অর্থনীতিতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রভাব, গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জ
মো: মাঈন উদ্দীনঃ দেশের অর্থনীতিতে ইসলামী ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলো দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে গেল এবং গত চার দশকে ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সেবা ও আস্থা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে একটি মজবুত অবস্থা তৈরি করে নিয়েছে। ইদানীংকালে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে, ব্যাংকের আমানত, বিনিয়োগ এমনকি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার গুজব, ব্যাংকের অর্থপাচার- এ সব বিষয় নিয়ে নানা খবর মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। কিছু কিছু সাধারণ গ্রাহক গুজবের কারণে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে কিছু পদক্ষেপ ও বিবৃতি দিয়েছে, ফলে জনগণের ক্রমান্বয়ে স্বস্তি ফিরে আসছে। তা ছাড়া ব্যাংকিং খাতে নানা দুর্বলতা, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, সুশাসন ও শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম এবং কাঠামোগত দুর্বলতার বিষয়টিও রয়েছে বলে গবেষকরা মনে করেন।
দেশের বর্তমানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশে প্রথম ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ১৯৮৩ সাল থেকে তারা কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে গড়ে উঠেছে শরিয়াহভিত্তিক আরো ব্যাংক। প্রচলিত ধারার কিছু ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং ধারায় রূপান্তরিত হয়। অনেক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডো চালু করেছে। বর্তমানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; এক্সিম ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এ পর্যন্ত পাঁচটি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর হয়েছে। ১১টি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং শাখা চালু করেছে। ১৩টি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংকিং এর ইতিহাস
গত চার দশকে ইসলামী ব্যাংকগুলো দ্রুত বিকশিত ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। দেশের ব্যাংক খাতে প্রায় ৩০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও এ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। শুধু ২০০৯ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা একটি গাইড লাইন ও কিছু নির্দেশনার ওপর ভর করে এগুলো এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মোট আমানত চার লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি, যা ব্যাংকের মোট আমানতের ২৭ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ তিন লাখ ৮৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা, যা ব্যাংক খাতে মোট বিনিয়োগের ২৯ শতাংশ। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলো অনেক অবদান রেখে চলেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা মোট রেমিট্যান্সের ৩৮ শতাংশ আসছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত, মুনাফায় ও অপারেটিং বিনিয়োগে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
দেশের মোট বিনিয়োগের প্রায় ১২ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ ইসলামী ব্যাংকের। বৈদেশিক মুদ্রার শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সারা বিশ্ব থেকে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে তার ২৯ শতাংশ আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বিশ্বের সেরা এক হাজার ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নাম রয়েছে। পল্লী উন্নয়নেও ইসলামী ব্যাংকগুলো কাজ করে যাচ্ছে। দেশের কৃষি, শিল্প, কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন, বীজ সার সরবরাহ, গার্মেন্ট খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলো অনন্য অবদান রেখে চলেছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গ্রামের দরিদ্র শ্রেণীর মধ্যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বিতরণে ও নানা আর্থিক সাহায্যে ইসলামী ব্যাংকগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির অন্যতম কারণ হলো মানুষের আস্থা ও ব্যাংক কর্মীদের একনিষ্ঠ কর্মতৎপরতা।
ধর্মপ্রাণ মানুষ দিন দিন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছে। ধর্মীয় অনুভূতি, ব্যবসায়বান্ধব বিনিয়োগ ইসলামী ব্যাংককে এগিয়ে নিচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ কাঠামো পণ্য বেচাকেনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণও কম। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস চালু ও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের প্রসার ঘটিয়েও ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের সেবা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যে অবদান রাখাসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডে যেমন- গরিব মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান, দরিদ্রদের মধ্যে বিভিন্ন সময় নানা সাহায্য প্রদান, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারা প্রবর্তন, ভারসম ও শোষণমুক্ত সমাজ ও সম্পদের সুষম বণ্টনের কাজ করার ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইসলামী ব্যাংকগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তবে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সঠিক সুফল যেমন- বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুষম বণ্টন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ গ্রাহকদের বেশি প্রাধান্য দেয়া, সঠিকভাবে শরিয়াহ পরিপালন, কর্মীদের মধ্যে শরিয়াহ জ্ঞানের ঘাটতি, সর্বোপরি গ্রাহকদের মধ্যেও শরিয়াহভিত্তিক ব্যবসায় পরিচালনার বিষয়ে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। আইএমএফের মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল এক হাজার ৬১ দশমিক ৫৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে ছিল ৯৬৬ দশমিক ৪৮৫ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিতে এ প্রেক্ষাপটে দেশের ব্যাংকিং খাতের অবদান ও গুরুত্ব অনেক। