বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বৈদেশিক মুদ্রায় খুলতে পারবেন হিসাব
বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বৈদেশিক মুদ্রায় (এফসি) হিসাব খোলার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে কোম্পানিগুলো যেসব অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে তা বৈদেশিক মুদ্রায় একবছর ধরে রাখতে পারবে। আগে বৈদেশিক মুদ্রা স্থানান্তর হলে তা সঙ্গে সঙ্গে টাকায় রূপান্তরিত করতে হতো।
বুধবার (২১ জুন, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দ্বারা প্রস্তাবিত কোম্পানি বা এন্টারপ্রাইজের নামে অস্থায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মুদ্রাটি শুধুমাত্র মূলধন ব্যয়ের জন্য বহির্মুখী অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। এফসি অ্যাকাউন্টের মেয়াদ হবে খোলার তারিখ থেকে এক বছর।
এতদিন বাংলাদেশে নিবন্ধিত রপ্তানি নির্ভর নয় এমন বিদেশি কোম্পানির বিদেশি কর্মীদের বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ছিল না। এ কারণে তারা স্থানীয় মুদ্রায় বেতন-ভাতা তুলে পরে তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিজ দেশে পাঠাত। এতে ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে অনেকেই হুন্ডিতে আগ্রহী হচ্ছিলেন। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও উৎসাহিত হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
তারা জানান, এতোদিন বিদেশি কোম্পানি দেশে বিনিয়োগের জন্য একটি অস্থায়ী এফসি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ওই এফসি অ্যাকাউন্টে ফরেন কারেন্সি আনা হত। ব্যবসা শুরুর করার সময় তা আবার টাকায় রূপান্তর করতে হত। তাই এখন তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় এফসি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা ফরেন ক্যারেন্সি হোল্ড করতে পারবে।
বিনিয়োগকারী একবছর ধরে ক্যাপিটাল এক্সপেনডিচার হিসেবে ব্যয় করতে পারবে। এমন সুযোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আগ্রহী হবেন এবং একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।