পাওনা টাকা আদায় করবেন যেভাবে
কারও কাছে টাকা পাওনা রয়েছে? টাকা ধার দেওয়ার সময় তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে নির্দিষ্ট একটি তারিখের মধ্যেই পরিশোধ করে দেবেন। অথচ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দেওয়ায় আপনার পাওনা টাকা ফেরত দিতে তাঁকে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে আপনার টাকা আর ফেরত দেননি। আপনি ভাবছেন কীভাবে আদায় করবেন পাওনা টাকা। আপনি কি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন? পারলেও কীভাবে?
কীভাবে আইনের আশ্রয়
পাওনা টাকা ফেরত না দিলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আদালতের অশ্রয় নিতে হলে মানি মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে দাবি করা টাকার অনুপাতে কোর্ট ফি দাখিল করতে হয়। ফৌজদারি আদালতে আশ্রয় নিতে হলে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে সিআর (নালিশি) মামলা দায়ের করা যায়। এ ছাড়া থানায় এজাহার হিসেবেও মামলা দায়েরের সুযোগ রয়েছে। আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করলে আদালত জবানবন্দি নিয়ে সরাসরি সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি আমলে না নিয়ে পুলিশ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলতে পারে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আমল গ্রহণ করে আদেশ দেন। ফৌজদারি আদালতে মামলা হলে দায়ী ব্যক্তি জামিন না-ও পেতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, দেনাদার টাকা পরিশোধ করার সময় চেকে প্রদান করে থাকেন কিন্তু চেকটি ব্যাংকে নগদায়নের জন্য জমা দিলে চেকটি ডিজঅনার হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে মামলা দায়ের করার সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি টাকা পাওনা থাকে
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি কোনো ঋণগ্রহীতার কাছে ঋণের টাকা পাওনা থাকে, সে ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারে। ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ঋণের বিপরীতে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নিয়ে থাকলে তা নিলামের নোটিশ দিয়ে যদি কোনো ক্রেতা না পায়, সেক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে থাকে। পরবর্তী সময় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে টাকা পরিশোধের ডিক্রি দিয়ে থাকেন আদালত। টাকা আদায় না হলে পরে ডিক্রি জারি মামলা দায়ের করে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সে টাকা আদায় করতে পারে কিংবা বন্ধকী সম্পত্তির মালিকানার সনদ নিতে পারে এবং দখলেও যেতে পারে।
কোনো কর্মচারী বেতনের টাকা পাওনা হলে
কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যদি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান হতে কোনো মজুরি বা অন্যান্য আইনসম্মত টাকা পাওনা থাকেন কিংবা তাঁকে পরিশোধ করা না হয়, তিনি যদি শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অওতাভুক্ত হন, তাহলে শ্রম আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। আর যদি শ্রমিক না হন, তাহলে দেওয়ানি আদালতে পাওনা টাকা আদায়ের মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন। যেকোনো মামলা হলে মামলার যেকোনো স্তরে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে টাকা পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |