ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশঃ ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যাংকারদের এক প্লাটফর্মে আসা এখন সময়ের দাবি। আর শ্লোগান হোক “কর্মী বান্ধব ব্যাংক গড়ে তুলুন লাগবে না টার্গেট ব্যাংক হবে সুশাসন আর নিদিষ্ট লক্ষ্য যাবে উন্নতিতে”।
আমরা যারা বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরে আছি তাদের প্রায় সবাইকে প্রাইভেট ব্যাংকে কাজ করতে হয় প্রতিনিয়ত মানসিক, শারীরিক এবং মানবিক এর ভেতর অবস্থানে। আজকে আমরা কেন একে অপরের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে বলছি বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংক এন্ট্রি লেভেল থেকে এক্সিকিউটিভ পদ (এই পদে আবার অনেকেই খুব ভাল আছেন যারা কিনা নিজকে হাসিল করেন তার ব্যাংকের প্রতি এত যত্নবান আর ব্যাংকের মালিকদের চোখে থাকেন হিরো, কেননা দেখবেন এসব কিছু বড় ম্যানেজমেন্ট কর্তারা আছেন তারা ব্যাংকের এমডিকে ও দেন না পাত্তা তবে এটা কিছু ব্যাংকে আছেন এই রকম ক্ষমতাধর কর্মকর্তা। যারা কি না মা থেকে মাসির দরদটা একটু বেশি দেখান)।
এসব অতি তৈলবাজীদের জন্য আজকে ব্যাংকে এক দিকে যেমন সুশাসন অভাব দেখা দিয়েছে আবার অন্য দিকে নিজেদের সব ঠিক রেখে নিজের অধীনস্থদের সুযোগ সুবিধার বারোটা বাঁচাচ্ছেন। যেমন মনে করেন কিছু কিছু ব্যাংক আছে তারা যখন তখন করেন নিয়মিত কর্মীদের ছাঁটাই আবার কোন নিয়ম না মেনে ব্যাংকের কোন সুবিধা দেন না। আপনি মনে করেন একটা ব্যাংকে ২-১৫ বছর যাবৎ কাজ করেছেন যখন আপনি ইস্তফা দিবেন তখন আমার জানামতে কিছু ব্যাংক আছে তাদের যে সুবিধা গুলো পাওয়ার কথা তা দেন না যা কিনা একজন ব্যাংকারের প্রাপ্য। আবার কিছু ব্যাংক আছে এসব সুবিধা পেতে ২/৩ বছরও লাগে। এমনও আজকাল শুনতে পারা যায় ভবিষ্যতে নাকি ব্যাংকের জন্য ফরেন থেকে প্রধান নির্বাহী (সিও) নিয়ে আসা লাগতে পারে। ঐ যে কারণে কিছু কিছু এমডি এদের কর্মদক্ষতা আর মালিকদের চাটুকারীর জন্য।
আপনি দেখেন বর্তমানে প্রায় সব এমডি ১৯৭৭ থেকে ব্যাংকিং প্রফেশনাল শুরু করেছেন এখনও তারা মার্কেটে সনামধন্য ভাবে আছেন। এসবের ভেতর যারা সৎ ও কর্মী ও ব্যবসা বান্ধব ছিলেন তাদেরকে ব্যাংকের উপদেষ্টা নেন। তা না করে যেসব সাবেক আমলা বা সাবেক দূর্নীতিবাজ রাষ্ট্রদূত নিচ্ছেন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর বা উপদেষ্টা হিসেবে। ভেবে দেখেন গত বছর ৯ জন এমডির চাকুরী চলে গেছে কিন্তু তারা প্রত্যেকেই বিগত ৩৫ থেকে ৪২ বছর এই সেক্টরে সুনাম এর সহিত কাজ করেছেন। আবার দেখা গেছে নাম উল্লেখ করলাম না ব্যাংকের এমডি মালিকের সাথে ম্যানেজমেন্ট ও ব্যাংকিং নিয়মের বাহিরে যেতে রাজী না থাকায় ৩ মাস বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছেন। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের অভ্যন্তরীণ নোংরা রাজনীতি বন্ধ করা অতীব জরুরী। তা না হলে এক সময়ের গ্রাহক আর ব্যাংকের মাঝে বেড়ে যাবে দুরত্ব এবং নষ্ট হবে ব্যাংকিং সেক্টরের সুনাম। আমাদের দেশে এখনও অনেক ব্যাংকার আছেন যাদেরকে যদি তাদের কথা ও কাজ করার পরিবেশটি দেন তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের আইডল অব ব্যাংকিং সেক্টরের।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকার ঠিক ভাবে না পারেন ঘুমাইতে না পারেন পরিবারকে সময় দিতে। সেই সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৯ টার আগে কেউ ব্যাংক থেকে বের হতে পারে না (সব ব্যাংক না)। তারপর আছে অভ্যন্তরীণ নোংরা জব রাজনীতি। কার কখন কি হয় তা নিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত চিন্তার ভেতর।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে ব্যাংকাররা একই প্লাটফর্মে আসতে পারবে বলে আসা করছি-
১। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতিকরন যার ফলশ্রুতিতে একে অপরের বিপদে ও সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারি।
২। কোন অহেতুক ও অকারণে ঝামেলায় পড়লে তাকে মানষিক, মানবিক ও আইনগত সাহায্য করা।
৩। ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ফান্ড বা ট্রাস্ট গঠন করা যার ফলশ্রুতিতে আমাদের প্লাটফর্মে কেউ হঠাৎ অকারণে চাকুরী চলে যাওয়া, শারীরিক অসুস্থতায় সাহায্য করা, আর্থিক সাহায্য (লোন) এবং ব্যাংকের চাকুরী শেষ হলে এককালীন সুবিধা দেয়া।
৪। একটি সংগঠন তৈরি করা। যে সংগঠনের থাকবে নির্দিষ্ট একটি রেজুলেশন ও আইনগত ভিত্তিতে সংগঠনকে প্রতিষ্ঠিত করা।
Courtesy: এম রতন, ব্যাংকার অব আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স এন্ড ওয়ালেট, কনসালটেন্ট অব কিউবিসি জাপান।