ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিক্রেডিট কার্ডফিনটেক

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড: ফি ও চার্জ

এম এস আকন্দঃ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী শরী’আহ্ ভিত্তিক বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংক। কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার প্রবর্তক এ ব্যাংকটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে পেশাদার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড নামে শরী’আহ্ সম্মত ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে। যেটি ইসলামিক আর্থিক দক্ষতা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের গাইডলাইন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এটি ইসলামী শরী’আহ্ এর উজরা ধারণার উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে, যার অর্থ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফি গ্রাহককে চার্জ করা হবে। এটি গ্রাহকদেরকে সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা বা নির্ধারিত তারিখে বকেয়া ব্যালেন্সের ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ প্রদানের বিকল্প সুবিধা দিয়ে থাকে৷ ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড নগদ অর্থ বহনে ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং প্রতিদিন কেনা কাটা করতে সহজ হবে। আজকের লেখায় ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর ফি ও চার্জ সমূহ তুলে ধরা হলো-

আরও দেখুন:
ইসলামী ব্যাংক সেলফিন
ইসলামী ব্যাংক সেলফিন (ভিডিও)
ইসলামী ব্যাংকের স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ
সেলফিনে প্রবলেম? সেলফিনেই কমপ্লেইন!

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ফি ও চার্জ:

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) এর বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড (ভিসা গোল্ড কার্ড-১, ভিসা গোল্ড কার্ড-২, ভিসা প্ল্যাটিনাম কার্ড, ভিসা প্রায়োরিটি প্ল্যাটিনাম কার্ড, মাস্টারকার্ড গোল্ড খিদমাহ কার্ড এবং মাস্টারকার্ড টাইটানিয়াম খিদমাহ কার্ড) রয়েছে। আর খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ধরণের উপর ভিত্তি করে এর কিছু আলাদা সার্ভিস থাকে এবং কিছু সার্ভিস সবার জন্য সমান থাকে। আর এ সকল সার্ভিসের বিপরীতে আলাদা আলাদা ফি, চার্জ এবং ভ্যাট প্রযোজ্য হয় যা গ্রাহককে মাসিক বা বাৎসরিক ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হয়। নিম্নে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) এর খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ফি ও চার্জ সমূহ গ্রাহকদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো-

১. খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু ফি:

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) এর সকল ধরনের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড (ভিসা গোল্ড-১, ভিসা গোল্ড-২, প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম, প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম) ইস্যু করতে কোন ফি লাগে না। অর্থাৎ এই কার্ডগুলো ফ্রি অর্থাৎ চার্জ ছাড়াই ইস্যু করতে পারবেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

২. বার্ষিক/ নবায়ন ফি (প্রাইমারি/ প্রাথমিক কার্ড):

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) থেকে খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে থাকেন, তবে আপনাকে বাৎসরিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ/ ফি দিতে হবে।

    • গোল্ড-১: ১,৫০০ টাকা
    • গোল্ড-২: ২,০০০ টাকা
    • প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ২,৫০০ টাকা
    • প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৩,৫০০ টাকা
    • সিগনেচার/ ওয়ার্ল্ড: কাস্টমার- ৭,০০০ টাকা ও ইসলামী ব্যাংক স্টাফ- ৩,৫০০ টাকা।

*** সাধারণত সেই সকল খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক/ নবায়ন ফি প্রযোজ্য হবে না, যদি কোন কার্ড ধারক POS/ eCom এর মাধ্যমে বছরে @ ১৮টি ট্রানজেকশন করেছেন অথবা POS/ eCom এর মাধ্যমে বছরে @ ১,০০,০০০ টাকা লেনদেন করেছেন।

৩. বার্ষিক/ নবায়ন ফি (ইসলামী ব্যাংক স্টাফ):

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) এর স্টাফ/ এমপ্লয়িদের জন্য খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এ বার্ষিক/ নবায়ন ফি নেই অর্থাৎ তাদের জন্য বার্ষিক/ নবায়ন ফি ফ্রি।

৪. বার্ষিক ফি (সাপ্লিমেন্টারি/ পরিপূরক/ সম্পূরক কার্ড):

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর প্রথম সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি এবং দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি কার্ড এবং পরবর্তী প্রতিটি কার্ডের জন্য ৫০০/- টাকা করে চার্জ করা হবে।

৫. মাসিক কার্ড মেইন্টেন্যান্স ফি:

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর কার্ডধারীকে কোনো মেইন্টেন্যান্স/ রক্ষণাবেক্ষণ ফি দিতে হবে না, যদি তার বকেয়া অর্থ পরিশোধের নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা হয়। আর নিম্নোক্ত হারে মাসিক মেইন্টেন্যান্স (রক্ষণাবেক্ষণ) ফি প্রযোজ্য হবে যদি পেমেন্টের শেষ তারিখের উপর ১০০ টাকা বা তার বেশী বকেয়া থাকে।

  • গোল্ড-১: ৫০০ টাকা
  • গোল্ড-২: ১,০০০ টাকা
  • প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ১,৫০০ টাকা
  • প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ২,৫০০ টাকা
  • সিগনেচার/ ওয়ার্ল্ড: ৩,৫০০ টাকা।

৬. অ্যাকাউন্ট সার্ভিস ফি/ লেট পেমেন্ট ফি:

যদি গ্রাহক কর্তৃক ন্যূনতম পাওনা/ বকেয়া পেমেন্ট নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট সার্ভিস ফি/ লেট পেমেন্ট ফি দিতে হবে না। আর যদি ন্যূনতম পাওনা/ বকেয়া পেমেন্ট নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করা হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট সার্ভিস ফি/ লেট পেমেন্ট ফি নিম্নোক্ত হারে দিতে হবে-

  • গোল্ড-১: ৫০০ টাকা
  • গোল্ড-২: ৫০০ টাকা
  • প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৭৫০ টাকা
  • প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৭৫০ টাকা
  • সিগনেচার/ ওয়ার্ল্ড: ১,০০০ টাকা।

৭. অনুমোদিত সীমা অতিরিক্ত ব্যবহার (ওভার লিমিট) ফি:

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা মাসিক অনুমোদিত সীমা অতিরিক্ত ব্যবহার (ওভার লিমিট) ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • গোল্ড-১: ৫০০ টাকা
  • গোল্ড-২: ৫০০ টাকা
  • প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৭৫০ টাকা
  • প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৭৫০ টাকা
  • সিগনেচার/ ওয়ার্ল্ড: ১,০০০ টাকা।

৮. কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি:

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক যদি তার কার্ডটি কোনো কারনে রিপ্লেসমেন্ট করতে চান সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি দিয়ে পুনরায় কার্ড নিতে পারবেন-

  • গোল্ড-১: ৩০০ টাকা
  • গোল্ড-২: ৪০০ টাকা
  • প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৬০০ টাকা
  • প্রায়োরিটি প্লাটিনাম/ টাইটানিয়াম: ৮০০ টাকা
  • সিগনেচার/ ওয়ার্ল্ড: ১,০০০ টাকা।

৯. লাউঞ্জ ভিজিট ফি:

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ভিসা সিগনেচার/ মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ড কার্ড ধারকরা ৪টি লাউঞ্জ ভিজিট ফ্রি পাবেন। পরবর্তীতে সেই সকল গ্রাহকদের প্রতি ভিজিটে USD ২৭/ প্রকৃত খরচ বিল করা হবে।

১০. পিন রিসেট ফি:

ইসলামী ব্যাংকের সকল ধরনের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের পিন রিসেট ফি- ১০০ টাকা।

১১. নগদ অর্থ উত্তোলন ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছাড়াও ভিসা, মাস্টারকার্ড ও ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে লিমিটের ৫০% পর্যন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা উত্তোলন করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রতি ট্রানজেকশন/ লেনদেনে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক- ২০০ টাকা
  • এনপিএসবি নেটওয়ার্ক- ২১৫ টাকা
  • ভিসা/ মাস্টারকার্ড/ ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক- ২৩০ টাকা।

১২. মিনি স্টেটমেন্ট ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছাড়াও ভিসা, মাস্টারকার্ড ও ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মিনি স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ইসলামী ব্যাংকের এটিএম/ সিআরএম থেকে মিনি স্টেটমেন্ট ফি- ৫ টাকা
  • এনপিএসবি এটিএম/ সিআরএম থেকে মিনি স্টেটমেন্ট ফি- ৫ টাকা।

