ইসলামী ব্যাংক ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড
মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আকন্দঃ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ১৯৮৩ সালের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম আধুনিক সেবা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা এগিয়ে চলেছি সময়ের হাত ধরে। তাই Sustainable Growth through FinTech Solutions এই শ্লোগানকে ধারন করে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে আমরা চালু করেছি বিকল্প ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম। এর মাধ্যমে গ্রাহক কোন শাখায় না গিয়েও যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন। ব্যাংকের শাখায় না এসে ব্যাংকিং সেবা পেতে হলে- ইসলামী ব্যাংকের অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল (ADC) সার্ভিস এর সাহায্য নিন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)-এর রয়েছে ভিসা-ব্রান্ডযুক্ত ডুয়্যাল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড (IBBL Explore Card)। EMV চিপযুক্ত প্লাস্টিক ও ভার্চুয়াল (সেলফিন) দুই ধরনের এ কার্ড ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। এ কার্ড দিয়ে টাকা ও বিদেশী মুদ্রায় লেনদেন করা যায় এবং দেশি-বিদেশি যেকোন ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট দেয়া যায়। এছাড়াও আইবিবিএল ভিসা ডুয়্যাল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড-এ বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে ভিসা ডিরেক্ট সার্ভিসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স ও ফ্রিল্যান্সিং-এর পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংক সেলফিন
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়্যাল কারেন্সি প্লাস্টিক প্রিপেইড কার্ড যেকোন শাখা/ উপশাখা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা যায়। আর সেলফিন ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল অ্যাপ থেকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে একটি অতিরিক্ত ডুয়্যাল কারেন্সি কার্ড নম্বর (ভার্চুয়াল কার্ড) নিতে পারবেন। তবে ডুয়্যাল কারেন্সি লেনদেনের জন্য শাখার মাধ্যমে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের সীমা- প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার ও এক ক্যালেন্ডার বছরে ১২ হাজার ডলার প্রযোজ্য হবে। ইসলামী ব্যাংকের ডুয়্যাল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল সার্ভিস, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, পোশাক, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, টুরিস্ট সার্ভিস ও এয়ার টিকেটের বিল পরিশোধের সুবিধা এবং আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও ০% ইএমআই সুবিধা রয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
আইবিবিএল ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর বৈশিষ্ট্য
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং শর্তাবলীগুলো (GFET-2018 এবং আইবিবিএল এর অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুযায়ী) নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• আইবিবিএল ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড আইবিবিএলের গ্রাহক এবং গ্রাহক নয় এমন ব্যক্তিদের জন্য ভ্রমণ কিংবা কেনাকাটার সময় উপকৃত হতে পারেন এই উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের অর্থের মাধ্যমে বিদেশী এবং স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের সুবিধা পাবেন।
• আইবিবিএল ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড যে কোন শাখা ও উপ-শাখার মাধ্যমে তাত্ক্ষণিকভাবে ইস্যু করা হয়ে থাকে এবং যথাযথ ডকুমেন্টেশন এর বিপরীতে যে কোন শাখা ও উপ-শাখা থেকে ফান্ড লোড করা হয়।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ০৩ (তিন) বছরের জন্য ইস্যু করা হয়।
• কার্ড হোল্ডারগণ আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বিদেশী মুদ্রা গ্রহণ করতে/ উত্তোলন করতে পারবেন এবং এই বিষয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ভিসা (VISA) বিনিময় হার প্রযোজ্য হবে।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড সকল VISA সাপোর্টেড দোকান, গাড়ী ভাড়া কোম্পানি, ট্রাভেল এজেন্ট, এটিএম ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যাবে।
