আয়কর

আয় ৩ লাখের কম হলে কর দিতে হবে না গেজেট প্রকাশ

৩ লাখ টাকার কম আয় হলে কর দিতে হবে না উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথমদিন বা ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য দেয়া বাজেট প্রস্তাবনায় করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং কর ধাপ অপরিবর্তিত আছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে করদাতার প্রকৃত আয় হ্রাস পাওয়ায় এবং অন্যদিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকায় প্রকৃতপক্ষে করদাতরা কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না।’

ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

‘এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনারভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আমি কোম্পানি ও স্থায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি।’

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির কারদাতার জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর করহার শূন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তার বেশি টাকা আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেটেও আয়করের হার এটাই রাখা হয়েছে।

এছাড়া মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমাও সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা।

পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজনই এই সুবিধা পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button