ইসলামী ব্যাংকের জন্য কি ব্যবসা করা হারাম?
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভাল আছেন। আজ আলোচনা করবো ইসলামী ব্যাংকের জন্য কি ব্যবসা করা হারাম? সেই সম্পর্কে।
ইসলামী ব্যাংক মুলত দুটি পদ্ধতিতে ব্যাবসা করে।
১. মুদারাবা ও
২. বাই মুয়াজ্জাল।
গ্রাহক প্রতারণার আশংকা থাকায় মুদারাবা পদ্ধতিতে কেবল তাদেরকেই ঋণ দেয়া হয় যারা খুব বিশ্বস্ত। আর সাধারণ ক্ষেত্রে অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋণ দেয়া হয় বাই মুয়াজ্জাল পদ্ধতিতে। দুটি পদ্ধতিই ১০০% হালাল। দুটাই জেনুইন ব্যবসা। সুদের সাথে এদের দুরতম সম্পর্কও নাই।
• বাই মুয়াজ্জাল পদ্ধতিটি কি?
মনে করুন আপনি সাবানের খুচরা বিক্রেতা। আপনি প্রতি পিস সাবান ১৫ টাকা পাইকারি দরে ক্রয় করেন যা কোম্পানী কর্তৃক ফিক্সড। সেই সাবান আপনি বিক্রি করেন সাবানের গায়ে লেখা দাম ২০ টাকা যা ফিক্সড। অর্থাৎ এক্ষেত্রে লভ্যাংশ হচ্ছে ৫ টাকা যা ফিক্সড।
অর্থাৎ ব্যবসায় লাভ অনেক ক্ষেত্রেই ফিক্সড হতে পারে।
আপনি জানেন এই ব্যবসা সম্পুর্ন হালাল। ১০০% হালাল। এখন আপনি যদি বাকিতে সাবান বিক্রি করেন তখন কি ব্যবসা হারাম হয়ে যাবে? না। বাকিতে বিক্রি করলেও তা ১০০% হালাল। মনে করুন ক্রেতার কাছে আপাতত টাকা নেই। এমন অবস্থায় বিক্রি না করলে আপনার লাভ কি? বরং বাকিতে বিক্রি করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তার যখন টাকা হবে সে টাকা (২০ টাকা) জমা দিয়ে দিবে। অর্থাৎ বাকিতে বিক্রি করলেও আপনি ৫ টাকা লাভ পেয়ে যাবেন। ইসলামী ব্যাংক এই কাজটিই করে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ইসলামী ব্যাংক বাই মুয়াজ্জাল পদ্ধতিতে সরাসরি টাকা লোন দেয় না। বরং ক্রেতার কাছে বাকিতে জিনিস বিক্রি করে। মনে করুন ক্রেতার একটি ট্রাক্টর প্রয়োজন। ধরুন ক্রেতা ট্রাক্টর কিনবে ১ লক্ষ টাকায়। ইসলামী ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি টাকা দিবে না। বরং ইসলামী ব্যাংক প্রথমে ৯০ হাজার টাকায় ট্রাক্টর কিনবে অতপর ১ লক্ষ টাকায় অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা লাভে গ্রাহকের কাছে বাকিতে ট্রাক্টর বিক্রি করবে। এবং টাকা পরিশোধের জন্য একটি সময় দিবে। অর্থাৎ এটা ১০০% জেনুইন ব্যবসা। এটাকে ঘুরিয়ে সুদ বা মন্দের ভালো বলার সুযোগ নেই।
আর যদি এর পরও ব্যবসাকে সুদ অথবা সুদকে ব্যবসা বলতে আপনার ইচ্ছে হয় অথবা মনে হয় দুটা একই জিনিস বা একই রকম তাহলে মনে রাখুন
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন –
“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে পাগল করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।..” সুরা-বাকারা ২৭৫
বি দ্রঃ ইসলামী ব্যাংক বলতে ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেমকে বুঝানো হয়েছে।
কার্টেসিঃ সংগৃহীত
বাই ও শেয়ার মুড। আবার সেগুলুতে বাই মুয়াজ্জালও আছে মুদারাবাও আছে ! ভালো করে জেনে লেখা উচিৎ!