১৩. ব্যালেন্স ইনকোয়ারি/ অনুসন্ধান ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছাড়াও ভিসা, মাস্টারকার্ড ও ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কার্ডের ব্যালেন্স ইনকোয়ারি/ অনুসন্ধান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ইসলামী ব্যাংকের এটিএম/ সিআরএম থেকে ব্যালেন্স ইনকোয়ারি/ অনুসন্ধান- ফ্রি
  • এনপিএসবি এটিএম/ সিআরএম থেকে ব্যালেন্স ইনকোয়ারি/ অনুসন্ধান- ৫ টাকা
  • ভিসা/ মাস্টারকার্ড/ ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক (দেশ)- ১০ টাকা
  • ভিসা/ মাস্টারকার্ড/ ইউনিয়নপে নেটওয়ার্ক (বিদেশ)- ০.৫০ USD।

১৪. সেলস ভাউচার রিট্রাইভাল (বিক্রয় ভাউচার পুনরুদ্ধার) ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে সেলস ভাউচার রিট্রাইভাল (বিক্রয় ভাউচার পুনরুদ্ধার) করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে গ্রাহককে ৩ মাসের মধ্যে দাবি উপস্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ৫০০ টাকা।

১৫. মাসিক স্টেটমেন্ট/ বিবরণী ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা তাদের একটি মাসিক স্টেটমেন্ট/ বিবরণী ফ্রি অর্থাৎ চার্জ ছাড়াই নিতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীতে স্টেটমেন্ট/ বিবরণী নিতে চাইলে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ৫০০ টাকা।

১৬. সিআইবি প্রসেসিং ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য গ্রাহকের সিআইবি প্রসেস করতে হয়। এক্ষেত্রে সব ধরনের কার্ডে নিম্নোক্ত হারে ফি দিতে হবে-

  • ১০০ টাকা।

১৭. ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং সেলফিন এক্সেস:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ইন্টারনেট ব্যাংকিং (iBanking) এবং সেলফিন (CellFin) এ এক্সেস নেয়া ফ্রি। ইন্টারনেট ব্যাংকিং (iBanking) এবং সেলফিন (CellFin) এ এক্সেস নিয়ে কার্ড এর বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

১৮. ফান্ড ট্রান্সফার ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড থেকে সেলফিন/ ডেবিট কার্ড/ প্রিপেইড কার্ড/ সিবিএস/ এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট/ এমক্যাশ/ এনপিএসবি/ ভিসা-তে ফান্ড ট্রান্সফার করতে নিম্নোক্ত হারে ফি বা চার্জ দিতে হবে-

  • গ্রাহক কার্ড: লেনদেনকৃত টাকার পরিমাণের- ১.০০%
  • স্টাফ কার্ড: লেনদেনকৃত টাকার পরিমাণের- ০.৭০%
  • DBW, HO বিশেষ ক্ষেত্রে/ স্পেশাল ড্রাইভ/ ক্যাম্পেইনে ফি কমানো/ ডিসকাউন্ট ঘোষণা বা ক্যাশ ব্যাক অফার করতে পারে কিন্তু সর্বনিম্ন ০.৭০%।

১৯. এসএমএস ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর জন্য বাৎসরিক ভিত্তিতে ২০০ টাকা এসএমএস চার্জ বা ফি দিতে হয়।

২০. ই-কমার্স লেনদেন ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে অর্থায়নের জন্য ট্রান্সফার/ স্থানান্তর ফি রয়েছে। যেটি নিম্নোক্ত হারে দিতে হবে-

  • লেনদেনকৃত টাকার পরিমাণের- ২.০০%।

২১. ফরেন কারেন্সি ট্রানজেকশন/ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ফরেন কারেন্সি ট্রানজেকশন/ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হারে ফি ও চার্জ দিতে হবে-

  • USD ১ + ১৭০ টাকা + লেনদেনকৃত টাকার পরিমাণের- ২.০০%।

২২. খিদমাহ কার্ডের বিল পেমেন্ট/ পরিশোধ ফি:

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর বিল পেমেন্ট/ পরিশোধ ফি রয়েছে। যেটি নিম্নোক্ত হারে দিতে হবে-

  • ইসলামী ব্যাংকের শাখা/ উপ-শাখা/ এটিএম/ সিআরএম/ ইএফটি/ এনপিএসবি থেকে খিদমাহ কার্ডের বিল পরিশোধ ফি- ফ্রি
  • ভিসা/ মাস্টারকার্ড/ ইউনিয়নপে থেকে খিদমাহ কার্ডের বিল পেমেন্ট ফি- প্রতি লেনদেনে ৩৫ টাকা।

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ফি এবং চার্জের জন্য সাধারণ নিয়মাবলী

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) এর খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড এর ফি এবং চার্জের জন্য সাধারণ নিয়মাবলী সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১) হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের তারিখ: প্রতি মাসের ২৭ তারিখ।
২) বিল পরিশোধের তারিখ: হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের তারিখ (প্রতি মাসের ২৭ তারিখ) এর পর হতে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত।
৩) ন্যূনতম পরিমাণ পরিশোধ করতে হবে: ব্যবহৃত পরিমাণের ৫% বা স্লাইভার কার্ডের জন্য ১২০০ টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ২৪০০ এবং প্ল্যাটিনাম কার্ডের জন্য ৪০০০ টাকা।
৪) তৃতীয় পক্ষের আউটলেটে ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট: প্রকৃত চার্জ অনুযায়ী + টাকা ১০/- পর্যন্ত।
৫) নগদ অর্থ তোলার সুবিধার পরিমাণ প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাওয়া যেতে পারে।
৬) অতিরিক্ত খরচ যেমনঃ ডাক, কেবল, কুরিয়ার, ফ্যাক্স, আইনি ফি, ইত্যাদির জন্য চার্জ করা হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য হবে (যেমন @ ১৫% ফি/ চার্জ)। এছাড়াও প্রতিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে যেমন আবগারি শুল্ক প্রযোজ্য হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেও আবগারি শুল্ক প্রযোজ্য যা বছরে এক বার কাটা হবে। তবে ক্রেডিট কার্ড এর লিমিট ১ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকলে সে ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক প্রদান করতে হয় না, এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে অবশ্যই আবগারি শুল্ক দিতে হবে।

আরও দেখুন:
সেলফিনের মাধ্যমে ঘরে বসে আইবিবিএল অ্যাকাউন্ট খুলুন
সেলফিনের মাধ্যমে স্পট ক্যাশ (ফরেন রেমিটেন্স) গ্রহণ
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে আইবিবিএল সেলফিন অ্যাপ
ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ সেলফিনে ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি):

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী শরী’আহ্ ভিত্তিক বেসরকারি খাতের একটি বানিজ্যিক ব্যাংক। কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার প্রবর্তক এ ব্যাংকটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে পেশাদার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ “AAA” রেটিংধারী ব্যাংক এবং আইএসও (ISO) সনদপ্রাপ্ত। এটি ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ-এর তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান। সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ ইসলামী ব্যাংক প্রতি বছর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার অর্জন করছে।

লন্ডনভিত্তিক ব্যাংকিং বিষয়ক ম্যাগাজিন “দি ব্যাংকার”-এ বিশ্বসেরা ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় ২০১২ সাল থেকে সাফল্যের সাথে অবস্থান করছে। শিল্পায়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ইসলামী ব্যাংক। আন্তরিক গ্রাহকসেবা, সর্ববৃহৎ অনলাইন নেটওয়ার্ক এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে প্রায় একুশ হাজার দক্ষ কর্মীর এই ব্যাংকটি দেশব্যাপী ৩৯৪টি শাখা, ২৩৪টি উপশাখা, ২৬৯৩টি এজেন্ট আউটলেট, ২৯৫০টি এটিএম-সিআরএম এর মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ গ্রাহককে সার্বক্ষনিক (২৪/৭) সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আকন্দ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিপিএলসি)

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (Islami Bank Bangladesh PLC), হেড অফিস: ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার, ৪০, দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০ বাংলাদেশ অথবা ব্যাংকের যেকোন শাখা/ উপ-শাখা/ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট-এ যোগাযোগ করুন
জিপিও বক্স নম্বর: ২৩৩
✆ কল সেন্টার: ১৬২৫৯ অথবা ৮৩৩১০৯০ (দেশ)/ +৮৮-০২-৮৩৩১০৯০ (বিদেশ)
টেলিফোন: (০২) ৯৫৬৩০৪০ (অটো হান্টিং), ৯৫৬০০৯৯, ৯৫৬৭১৬১, ৯৫৬৭১৬২, ৯৫৬৯৪১৭
টেলেক্স: 642525 IBANK BJ, 632403 IBANK BJ, 671620 IBANK BJ
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬৪৫৩২, ৮৮০-২-৯৫৬৮৬৩৪
সুইফট: IBBLBDDH
কেবল: ISLAMIBANK
ইমেইল: info@islamibankbd.com
ওয়েবসাইট: www.islamibankbd.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button