পর্যটনে ট্যুর অপারেটরদের বিনিয়োগ কতখানি?
তৌফিক রহমানঃ পর্যটনে বিনিয়োগ যেকোনো দেশের জন্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পর্যটনপ্রিয় সব দেশই দেশী কিংবা বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সবসময় নানা রকম বিনিয়োগ সেমিনার-ওয়ার্কশপ কিংবা রোডশোর আয়োজন করে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমেরিকার চারটি শহরে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য রোডশোর আয়োজন করেছে, যেখানে বড় বড় শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরেছেন। যদিও সেখানে অনুপস্থিত পর্যটন শিল্প।
দেশের জন্য এ-জাতীয় উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা সবাই জানি, পর্যটন শিল্পের কিছু দৃশ্যমান ও কিছু অদৃশ্যমান বিনিয়োগ থাকে। দৃশ্যমান বিনিয়োগগুলোকে সবাই খালি চোখে দেখতে পায়। যেমন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, থিম পার্ক, বিনোদনকেন্দ্র, পর্যটন জাহাজ, যানবাহন ইত্যাদি। এগুলোয় শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়। আবার বেশকিছু বিনিয়োগ রয়েছে, যা দৃশ্যমান নয় কিন্তু পর্যটন শিল্পের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ। যেমন আমরা বলে থাকি, পর্যটনসেবা কিংবা সার্ভিস। এটি আসলে কী? এটিকে কি খোলা চোখে দেখা কিংবা ছোঁয়া যায়?
আবার ধরা যাক, একজন পর্যটন গাইড, যিনি হয়তো এ বিষয়ের ওপর কোনো সংস্থা থেকে তাত্ত্বিক জ্ঞান নিয়েছেন কিংবা মেধা, প্রজ্ঞা, পরিশ্রম আর কঠোর অধ্যবসায় দিয়ে নিজেকে একজন পর্যটন গাইড হিসেবে গড়ে তুলে এ পেশায় যুক্ত হয়েছেন, তিনি যদি টাকা-পয়সা দিয়ে কোনো ইনস্টিটিউট কিংবা সংস্থা থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগের বিষয়টা হয়তো জানা যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত তার যে পর্যটন ও গাইডবিষয়ক জ্ঞান, তার আর্থিক মূল্যমান কী করে নির্ধারিত হবে।
আরও দেখুন:
◾ ফিনটেক কী এবং কেন?
◾ ফিনটেক এবং ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ
◾ আগামীর ডিজিটাল ব্যাংকিং কেমন হবে
◾ আধুনিক ব্যাংকিং ও ভবিষ্যৎ চাহিদা
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
আবার ধরুন একজন ট্রাভেল এজেন্ট কিংবা ট্যুর অপারেটর, যার আপাতদৃষ্টিতে একটা ছোট অফিস, দু-চারজন কর্মী, কয়েকটা কম্পিউটার-প্রিন্টার, এসি, চেয়ার-টেবিল, আসবাব এবং কিছু ফাইলপত্র ছাড়া আর কোনো কিছুই দৃশ্যমান নয়, তারই-বা পর্যটনে বিনিয়োগ কতখানি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ওয়েবিনারে তাদের সম্পর্কে অন্যান্য পর্যটন সহযোদ্ধার বক্তব্যে আমি যারপরনাই হতাশ হয়েছি। কারণ তাদের ট্যুর অপারেটর কিংবা ট্রাভেল এজেন্ট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাই হলো এরা কমিশনভোগী কিংবা অনেকটা দালাল শ্রেণীর; যা পরের ধনে পোদ্দারিরই শামিল। এদের নিজস্ব কোনো কিছুই নেই—আর্থিক বিনিয়োগ তো দূরের কথা। এরা অন্যের পণ্য বিক্রি করেই বাহবা নেয়। যেমন- হোটেল, রেস্তোরাঁ, জাহাজ, যানবাহন ইত্যাদি।
