দারিদ্র্য বিমোচনে প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
মোহাম্মদ জমিরঃ গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সাইবার পরিসরের অব্যাহত ব্যবহার আন্তঃদেশীয় সীমানার বাধা ডিঙিয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে জোরালো অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করেছে। ইলেকট্রনিক ও সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজ দারিদ্র্য সম্পর্কে আরো বেশি সতর্ক, সজাগ। আমরা এখনো বিরাজমান অসমতা, বৈষম্য ও দুর্নীতির গল্পের একটা বাস্তব সময়ের মুখোমুখি, যেগুলো প্রবৃদ্ধির ভুল বণ্টন কিংবা সীমিত সম্পদের অপব্যবহারে ভূমিকা রাখছে।
এ প্রেক্ষাপটে আমাদের অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) কথা, যে বৈশ্বিক উদ্যোগটি দারিদ্র্য বিমোচনে প্রভূত ভূমিকা রেখেছে। এটি আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এখনো অবশ্য দারিদ্র্যের সমস্যা দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশে বড় মাত্রায় রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কেননা, এখানে জনসংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়নের কাছাকাছি, যার মধ্যে প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীই স্বীকৃত দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
আরও দেখুন:
◾দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ
◾ ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য বিমোচনে কতটা সহায়ক
◾ দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ: ভূমিকা, বিতর্ক ও বিকল্প ভাবনা
কেউ কেউ আয় বঞ্চনার রূপ হিসেবে দারিদ্র্যকে বিবেচনা করে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ‘দারিদ্র্যসীমার ওপর ও নিচের’ আয়ের উত্থান-পতন সম্পর্কিত সূচকের মাধ্যমে দারিদ্র্য মাত্রা চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। এ সূত্র অনুযায়ী, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় যদি প্রান্তিকভাবে বাড়ে, পর্যাপ্তভাবে তারা যদি নিজেদের পূর্বনির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার ওপরে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে সেটিই দারিদ্র্য বিমোচনের স্বীকৃত রূপ হিসেবে পরিগণিত হয়।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
তবে এ সূত্রের সমস্যা এসব লোকের নাজুকতার ধারাবাহিকতার মধ্যেই নিহিত, যারা এখনো প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে। উদাহরণস্বরূপ, সামান্য উন্নয়ন বা অর্জন সত্ত্বেও যেমনটা দেখা যায় যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুব সহজেই আবার দারিদ্র্যের চক্রে পড়ে যায়। তারপর ঘুরে দাঁড়াতে তাদের অনেক সময় লেগে যায়।
এ ধরনের ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিবিদদের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দারিদ্র্যকে পুনঃসংজ্ঞায়নে প্রবৃত্ত করেছে। একই সঙ্গে তারা এটিকে একটি ধরন (ফরম্যাট) হিসেবে বোঝার চেষ্টা করেছে, যেটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে অংশগ্রহণ কিংবা বৈষম্য, রাজনৈতিকীকরণ বা অপশাসনের কারণে সমতামূলক সুযোগ-সুবিধা থেকে একটা জনগোষ্ঠী বাদ পড়ার ফলে সৃষ্টি হতে পারে। তারা (অর্থনীতিবিদরা) জীবনমানের আরো উন্নয়ন এবং ঋণ সম্প্রসারণের সুযোগের অভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্থায়ী উন্নয়ন করা যায় কিনা, সেসব প্রচেষ্টা বা উপায় খতিয়ে দেখছে।
বিশ্লেষকরা মনে হয় এখন একমত হবেন যে, দারিদ্র্য হ্রাসের বাস্তবমুখী নীতিগুলোয় জটিলতাগুলো চিহ্নিত করা গেলে তা জনগোষ্ঠীর বাদ পড়া অংশের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য কররে। এ প্রেক্ষাপটে তারা অবহেলিত জনগোষ্ঠী কাজ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ঋণ সুবিধা পেতে সমর্থ হবে, এমন পদক্ষেপ নেয়ার ওপরই জোর দিচ্ছেন। তদুপরি এটা ক্ষুদ্র উদ্যোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মনে হচ্ছে, যদি এ ধরনের কাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা যায় তাহলে বাজারশক্তি বাধা ডিঙিয়ে সামনে এগোবে এবং সেটি দারিদ্র্য হ্রাসে প্রভূত সহায়ক হবে।