• ভিসা সাপোর্টেড এটিএম থেকে স্থানীয় মুদ্রায় নগদ অর্থ উত্তোলন করা হলে ন্যূনতম চার্জ এবং কমিশন দিতে হবে।
• এই কার্ডের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর, মোবাইল টপ আপ ইত্যাদি সুবিধা লাভ করা যায়।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ডটি PIN দ্বারা সুরক্ষিত।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করতে না চাইলে শাখায় একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এই কার্ড বন্ধ করে দেয়া যাবে এবং কার্ডে অবশিষ্ট অর্থ গ্রাহক ফেরত পাবেন।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর লেনদেন কার্ডে লোডকৃত ব্যালেন্সের বিপরীতে করা হবে, কার্ড ধারক কোন ক্রেডিট সুবিধা পাবেন না।
• গ্রাহক তার কার্ড ব্যালেন্স এবং লেনদেনের বিবরণ সম্পর্কে ২৪ ঘন্টা কার্ড সাপোর্ট সেন্টার অথবা আইবিবিএল কল সেন্টার ১৬২৫৯ এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।
• কার্ড ইস্যুতে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই।
• এই কার্ডটি ট্রাভেলরস চেক বা ক্যাশের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর সুবিধা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর সুবিধা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• নগদ ফরেন কারেন্সি (FC) বহন করার প্রয়োজন নেই।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ইস্যু ফ্রি।
• এটি একটি পিন প্রটেক্টেড কার্ড।
• কেনাকাটা সুবিধা এবং নগদ অর্থ উত্তোলন সুবিধা।
• বিদেশে অবস্থিত ভিসা সমর্থিত এটিএম এবং পিওএস থেকে লেনদেন সুবিধা।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ১০০% ইসলামী শরিয়াহ সম্মত।
• এসএমএস এলার্ট সুবিধা।
• এই কার্ডে লাইফস্টাইল সমাধান পাওয়া যায়।
• গ্রেট ডিসকাউন্ট, অফার এবং আকর্ষণীয় অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।
• কার্ড হারিয়ে গেলে দ্রুত নতুন কার্ড ইস্যু করা যায়।
• ২৪X৭ কন্ট্যাক্ট সেন্টার (১৬২৫৯) সেবা পাওয়া যায়।
• ২৪X৭X৩৬৫ দ্রুত, নিরাপদ এবং সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়।
• এই কার্ড যে কোন দেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
• এই কার্ড-এ ডায়নামিক কারেন্সি রাখতে পারবেন (US ডলার, বাংলাদেশী টাকা)। এক্ষেত্রে US ডলার ব্যবহারের জন্য পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে।
• কার্ডের মেয়াদ ৩ বছর।
• US ডলার এ পেমেন্ট করলে অন্যান্য ব্যাংকের মতো মার্কআপ ফি নেই (তবে US ডলার ব্যতীত বাকী সব কারেন্সিতে মার্কআপ ফি আছে)।
• অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এই কার্ড নিতে পারবেন।
• এই কার্ডে ফরেন রেমিট্যান্স রিসিভ করলে ২.৫% প্রনোদনা সুবিধা রয়েছে।
• প্রাথমিক ডিপোজিট ১০০০ টাকা, যা পরবর্তীতে তোলা যাবে (ব্যালেন্স জিরো করা যায়)।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর অসুবিধা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর অসুবিধা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• ইন্টারন্যাশনাল সব পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ১% ফি কাটবে।
• কার্ডে আপনার নাম থাকবে না (IBBL Explore Card)।
• অটো রিনিউ সুবিধা: নেই।
• ১০০০ টাকা ডিপোজিট করা লাগবে (যা পরে ব্যবহার/ খরচ করতে পারবেন)।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর ফি ও চার্জ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর ফি ও চার্জ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• কার্ড ইস্যু ফি- ফ্রি।
• বার্ষিক ফি- ফ্রি।
• কার্ড নবায়ন ফি- ফ্রি।
• কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি- ২০০ টাকা।
• কার্ডে প্রাথমিক টাকা লোড- ১০০০ টাকা, যা পরবর্তীতে তোলা যাবে (ব্যালেন্স জিরো করা যায়)।
• কার্ড অ্যাক্টিভেশন ফি- ফ্রি।
• পুনরায় টাকা লোড ফি- ফ্রি।
• পিন রিপ্লেসমেন্ট/ রিসেট (গ্রীন পিন) ফি- ৫০ টাকা।
• কার্ড ক্লোজিং এবং ফান্ড ফেরত ফি- ২০০ টাকা।
• এটিএম ক্যাশ উত্তোলন ফি- ফ্রি (আইবিবিএল এটিএম/ সিআরএম)।
• এটিএম ক্যাশ উত্তোলন ফি (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত অন্যান্য ব্যাংকের এনপিএসবি এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন ফি ১৫ টাকা এবং ভিসা এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন ফি ৩০ টাকা হয়ে থাকে)।
• ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি- ফ্রি (আইবিবিএল এটিএম/ সিআরএম)।
• ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি- (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি ৫ টাকা হয়ে থাকে)।
• এটিএম থেকে ফান্ড ট্রান্সফার ফি- (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত ফান্ড ট্রান্সফার ফি আইবিবিএল একাউন্ট এ ট্রানজেকশন এমাউন্টের ০.০২৫% ও সর্বনিম্ন ৫ টাকা, এনপিএসবি একাউন্ট এ ট্রানজেকশন এমাউন্টের ০.০২৫% ও সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং ভিসা প্রতি ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে ৩০ টাকা হয়ে থাকে)।
• ভিসা থেকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ফি ও চার্জ-
– ক্যাশ উত্তোলন ফি: US ১ ডলার + লেনদেনকৃত পরিমাণের ২%;
– POS পার্সেজ ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
– ই-কমার্স ট্রান্সজেকশন ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
– ব্যালেন্স ইনকোয়ারি ফি: US ০.৫০ ডলার;
– কার্ড এনডোর্সমেন্ট ফি: ফ্রি।
* এছাড়াও সরকারী নিয়ম অনুসারে ফি ও চার্জের সাথে ১৫% ভ্যাট ও ট্যাক্স যুক্ত হবে।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ডের লেনদেন সীমা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর লেনদেন সীমা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর জন্য সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত হবে প্রতি বছর (এক ক্যালেন্ডার বছরে) বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ইস্যু করা নির্দেশিকা/ বরাদ্দ/ এনটাইটেলমেন্ট অনুযায়ী।
• প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার ও এক ক্যালেন্ডার বছরে ১২ হাজার ডলার প্রযোজ্য হবে (ফরেন কারেন্সি লেনদেন)।
• সর্বোচ্চ ব্যালেন্স: ৫ লক্ষ টাকা।
• সর্বোচ্চ টপআপ: ৩ লক্ষ টাকা।
• এটিএম বুথ থেকে দৈনিক নগদ টাকা উত্তোলন সীমা- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- ২০ বার)।
• শাখা POS থেকে দৈনিক নগদ টাকা উত্তোলন সীমা- ১০,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- আনলিমিটেড)।
• দৈনিক ক্রয় সীমা (পিওএস ও ই-কমার্স)- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- আনলিমিটেড)।
• ফান্ড ট্রান্সফার (আইবিবিএল এবং অন্যান্য ব্যাংক)- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- ৫ বার)।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর মেয়াদ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর এক্সপাইরি টাইম বা মেয়াদ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• কার্ডের এক্সপাইরি টাইম/ অপারেশন/ লেনদেন/ বৈধতার মেয়াদ: ০৩ (তিন) বছর।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এ লোড পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এ টাকা লোড পদ্ধতি নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• আইবিবিএল গ্রাহক এবং নন আইবিবিএল গ্রাহকগণ নগদ অর্থ, পে অর্ডার বা চেক (অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স সাপেক্ষে) ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এ টাকা লোড করতে পারবেন।
• ফরেন কারেন্সি (FC) হিসাব হোল্ডাররা তাদের এনটাইটেলমেন্ট অনুযায়ী আইবিবিএল বা অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড গ্রহণের যোগ্যতা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড গ্রহণের যোগ্যতা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এমন এফ-কমার্স এবং এম-কমার্সের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার/ অন্যান্য যোগ্য বাংলাদেশী নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট/ বৈধ পাসপোর্ট/ অন্যান্য বৈধ ও উপযুক্ত ডকুমেন্ট রয়েছে।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজাদি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজাদি নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• অ্যাকাউন্ট থাকলে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি এবং নমিনির তথ্য চাইলে দিতে পারেন।
