কয়েক মিনিটেই আসবে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ডলার
কয়েক মিনিটেই আসবে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ডলার– দেশি পেমেন্ট সার্ভিস-প্রিয় পে’র মাধ্যমে কয়েক মিনিটেই বিদেশ থেকে ডলার দেশে আনতে পারবেন ফ্রিল্যান্সররা। এর জন্য গুণতে হবে সবোর্চ্চ এক ডলার। চালুর দেড় মাসের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি গ্রাহক এই সার্ভিস ব্যবহার করে লেনদেন করছেন বলে জানিয়েছে প্রিয় পে কর্তৃপক্ষ। আমেরিকায় চালু করা প্রিয় পে নামে একটি ডিজিটাল ব্যাংকের অধীনেই চালু হয়েছে এই সেবা।
বর্তমানে দেশে কাজ করছেন প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার। তাদের সংগঠনের তথ্যমতে, গত বছর দেশের ফ্রিল্যান্সারদের আয় ছিল এক বিলিয়ন ডলার। এ বছরের প্রথম ৯ মাসে আয় বেড়ে হয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলার। তবে উপার্জনের অর্থ দেশে আনার জটিলতা নিয়ে নানা অভিযোগ ফ্রিল্যান্সারদের। তারা জানান, পেপ্যাল না থাকায় ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ আনতে প্রতিবার লেনদেনে খরচ হয় ১০ ডলার পর্যন্ত।
সমস্যা সমাধানে পেমেন্ট সার্ভিস চালু করেছে ফিনটেক প্রতিষ্ঠান প্রিয় পে। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা আমেরিকা থেকে কয়েক মিনিটেই আনতে পারবেন উপার্জনের ডলার। প্রিয় পেতে অ্যাকাউন্ট থাকলে আয় করা ডলার স্থানীয় ব্যাংকের নিজ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন তারা। পেমেন্টের জন্য গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে মাস্টারকার্ড। আগামী বছরই যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ থেকেও প্রিয় পের মাধ্যমে ডলার আনা যাবে।
প্রিয় পে’র প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘দেশের যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মতো করে টাকাটা দেশে আনতে পারে। ব্যাংকে ৫০ সেন্ট করে চার্জ করি আমরা এটার জন্য, টাকাটা রিসিভ করার জন্য। আবার এই টাকাটা বাংলাদেশে আনার জন্য আমরা চার্জ করি আরও ৫০ সেন্ট। তাহলে যতো টাকাই সে আনুক মাত্র ১ ডলার তার খরচ হচ্ছে। আবার এখানে আসার পর যে কোনো ব্যাংকেই যখন এটা উইথড্র করছেন সেটা ফ্রি।’
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
গত অক্টোবরের শুরুতে সেবাটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। দেড় মাসের মধ্যেই ৬ হাজার গ্রাহক লেনদেন করছেন। তারা জানান, ডলার আনতে আগের চেয়ে খরচ কমেছে।