ইসলামী ব্যাংক ভিসা ডুয়েল কারেন্সি ‘গোল্ড ডেবিট কার্ড’ নিবেন যেভাবে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রাহকদের সুবিধার্থে EMV চিপযুক্ত VISA ‘গোল্ড ডেবিট কার্ড’ (ডুয়েল কারেন্সি) চালু করেছে। এই ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন এবং ক্রয় সীমা বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকরা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, এটিএম উত্তোলন এবং পিওএস পেমেন্ট সুবিধা সহ কেনাকাটা এবং বিদেশে গিয়ে ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সিএনজি স্টেশন, হাসপাতাল, কনফারেন্স হল, কমিউনিটি সেন্টার, চিকিৎসা ইত্যাদির বিল প্রদান করতে পারবেন এবং শাখা প্রাঙ্গনের ভিড় থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
VISA গোল্ড ডেবিট কার্ড পাওয়ার নিয়মাবলী
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চেক বেয়ারিং গ্রাহকরা [ক) আল-ওয়াদিয়াহ চলতি হিসাব (AWCA), খ) মুদারাবা স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট হিসাব (MSND) এবং গ) মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব (MSA)] VISA ডুয়েল কারেন্সি গোল্ড ডেবিট কার্ড পেতে তার নিজ নিজ শাখার মাধ্যমে অর্থাৎ যে শাখায় হিসাব খুলেছেন সে শাখায় আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংকের লোগোর তাৎপর্য
◾ ইসলামী ব্যাংক ভিসা মানি ট্রান্সফার
◾ এক নজরে ইসলামী ব্যাংক
যেভাবে নিবেন
ধাপ-১: আপনার পুরাতন ডেবিট কার্ড (যদি থাকে) নিয়ে শাখায় যাবেন। বলবেন ভিসা প্লাটিনাম ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড নিতে চাই। পুরাতন কার্ড থাকলে সেটা শাখা জমা নিবে এবং বাতিল করে দিবে। গোল্ড নতুন কার্ডের জন্য রিকুয়েস্ট নিবে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ধাপ-২: কার্ড তৈরি হয়ে শাখায় আসলে আপনাকে ফোনে বা এসএমএসে জানানো হবে। সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগে।
ধাপ-৩: কার্ড নেয়ার পর যথারীতি এটিএম থেকে পিন সেট করে নিবেন। আর হেল্পলাইনে কল দিয়ে দেশি ই-কমার্স একটিভ করে নিবেন।
এবার আসি ডুয়েল কারেন্সি কিভাবে ব্যবহার করবেন। আপনার একাউন্ট যে শাখায়, সেখানে যদি “Foreign Exchange Department” থাকে তাহলে ধাপ-৪ প্রয়োজন পড়বে না। সরাসরি ধাপ-৫ এ চলে যাবেন।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংকের স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ
◾ ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ- মোবাইল ব্যাংকিং
◾ ইসলামী ব্যাংক ‘ক্লাসিক ডেবিট কার্ড’
ধাপ-৪: যদি আপনার শাখায় Foreign Exchange Department না থাকে তাহলে আপনাকে এই ধাপটি অনুসরণ করতে হবে। অতঃপর ধাপ-৫ এ যাবেন। প্রথমে শাখা ম্যানেজার বরাবর একটি আবেদনপত্র লিখবেন। নির্দিষ্ট কোন ফরম্যাট নেই। তবে বিষয়টা হবে এ রকম- ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহারের অনুমতি সংক্রান্ত। আবেদনে আপনার কার্ড নাম্বার, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করবেন। এবার চারটা জিনিস নিয়ে আপনার শাখায় যাবেন। আবেদনপত্র, পাসপোর্ট, কার্ড ও পাসপোর্টের যে পাতায় নিজের তথ্য থাকে সেই পাতার ফটোকপি। শাখা থেকে এগুলো দেখে আপনাকে একটা Forwarding Letter দিবে। এটাসহ আগের ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আপনাকে অন্য শাখায় যেতে বলবে যেখানে Foreign Exchange Department আছে।
ধাপ-৫: Foreign Exchange Department এ গিয়ে বলবেন ডলার এনডোর্স করাতে চাই। পাসপোর্ট ও কার্ড দেখতে চাইবে। একটা ফর্ম দিবে সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্বাক্ষর দিবেন। এক ক্যালেন্ডার বছরের জন্য সর্বোচ্চ ১২,০০০ ডলার এন্ডোর্স করাতে পারবেন। পাসপোর্টের শেষ পাতায় একটা সিল দিয়ে দিবে। এটাই এন্ডোর্সমেন্ট। এই পাতার ফটোকপি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট রেখে দিবে। আপনি পাসপোর্ট আর কার্ড নিয়ে ফিরে আসবেন।
ধাপ-৬: যেদিন এন্ডোর্স করালেন তারপর এক বা দুই কার্যদিবস অপেক্ষা করবেন। এরপর হেল্পলাইনে কল দিবেন। তিন ধরনের সেবা আছে- দেশে বসে বিদেশি ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট, বিদেশে গিয়ে POS মেশিনে কেনাকাটা এবং বিদেশের এটিএম থেকে সে দেশের মুদ্রা উত্তোলন। আপনার যে সেবাগুলো প্রয়োজন সেগুলো বললে একটিভ করে দিবে।
আরো কিছু তথ্য
✓ গোল্ড কার্ডের চার্জ ৫৭৫ টাকা ভ্যাট সহ। শাখা থেকে স্পষ্ট করে বলেছে। কার্ড ইস্যু চার্জ ফ্রি, বার্ষিক চার্জ ৫৭৫ টাকা (৫০০+১৫% ভ্যাট)। (এটা আগস্ট মাসের কথা। এরপর চার্জ আপডেট হয়েছে কিনা বলতে পারছি না।)
✓ কার্ড শাখায় আসার পর ফোন বা এসএমএস নাও আসতে পারে। তাই আপনি চাইলে নিজেও মাঝে মাঝে খোজ নিতে পারেন যে কার্ড এসেছে কিনা।
✓ ধাপ-৪ তেমন বাঁধা-ধরা নিয়মের কিছু না। আপনার শাখা অন্যভাবেও কাজটা করতে পারে। তাই আপনার শাখা থেকে নিয়মটা জেনে নিবেন ভালমত। আমার শাখায় এভাবে করতে বলেছিল। এন্ডোর্স করাতে কোন ফি প্রয়োজন নেই।
✓ অনেকের একাউন্ট ও পাসপোর্টের স্বাক্ষর আলাদা। এন্ডোর্সের জন্য যে ফর্ম দিবে সেখানে অবশ্যই পাসপোর্টের স্বাক্ষর দিবেন।
✓ ক্যালেন্ডার বছর মানে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১ সালের যে দিনেই আপনি এন্ডোর্স করান না কেন, তার মেয়াদ থাকবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। এরপর ২০২২ সালে আপনাকে আবার এন্ডোর্স করাতে হবে।
✓ বিদেশের ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট করেছি। কোন সমস্যা হয় নি। আশা করছি ভবিষ্যতেও ভাল সার্ভিস পাবো কার্ডটা থেকে। কোন তথ্যে ভুল থাকলে জানাবেন। ধন্যবাদ।
আরও দেখুন:
◾ ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ‘গোল্ড ডেবিট কার্ড’
◾ ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ‘প্লাটিনাম ডেবিট কার্ড’
◾ ইসলামী ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং- ব্যাংকিং এখন যখন তখন
◾ ইসলামী ব্যাংক সেলফিন