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজি সরবরাহের অন্যতম খাত হলো ব্যাংকিং খাত। এই প্রেক্ষাপটে ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত সঙ্কট দেখা দিলে মোট অর্থনীতির ওপর এর ঋণাত্মক প্রভাব দেখা দেবে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলো যেহেতু আমানতের ২৭ শতাংশ বহন করছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের সঠিক হেফাজত অর্থাৎ সঠিক উপায়ে উপর্যুক্ত স্থানে বিনিয়োগ করা উচিত। ইসলামী ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দেখা দিলে গোটা অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব দেখা দেবে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। শরিয়াহভিত্তিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোও শরিয়াহভিত্তিক কার্যক্রমে ঝুঁকছে। বিগত চার দশকে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের দ্রুত বিকাশ ঘটলেও পূর্ণরূপে জনকল্যাণ বা মানুষের উপকার হচ্ছে না। ইসলামী অর্থব্যবস্থার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য শুধু ইসলামী ব্যাংকিংকে সুনির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে রাখলে চলবে না। তার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। জাকাত, সুদমুক্ত অর্থায়ন, ওয়াক্ফসহ সমাজকল্যাণমূলক ইসলামী টুলসের ব্যবহার ও ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
১৯৬০ সালের পর মুসলিম দেশগুলো উপনিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইসলামসম্মত অর্থব্যবস্থা চালুর প্রতি মনোযোগী হয়। এর ফলে বিশ্বের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের সূচনা হয় দুবাইয়ে। ১৯৭৫ সালে প্রথম ইসলামী ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। পাকিস্তানেও ইসলামী ব্যাংকিং শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। ইসলামী ব্যাংকের জন্য আইনও হয়। মালয়েশিয়ায় আগে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ওপর আইন হয়। তার পর ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ব্যাংক খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকিং। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই ব্যাংকিং বিকশিত হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের ৩০ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ করলেও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ওপর সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।
২০২০ সালে সুকুক নামে একটি ইসলামী বন্ড চালু হলেও আর কোনো প্রোডাক্ট তৈরি হয়নি। এসব ব্যাংকের আমানতের সুরক্ষা ও বিনিয়োগের ঝুঁকি কমানোর জন্য রক্ষাকবজগুলো দুর্বল। আমানত ও বিনিয়োগের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও সঙ্কট মোকাবেলায় কোন টুলস নেই। তারল্য সঙ্কটে পড়লে ইসলামী ব্যাংকগুলো কলমানি বাজার থেকে প্রচলিত ধারার মতো ধার করতে পারে না। প্রচলিত ব্যাংকগুলো রিভার্স রেপো ও ট্রেজারি বিল বন্ড ক্রয়ের মাধ্যমে অলস তারল্য নিরাপত্তার সুযোগ পেলেও ইসলামী ব্যাংকগুলো এই ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আমানত ও বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট ইসলামী ফাইন্যানসিয়াল টুলস প্রণয়ন করা উচিত।
ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মতো জনপ্রিয় এই ব্যাংকিংয়ের সুফল পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকা উচিত। পাশাপাশি শরিয়াহ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড থাকা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ইসলামী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের শরিয়াহ পরিপালন বিষয়ের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন ও প্রশিক্ষণে উদ্যোগ জোরদার করা উচিত। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মূলনীতির উন্নতম ভিত্তি হলো, পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৭৫-২৭৭ নম্বর আয়াত। এখানে বলা হয়েছে- ‘যারা সুদ খায় তারা সেই ব্যক্তির মতো যার ওপর শয়তান ভর করে। এটি এই জন্য যে, তারা বলে ক্রয়-বিক্রয় তো সূদের মতো। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন।’ অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অন্যতম মূলনীতি হলো- হারাম থেকে দূরে থাকা ও শরিয়াহসম্মত ব্যবসায় করা, সম্পদের সুষম বণ্টন করে জনকল্যাণ করা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংকিং জনপ্রিয়তা দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ফাইন্যান্সের আকার ২ দশমিক ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। মুসলিম দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশেও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। পৃথক আইনও রয়েছে।
কাজেই বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মতো এত প্রসার ও জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও পৃথক আইন না থাকা দুঃখজনক। এ সম্পর্কে গবেষণাকর্ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্য সিলেবাসে সন্নিবেশিত থাকা উচিত। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক স্থিতিশীলতা ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে ইসলামী অর্থব্যবস্থা। সমাজে নানা বৈষম্য, সম্পদের অসাম্য দূর করতে এই ব্যবস্থা জরুরি। তবে ইসলামী ব্যাংকিং হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার একটি অংশ মাত্র। কাজেই শুধু ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই ইসলামী অর্থব্যবস্থার সুফল সবার ঘরে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তার পরও ইসলামী ব্যাংকিং সঠিকভাবে পরিপালনের পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করা ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসহ গবেষক ও বিশ্লেষকদের ভূমিকা পালন করা উচিত।
লেখকঃ মো: মাঈন উদ্দীন, অর্থনীতি বিশ্লেষক।