সাধারণত মনে করা হয় যে, দারিদ্র্য বিমোচনের কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গিভিত্তিক এ ধরনের একটি অ্যাপ্রোচ অবশেষে একটি মোমেন্টাম সৃষ্টি করবে, যা মানবসম্পদের অবয়বে একটি বৃহত্তর ও বিপুলসংখ্যক সম্পদ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে বিরাজমান সক্ষমতাজনিত অসমতা দূর করবে। এভাবে এটি ‘বাদ পড়াদের’ কেবল অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক উভয় পর্যায়ে সমতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি করবে না, উপরন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারসৃষ্ট যেকোনো অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সমর্থ করে তুলবে তাদের। এটা জবাবদিহিতাও বাড়াবে। এমনটি হলে সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এটিকে সহজেই এগিয়ে নিতে পারবে।
কাজেই এ দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে কেউ যদি আর্থসামাজিক ম্যাট্রিক্স বিশ্লেষণ করে তাহলে তাকে অবশ্যই কাঠামোগত অন্যায্যতার বিষয়গুলোয় দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষত উৎপাদনমূলক সম্পদ, বাজার, মানব উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং সুশাসনের মতো সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখা কিছু ফ্যাক্টর সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। এসব ফ্যাক্টরের মধ্যে যেকোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বেশ যথাযথভাবেই এসব ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন, কোথায় দারিদ্র্য বিরাজ করে। তিনি ধন ও জ্ঞান-শিক্ষায় অসম প্রবেশাধিকারের বিষয়টি গভীরভাবে উন্মোচন করেছেন। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের পরিচালিত কিছু জরিপেও এ অনুমান-পূর্ব ধারণার মিল পাওয়া যায়। সেখানে উঠে এসেছে যে গ্রামীণ দারিদ্র্য সৃষ্টি হয় মূলত ভূমি, পানি ও জলাধার-জলাভূমির অপর্যাপ্ত প্রবেশাধিকার থেকে। এ দৃশ্যপটে ভূমিহীন কিংবা ভূমি দরিদ্ররা এসব সম্পদের অভিগম্যতা পায় ‘শোষণমূলক ইজারা ব্যবস্থার’ মধ্য দিয়ে। এটি নগর দারিদ্র্যের বেলায়ও সত্য। নগরে তাদেরও করপোরেট সম্পদের প্রবেশাধিকার নেই। এ ডিনামিক্সই দারিদ্র্য জিইয়ে রাখছে।
উদাহরণস্বরূপ, গ্রাম-শহর নির্বিশেষে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে ভূমি মালিকানা একটি বড় ইস্যু। এরও আরেকটি দ্যোতনা আছে। ভূমির আয় সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বটে, তবে সামাজিক স্তরায়নের মধ্যে এটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ষমতা ও অবস্থানের প্রতিফলিত মানদণ্ডে পরিণত হয়। যখন প্রয়োজন তখন এটি আর্থিক খাত থেকে ঋণ পাওয়ার উপকরণ হিসেবেও কাজ করে।
মনে করা হয় যে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ‘উৎপাদনশীল সম্পদের অসম প্রবেশাধিকার’ এ অঞ্চলের কৃষিনৈপুণ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি ভূমিহীনদের গ্রামীণ দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসাও ব্যাহত করেছে। এ পর্যবেক্ষণ অনেকাংশে সত্য বৈকি।
সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য ক্ষুদ্র ও খোরাকিনির্ভর চাষীরা গ্রামীণ অর্থনীতিতে সেকেন্ডারি কর্মকাণ্ড (অকৃষিকাজ) চাঙ্গা করতে দৃষ্টি দিয়েছে। এটা তাত্পর্যজনকভাবে কৃষিবহির্ভূত অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং আয় দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রেখেছে। এর চমত্কার দৃষ্টান্ত পোলট্রি খামার ও শহর এলাকায় বিক্রির জন্য স্ট্রবেরি এবং ড্রাগন ফলের মতো ফলমূল উৎপাদনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো কৃষক অর্থকড়ি ফসল হিসেবে ফুল চাষে ঝুঁকেছে। এসব নতুন ক্ষেত্র ধীরে ধীরে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে এবং এগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখছে।