এরা মূলত টিকিট বিক্রি কিংবা হোটেল-রেস্তোরাঁয় পর্যটক পাঠিয়ে কমিশন নিয়ে থাকে। এগুলো তো আসলেই সত্য কথা। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। তাহলে তাদের পর্যটন শিল্পে কিংবা তাদের নিজস্ব ব্যবসায় আর্থিক বিনিয়োগ কতখানি। আচ্ছা, আমাদের দেশের কথা বাদই দিলাম। পৃথিবীর অন্য সব পর্যটনে সমৃদ্ধ দেশে ট্যুর অপারেটর কিংবা ট্রাভেল এজেন্টদেরই-বা বিনিয়োগ কতখানি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত জনপ্রিয় সব ট্যুর অপারেটর কিংবা ট্রাভেল এজেন্টদেরই কিন্তু একই অবস্থা। ওই ছোট অফিস, স্বল্পসংখ্যক কর্মী আর কম্পিউটার-প্রিন্টার ইত্যাদি। হ্যাঁ তবে একথাও ঠিক যে পৃথিবীর বহু ট্যুর কোম্পানিরই নিজস্ব যানবাহন, ক্রুজ শিপ এমনকি নিজস্ব হোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি রয়েছে, যেটি আমাদের দেশেও রয়েছে।
আমাদের বহু ট্যুর অপারেটরেরই নিজস্ব জাহাজ, ছোট-বড় পর্যটন যানবাহন, রেস্তোরাঁ এমনকি নিজস্ব হোটেল কিংবা গেস্ট হাউজও রয়েছে। আর এসবই তাদের বাড়তি শক্তি। যা থাকলে ভালো কিন্তু না থাকলেও খুব বেশি ক্ষতি নেই। আসল শক্তি হলো একজন ট্যুর অপারেটর কিংবা ট্রাভেল এজেন্টের ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা ও এর প্রয়োগ। এরা হলো মূলত ম্যানুফ্যাকচারার। আপনার কাছে সব পণ্যই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কিন্তু সব পণ্য নিয়ে পর্যটকদের ইচ্ছে ও চাহিদানুযায়ী এই যে মালা গাঁথা, যাকে আমরা প্যাকেজ ট্যুর কিংবা কাস্টমাইজড ট্যুর বলে থাকি, এটিই হচ্ছে আসল কথা। আপনার তৈরীকৃত পণ্যের মান, মূল্য এবং ক্রিয়েটিভিটির কারণে পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়ে ওইসব পণ্য কেনে। তাদের কাছে কোনো ব্র্যান্ডের হোটেল কিংবা কোনো ব্র্যান্ডের যানবাহন কিংবা জাহাজের মানের চেয়েও ট্যুর অপারেটর দ্বারা তৈরীকৃত ভ্রমণসূচি, যাকে আমরা পর্যটনের ভাষায় বলি আইটিনারেরি, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
এজন্য পৃথিবীর দেশে দেশে পর্যটক, পর্যটনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং সরকারি পর্যটন সংস্থার কাছে ট্যুর অপারেটররা সম্মানিত হন এবং পর্যটন উন্নয়নে এদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর তাই তো পৃথিবীর সর্বপ্রথম ট্যুর অপারেটর কোম্পানি কক্স অ্যান্ড কিংস (১৭৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত) আজ ২৬৩ বছর পরেও সারা পৃথিবীতে ক্রিয়াশীল এবং সমানভাবে সম্মানিত কিংবা আরেক বিখ্যাত ট্যুর কোম্পানি থমাস কুক (১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত) ১৮০ বছর পরেও পর্যটনের শীর্ষস্থানটি ধরে রাখেন। কই কক্স অ্যান্ড কিংস কিংবা থমাস কুকের মতো ইংল্যান্ডের কোনো হোটেল, রেস্তোরাঁ, জাহাজ কিংবা যানবাহন আলাদাভাবে কি পর্যটকদের মনে স্থান করে নিতে পেরেছে?
এবার যদি বলি, কক্স অ্যান্ড কিংস কিংবা থমাস কুকের পর্যটনে বিনিয়োগ কতখানি। তাদের নিজস্ব যানবাহন, জাহাজ কিংবা অন্যান্য স্থাপনার কথা বাদই দিলাম। আচ্ছা বলুন তো, এত বছরে অর্জিত ওই দুটো কোম্পানির শুধু ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ কতটুকু? তাকি কোনো হোটেল, যানবাহন কিংবা জাহাজের বাহ্যিক মূল্যের চেয়ে কোনো অংশে কম। আপনার কোম্পানিতে যেসব পর্যটন কর্মী রয়েছেন, যারা টিকিটিং, রিজারভেশন, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, ট্যুর আইটিনারেরি, ট্যুর ডিজাইন, ট্যুর ভিসা ইত্যাদি অসংখ্য পর্যটনকর্মে নিয়োজিত থেকে একটি ট্যুরকে সফল করার ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে কাজ করছেন, তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন। ২০-৩০ বছর ধরে যারা এ শিল্পে তাত্ত্বিক আর ব্যবহারিক প্রক্রিয়াগুলো পর্যায়ক্রমে পেরিয়ে আপনার কোম্পানিকে ক্রিয়াশীল রেখেছেন, আর্থিক মূল্যে কি তাদের মূল্যায়ন করা যাবে?
