরাসরি খায়- আর সেটা হলো ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা এবং সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য হালাল ইনকাম।

লেখকঃ মো. খায়রুল হাসান, ইসলামি ব্যাংকার এবং বাহরাইনভিত্তিক আওফি’র সার্টিফয়েড শরিয়াহ অ্যাডভাইজার অ্যান্ড অডিটর (সিএসএএ), ইমেইল- hasan.khairul@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button