গ্রামীণ দরিদ্রদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্নয়নে আরেকটি দিক যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ভূমিকা পালন করছে তা হলো ডিজিটালাইজেশন ও মোবাইল ফোন প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তি পণ্য বিপণনে যুক্ত মধ্যস্বত্বভোগীরা যে অন্যায্য সুবিধা পেয়েছিল তা অনেকাংশে কমিয়েছে। গ্রামীণ উৎপাদকরা এখন শহরের বাজারে সম্ভাব্য খুচরো দাম নিশ্চিতে সমর্থ। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রফিট মার্জিনেও একটা রাশ টানা গেছে। এভাবে এটি গ্রামীণ আয় বাড়াচ্ছে, যেটি মাছ চাষের প্রেক্ষাপটে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঋণ বাজারের ব্যর্থতার পাল্টামুখী পদক্ষেপ হিসেবে ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধার উদ্ভব ঘটেছে। বাস্তবে এটি বাদ পড়া জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকার চাহিদা পূরণে সাহায্য করেছে, কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য পর্যাপ্তভাবে সমর্থ করে তুলতে গ্রাহকদের ক্ষমতায়িত করতে তেমন একটা সাহায্য করেনি, করছে না। কিছু অর্থনীতিবিদের মতে, এতে ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকরা সীমিত সম্ভাবনা ও উচ্চ সুদহার নিয়ে ক্ষুদ্র অর্থনীতির চক্রের মধ্যে আটকে রয়েছে।
এখানে এটা উল্লেখ করা জরুরি যে আয়-দারিদ্র্য বা বৈষম্যের সঙ্গে নিম্ন উৎপাদনশীলতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে যুক্ত। এভাবে এটি সামর্থ্যযোগ্য ব্যয়ে উচ্চতর শিক্ষা এবং প্রযুক্তির প্রবেশগম্যতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা সমাধানে নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক মহলকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক উপায়ে শিক্ষা ও কারিগরি-বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে অধিক বরাদ্দ দিতে হবে এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এটা দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মানবসম্পদের ভিত্তি বিনির্মাণে সাহায্য করবে বৈকি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরো কিছু দেশ তথ্য অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া প্রবর্তন করেছে। এটা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী ও পিছিয়ে থাকা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে প্রধান প্রধান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তিতে সাহায্য করছে। এটা স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন ও জবাবদিহিতার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উপায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বঞ্চনা ও দারিদ্র্য হ্রাসে এসব খুব তাত্পর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খবরের কাগজ, ইলেকট্রনিক, সম্প্রচার এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার এটিও নিশ্চিত করছে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও গণনজরদারির (পাবলিক স্ক্রুটিনি) বাইরে এবং এর ফলে যখন প্রয়োজন তখন তাদেরও কাঠগড়ায় নিয়ে আসা যাচ্ছে।
আমাদের বোঝা দরকার যেকোনো ধরনের দারিদ্র্যই অগ্রহণযোগ্য। তাই এর জন্য দায়ী কারণগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে বাধাগুলো দূর করতে হবে। আমাদের সমন্বিত ও অর্থবহ উপায়ে হস্তক্ষেপগুলো করতে হবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামষ্টিক হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে সমাজ-রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল নিশ্চিত করবে যে আমরা সবাই সমান এবং অন্যদের চেয়ে কেউ কেউ বেশি সমান নয়।
লেখকঃ মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক বিষয়াদি, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক।