এক্সিম ব্যাংকের কৃষি বিনিয়োগ
কৃষিখাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই উন্নত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সম্ভব, যার মাধ্যমে এ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধিও সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের বর্তমান উদ্যোগ ও নির্দেশণা বাস্তবায়নে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে এলে সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত হয়-এ আশাবাদ থেকেই এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিনিয়োগ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কৃষি বিনিয়োগের উদ্দেশ্য
● খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও দারিদ্র বিমোচনের জন্য ৩টি প্রধান কৃষিখাতে যেমন: শস্য, পশু পালন ও মৎস্যখাতে বিনিয়োগ প্রদান।
● পল্লী অঞ্চলে আত্মকর্মসংস্থান ও আয় উৎসারী কর্মকান্ডে বিনিয়োগ প্রদান।
● কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ণের লক্ষ্যে কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রকল্পে বিনিয়োগ প্রদান।
কর্মসূচির আওতায় উপখাত
স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ:
● ফসল বিনিয়োগ (চা ব্যতীত) রোপা আমন, রবি ফসল, গ্রীষ্মকালীন ফসল, তুলা, অন্যান্য ফসল
● আয় উৎসারী কর্মকান্ড
● মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন
● অন্যান্য স্বল্পমেয়াদী কর্মকান্ড
● কৃষিজাত পন্যের বাজারজাতকরণ
● সেচ যন্ত্রপাতি/কৃষি যন্ত্রপাতি
● পশু পালন
ক) হালের বলদ/মহিষ,
খ) পশু সম্পদ উন্নয়ন (গরু মোটা তাজাকরন, দুগ্ধ খামার, হাঁস মারগীর খামার, ছাগল/ভেড়ার খামার)।
মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন
● পুকুরে মৎস্য চাষ, চিংড়ি চাষ, একুয়াকালচার ও অন্যান্য
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
নার্সারী ও উদ্যানভিত্তিক ফসল
● পান বরজ
● আয় উৎসারী কর্মকান্ড
● গ্রামীণ পরিবহন: নৌকা, রিক্সাভ্যান, গরুর গাড়ী ইত্যাদি
● অন্যান্য মেয়াদী আর্থিক কর্মকান্ড।
অর্থ বরাদ্দ
● মোট কর্মসূচির ৬০% শস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ থাকে।
বিনিয়োগ নিয়মচার ও বিনিয়োগের পরিমাণ
কৃষকদের প্রকৃত চাহিদার নিরিখে এবং বাস্তবসম্মত ফসল আয়সহ সামগ্রিক বিষয়াবলী পর্যালোচনাপূর্বক কৃষকের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে এবং বাস্তবসম্মত তথ্যাদির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য বিষয়াবলী বিবেচনায় এনে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হয়।
● প্রকৃত চাষী যারা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করে কিংবা বর্গাচাষ করে কেবল তারাই নির্দিষ্ট শস্যের বিপরীতে বিনিয়োগ নেয়ার জন্য এ স্কীমের আওতায় আসবে।
● নিজস্ব পুকুরে মৎস্য চাষের নিমিত্তে পোনা ক্রয় এবং মাছের খাবার ক্রয়ের জন্য প্রকৃত প্রয়োজন যাচাইপূর্বক বিনিয়োগ প্রস্তাব এ স্কীমের অন্তর্ভূক্ত হয়।
● গরু ছাগলের খামার স্থাপনের জন্য কিংবা যাদের খামার আছে তা পরিচালনা ও বর্ধিত কলেবরে পরিচালনার জন্য প্রকৃত প্রয়োজন যাচাইপূর্বক প্রস্তুতকৃত বিনিয়োগ প্রস্তাব এ স্কীমের আওতায় আসে।
● তবে কোন ক্ষেত্রেই কোন প্রকার খেলাপি গ্রাহককে বিনিয়োগ দেয়া হয় না।
বিনিয়োগ বিতরনের জন্য বরাদ্দকৃত এলাকা
● শাখার ১০ কিলোমিটার চতুর্পাশের গ্রাম ও ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দাগণই ঐ শাখার বিনিয়োগের আওতায় আসবে। তবে প্রকল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ভেদে ক্ষেত্র বিশেষে তা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
বিনিয়োগের আকার/আয়তন
● বিনিয়োগের আয়তন নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রকৃত প্রয়োজন যাচাইপূর্বক তার ৭০% এর বেশি নয় এভাবে নির্ধারণ করা হয়।
বিনিয়োগের মুনাফার হার
উক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে ঘোষণাকৃত মুনাফা/ভাড়ার হার প্রযোজ্য হয়।
● আবেদন ফরম ও ডকুমেন্ট তৈরীর খরচ বাস্তবভিত্তিক।
জামানত
● শস্যাদি/লাইভস্টক/মৎস্য ও গ্রাহকের সকল ভাসমান সম্পদ ও বিনিয়োগ ব্যাংকের নিকট হাইপোথিকেশন।