• আর অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এই কার্ড নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে আরো কিছু তথ্য লাগবে যা ব্যাংকে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসার আপনাকে বলে দিবে।
• বৈধ পাসপোর্ট (মূল কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে, এন্ডোর্সমেন্ট করার জন্য)।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর আবেদন ফর্ম পূরণ (যা শাখায় পাওয়া যাবে)।
• TM ফরম (যা শাখায় পাওয়া যাবে)।
• এছাড়াও ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার পদ্ধতি নিম্নে ব্যবহার করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-
ক. কার্ড দিয়ে পার্চেজ করার জন্য
• কার্ড ধারককে অবশ্যই একটি ভিসা সমর্থিত মার্চেন্ট, দোকান বা আউটলেটে যেতে হবে।
• কোনও কিছু কেনার সময় বিল পরিশোধ করার সময় মার্চেন্ট টার্মিনালের সাথে কার্ডটি সোয়াইপ করবে।
• অনুমোদনের পর একটি স্লিপ/ বিল প্রিন্ট হবে।
• মার্চেন্ট মেশিন থেকে স্লিপটি নিয়ে কার্ড ধারককে স্লিপে তার স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে। স্বাক্ষর করার পর মার্চেন্ট তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য এটি সংরক্ষণ করবে।
• কার্ড ধারক মার্চেন্টের কাছ থেকে স্লিপের একটি অনুলিপি পাবেন এবং লেনদেনের প্রমাণ হিসাবে এটি সংরক্ষণ করবে।
খ. ATM থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য
• কার্ড ধারক ভিসা সমর্থিত এটিএম বুথে যাবেন।
• কার্ড ধারক তার কার্ডটি ভিসা-সমর্থিত এটিএমের মধ্যে প্রবেশ করাবেন।
• তারপর সিস্টেমের নির্দেশ অনুযায়ী পিন প্রদান করবেন।
• যদি পিন সিস্টেমের সাথে মিলে যায় কার্ড ধারককে সিস্টেমে অর্থ নির্বাচন করতে হবে।
• লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরে ক্যাশ ট্রে থেকে টাকা নিতে হবে।
• লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পরে ভবিষ্যতের রেকর্ডের জন্য লেনদেন স্লিপ সংরক্ষণ করতে হবে।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারে সতকর্তা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারে সতকর্তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
• SSL অর্থাৎ এনক্রিপ্টেড সাইট ব্যতীত অন্যান্য সাইটগুলোতে কার্ডটি ব্যবহার না করা (https ছাড়া কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহার না করা)।
• পিন নম্বর সব সময় গোপন রাখা।
• কার্ডের নম্বর, পিন নম্বর, মেয়াদ (Expire Date), CVV নম্বর কারও কাছে না দেওয়া এবং শেয়ার না করা।
• ই-কমার্স সাইটে কার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
• ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজন সহ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সাইটে কার্ড ব্যবহার করা।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ‘গোল্ড ডেবিট কার্ড’
কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে করণীয়
যদি আপনার কার্ড চুরি হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায়, তাহলে ব্যাংকের কল সেন্টার ১৬২৫৯ বা +৮৮-০২-৮৩৩১০৯০ এ ফোন করে চুরি হয়ে যাওয়া অথবা হারিয়ে যাওয়া কার্ড সম্পর্কে জানালে ব্যাংক অফিসার আপনার কার্ডের লেনদেন বন্ধ করবেন। পরবর্তীতে নতুন কার্ড নিতে পারবেন।
কার্টেসিঃ মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আকন্দ, এডিসি ইনচার্জ ও ফিনটেক এক্সপার্ট, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, গোবিন্দগঞ্জ শাখা, গাইবান্ধা।
বিস্তারিত জানতে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, হেড অফিস: ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার, ৪০, দিলকুশা সি/এ, ঢাকা – ১০০০ বাংলাদেশ অথবা ব্যাংকের যেকোন শাখা/ উপ-শাখা/ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট-এ যোগাযোগ করুন
✆ কল সেন্টার: ১৬২৫৯ অথবা ৮৩৩১০৯০ (দেশ)/ +৮৮-০২-৮৩৩১০৯০ (বিদেশ)
টেলিফোন: (০২) ৯৫৬৩০৪০ (অটো হান্টিং), ৯৫৬০০৯৯, ৯৫৬৭১৬১, ৯৫৬৭১৬২, ৯৫৬৯৪১৭
টেলেক্স: 642525 IBANK BJ, 632403 IBANK BJ, 671620 IBANK BJ
ফ্যাক্স: ৮৮০- ২- ৯৫৬৪৫৩২, ৮৮০- ২- ৯৫৬৮৬৩৪
সুইফট: IBBLBDDH
কেবল: ISLAMIBANK
ইমেইল: info@islamibankbd.com
ওয়েবসাইট: www.islamibankbd.com
informative
আসসালামু আলাইকুম, আমার বয়স ১৬ বছর। আমার NID কার্ড এবং পাসপোর্ট থাকলে কি আমি dual currency card করতে পারবো নাকি আমার বয়স ১৮+ হতে হবে?
না, নিতে পারবেন না। আপনার বয়স ১৮+ হতে হবে।