এবার আসুন, আপনি মানে কোম্পানির মালিক কিংবা প্রধান নির্বাহী কিংবা মূল পরিচালনাকারী। এই যে আপনি নিজের মেধা-মনন, পরিশ্রম, সততা, একাগ্রতা আর সৃজনশীলতায় ছোট প্রতিষ্ঠানটিকে এত বড় করে পর্যটকদের আর সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন, তার মূল্যমান কত। বছরের পর বছর জুড়ে কর্মীদের বেতন-ভাতা, অফিসের ভাড়া, ইলেট্রিক আর অন্যান্য ইউটিলিটিজ বিল পরিশোধ করেছেন, তারও পরিমাণ কত। এর বাইরেও ট্রাভেল এজেন্টরা পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্স ফি, রিনিউ ফি, হজ এজেন্টরা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকেও হজ লাইসেন্স ফি প্রদান করেছেন, তারও বা পরিমাণ কত। ট্যুর অপারেটর আর ট্যুর গাইডদেরও আইনের আওতায় এনে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূরভবিষ্যতে তাদেরও লাইসেন্স ফি প্রদান করতে হবে। এর বাইরে ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), বছর শেষে ইনকাম ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, অডিটর ফি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), কলকারখানা ফি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ইত্যাদি বাবদও বছর বছর অর্থ প্রদান করছেন। এরই-বা পরিমাণ কত?
এসবের বাইরেও আরো অনেক বড় বিনিয়োগও রয়েছে ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্টদের। ধরুন, এই যে বছরের পর বছর ধরে ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্টরা পর্যটন মন্ত্রণালয় আর বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহযোদ্ধা হয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা, পর্যটন সেমিনার, রোডশো ইত্যাদিতে অংশ নিচ্ছেন, আর্থিক মূল্যে এর পরিমাণই-বা কতটুকু?
এবার আসি আরেকটি ভিন্ন প্রসঙ্গে। যেহেতু আমাদের দেশে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম, তাই দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটন জাহাজ কিংবা যানবাহনের সংস্থাগুলো দেশের ট্যুর অপারেটরদের খুব বেশি ধর্তব্যে নেয় না। অথচ ভিন্ন চিত্র পর্যটনে উন্নত দেশগুলোয়। সেখানকার ট্যুর অপারেটররা পর্যটনের স্টেকহোল্ডারদের এক রকম নিয়ন্ত্রণই করে থাকেন, তা স্টার হোটেলই হোক কিংবা পর্যটন যানবাহনই হোক। ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, তুরস্ক সর্বত্রই এ চিত্র। পর্যটন শিল্প বিকশিত হলে আমাদের দেশেও এ অবস্থা ফিরে আসবে, তা বলাই যায়। এসব ইন-বাউন্ড ট্যুর অপারেটর দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নে, কর্মসংস্থানে এবং সর্বোপরি ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিনির্মাণে একটি বড় ভূমিকা রেখে চলেছে।
অথচ সরকার কর্তৃক এরা না কোনো স্বীকৃতি পায়, না কোনো প্রণোদনা পায়। এই যে করোনাকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দু-দুবার সেবা ও হোটেল-রিসোর্ট-থিম পার্কের কর্মীদের সহজ শর্তে প্রণোদনা দেয়ার কথা বলেছেন, সেখানেও ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্টরা উপেক্ষিত। আমার কাছে মনে হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা আসলে এসব ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্টের পর্যটনে অবদান ও বিনিয়োগের বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নন। তা না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এসব প্রণোদনা থেকে কী করে বাদ যান দেশের ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্টরা!
সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশের এসব ট্যুর অপারেটর বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথমত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত বিদেশের যেকোনো পর্যটন মেলায় সর্বাধিকসংখ্যক ট্যুর অপারেটর অংশ নিয়ে থাকেন। অবস্থাটা অনেকটা এ রকম যে যদি ট্যুর অপারেটররা বিদেশের কোনো পর্যটন মেলায় অংশ না নেন, তবে ওই মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আর ট্যুর অপারেটররাই একমাত্র সারা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে। হোটেল-রিসোর্ট প্রতিনিধিরা শুধু তাদের স্থাপনাকেই বিদেশীদের কাছে তুলে ধরে কিন্তু ট্যুর অপারেটররা তুলে ধরে সারা দেশকে। শুধু তাদের ইতিবাচক উপস্থাপনার কারণেই একটি দেশ অত্যন্ত সজীব এবং প্রাণবন্তভাবে উৎসাহীদের চোখে ধরা দেয়। তারা ওই দেশ ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সুতরাং ট্যুর অপারেটরদের পর্যটন শিল্পে অবদান এবং বিনিয়োগ নিয়ে কারো সংশয় থাকার কথা নয়।
পৃথিবীর অন্যান্য পর্যটনে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও ট্যুর অপারেটররাই আগামীতে পর্যটন উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। পর্যটনের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে সৃজনশীলভাবে মালা গাঁথার কাজটিই কিন্তু প্রধানতম কাজ, যেটি ট্যুর অপারেটররাই করে থাকেন। ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতি নেতিবাচক ভাবনার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটুক সংশ্লিষ্টদের। এদের হাত ধরেই আগামীতে আরো বিকশিত হোক দেশের পর্যটক শিল্প—এ প্রত্যাশা রইল।
লেখকঃ তৌফিক রহমান: সাবেক প্রথম সহ সভাপতি, টোয়াব মহাসচিব, প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।