● গ্রাহকের খামারের কাগজপত্র/বাড়ীর দলিলপত্র ব্যাংকের নিকট ইকুইটেবল মর্টগেজ থাকে। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
● ব্যাংকারের নিকট গ্রহণযোগ্য স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ২ জন লোকের ব্যক্তিগত জামানত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
শস্য বীমা
● যে কোন প্রাকৃতিক কারণে ফসল বিনষ্ট হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়াল লক্ষ্যে বিনিয়োগ গ্রহিতাগন শস্য বিনিয়োগ গ্রহণের সময় শস্য বীমা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু সরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান এখনও সকল থানা পর্যায়ে ব্যপ্তি লাভ করেনি, তাই ব্যাংকসমূহ বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর শস্য পলিসি বিনিয়োগের জামানত হিসেবে যোগ্য বলে গ্রহণ করতে পারে।
বিনিয়োগ পদ্ধতি
● ব্যাংকের যথা নিয়মে ব্যবসার প্রকৃতির সাথ সঙ্গতি রেখে বাই-মোয়াজ্জাল/বাই-মুরাবাহা/ইজারা বিল বাইয়্যা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
অনুপাত
● বিনিয়োগ ইকুইটি অনুপাত: ৭০:৩০
সময়সীমা
● যে উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ দেয়া হয় তা বিক্রয় উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত সময় দেয়া হতে পারে তবে বাই-মুয়াজ্জাল, মুরাবাহা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে ১ বৎসর এবং ইজারা বিল বাইয়্যার ক্ষেত্রে ২ বৎসর পর্যন্ত মেয়াদ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মাসিক/ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধসূচি করা হয়।
বিনিয়োগ বিতরণ ও আদায়
● ব্যাংক শাখা কর্তৃক যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে বিনিয়োগ বিতরণ, তদারকি ও আদায় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি শস্য উৎপাদন পঞ্জিকা থাকে যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শস্যের জন্য বিতরণকাল ও পরিশোধসূচি স্থানীয় অবস্থার প্রেক্ষিতে ব্যাংকসমূহ নিজেরাই নির্ধারণ করে নেয়। ফসল তোলা পর্যন্ত সময়ে সময়ে গ্রাহকের সাথে নিবিড়ি সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়, যাতে যথাযথ খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণ ও ফসল বিক্রির সাথে সাথেই পরিশোধ সূচি অনুযায়ী আদায় সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
● বিনিয়োগ আবেদন (ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে)।
● আবাদি জমির ব্যবহারের সমর্থনে বৈধ কাগজপত্র (মালিক হলে-দলিল, লীজ হলে-লীজের ডকুমেন্ট, বর্গাচুক্তিপত্র-এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষীসহ)।
● ব্যবসা পরিকল্পনা খরচের খাতসহ বিবরণী, সম্ভাব্য আয়ের বিবরণী, বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা (Marketing arrangement) গুদামজাতকরণের ব্যবস্থা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
● ব্যক্তিগত জামানতদাতার সম্মতিপত্র।
● শাখা ব্যবস্থাপক ও ২য় কর্মকর্তা বিনিয়োগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শন ও জামানত মূল্যায়ন সনদ।
● কোথাও কোন বিনিয়োগ এবং খেলাপি বিনিয়োগ নেই মর্মে অঙ্গীকারনামা।
বিনিয়োগ অনুমোদনে বিবেচ্য বিষয়াবলী
● খামারে গ্রাহকের স্থায়ী সম্পদের মূল্য এবং এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা গ্রাহকের দক্ষতা।
● বিনিয়োগ ব্যবহারের এবং পরিশোধ সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা ও ঘোষণা।
● সন্তোষজনক লেনদেন ও প্রত্যাশিত বার্ষিক আয়।
● বিদ্যমান বিনিয়োগনীতি পরিচালন।
এক্মিম ব্যাংকে বিনিয়োগের জন্য আসার কারণ
● ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক।
● সরল রৈখিক পদ্ধতিতে মুনাফা ও ভাড়া নির্ধারণ।
● ঘোষিত ব্যয় ব্যতীত অন্যকোন ব্যয়/চার্জ নেই।
● দক্ষ জনশক্তি দ্বারা পরিচালিত এবং দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত প্রদান।
বিস্তারিত জানতে
● ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন।
● অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২৪৬ এ কল করুন।
● অথবা ইমেইল করুনঃ info@eximbankbd.com