ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিব্যাংক হিসাব

ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট

বর্তমান সময়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একটি আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যাংক। বিশেষ করে এদের এটিএম কার্ড সাভিস, ফাস্ট ট্রাক, রকেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য। তাই যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুললে কি সুবিধা পাওয়া যায় এবং কি কি কাগজপত্র লাগে?

কারা খুলতে পারে?
যেকোন ব্যাক্তি এ ধরনে্র একায়ন্ট খুলে থাকে। তবে সাধারনত চাকুরিজীবি, পেশাজীবি, ছাত্র, গৃহিনী, প্রবাসী ব্যক্তিরা এধরনের একাউন্ট খুলে থাকে। এই ধরনের একাউন্টে ইচ্ছামত লেনদেন করা যায় না। হিসাবধারীর মাসিক আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই লেনদেনের সীমা নির্ধারন করা হয়ে থাকে। এসব একাউন্টে সুদ দেয়া হয়।

ডিবিবিএল সেভিংস একাউন্ট এর বৈশিষ্ট্য
১. যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই হিসাব খুলতে পারে।
২. গ্রাহক চলতি হিসাবের ন্যায় লেনদেন করতে পারেন না এবং ব্যাংক সুদ প্রদান করে থাকে (যেখানে চলতি হিসাবে কোনো সুদ প্রদান করা হয় না)।
৩. এই হিসাবের বিপরীতে চেক বই ইস্যু করা হয়।
৪. এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হয়।
৫. ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়।
৬. এই হিসাব হতে ব্যাংক সার্ভিজ চার্জ কাটে। এছাড়াও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের বিপরীতে (যেমন- ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং ইত্যাদি) ব্যাংক সার্ভিস চার্জ আরোপ করে থাকে।
৭. যেকোন শাখা থেকে টাকা জমা দেওয়া যায় কিংবা টাকা উত্তোলন করা যায়।
৮. এই হিসাব ব্যক্তি/কর্পোরেট বডি খুলতে পারবে।
৯. এই হিসাব ১৮ বছর অথবা তদুর্ধ ব্যক্তি খুলতে পারবে।
১০. যৌথ নামেও এই হিসাব খোলা যায়।
১১. ট্রাস্ট/ক্লাব/এসোসিয়েসন/সোসাইটি/নন ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানও এই ধরনের হিসাব খুলতে পারে।

ডিবিবিএল সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
• এই হিসাবের বিপরীতে চেক ইস্যু করা হয়।
• এই হিসাবে ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হয়।
• ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া যায়।
• এসএমএস ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া যায়।
• অনলাইন সুবিধা পাওয়া যাবে।
• RTGS ও BEFTN সুবিধা পাওয়া যাবে।
• অন্য শাখায় ফান্ড স্থানান্তর করা যায়।
• লিমিটেড লেনদেন করা যায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ডিবিবিএল সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়মাবলী
নিম্নে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়মাবলী তুলে ধরা হলো-
১. হিসাব খোলার আবেদন পত্র যা আবেদনকারী/আবেদনকারীগণকে পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে (যা ব্যাংক সরবরাহ করবে)।
২. টিপি (TP) ও কেওয়াইসি (KYC) ফরম পূরণ করতে হবে (যা ব্যাংক সরবরাহ করবে)।
৩. পরিচয় প্রদানকারী কর্তৃক সত্যায়িত আবেদনকারী/আবেদনকারীগণের সম্প্রতি তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৪. জাতীয় পরিচয় পত্র/ বৈধ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/নাগরিকত্ব সনদ অথবা অন্যান্য ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্রের অনুলিপি।
৫. ব্যাংকের যে কোন চলতি হিসাবধারী কর্তৃক পরিচিতি প্রদান [পরিচয়দানকারীর হিসাবটি নিয়মিত হবে এবং কমপক্ষে ৬ মাস ধরে হিসাব পরিচালনা করতে হবে]।
৬. নমিনী বা নমিনীগণের বিস্তারিত বিবরণ ও আবেদনকারী কর্তৃক সত্যায়িত প্রত্যেকের ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৭. হিসাব ঠিকানার স্বপক্ষে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, টেলিফোন) এর অনুলিপি (যদি থাকে)।
৮. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে।
৯. হালনাগাদ টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেটের অনুলিপি (যদি থাকে)।

প্রতিষ্ঠানভেদে অতিরিক্ত কাগজপত্র
প্রতিষ্ঠানভেদে এই হিসাব খুলতে নিম্নোক্ত কাগজপত্র লাগে-

প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট হলে (For Trusty Firm)
১. ট্রাস্ট দলিল।
২. আবেদন পত্রে সকল ট্রাস্টির স্বাক্ষর থাকতে হবে।

স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/বিশ্ববিদ্যালয় হলে (For School/College/Madrasah/University)
১. ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন।

ক্লাব ও সোসাইটি হলে (For Club & Society)
১. কনস্টিটিউশন/বাই-লজ (Constitution/bye-laws)।
২. অফিস বেয়ারারদের তালিকা (ঠিকানাসহ)।
৩. অনুমোদিত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ কর্তৃক হিসাবটি খোলা ও পরিচালিত হবে এই মর্মে যথাযথ কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ইত্যাদি (Local authority, City Corporation, Zila Parishad Pourashava etc)
১. যে আইন বা বিধানের মাধ্যমে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান সংগঠিত হয়েছে তার অনুলিপি।

  • বিস্তারিত জানতে
    ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২১৬ এ কল করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
আপনি যদি আয়কর প্রদানকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি E-TIN নাম্বার থেকে থাকে এবং ব্যাংক হিসাব খোলার সময় যদি TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি জমা দেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে যে সুদ/মুনাফা প্রদান করবে তার উপর (আপনার জমাকৃত টাকার উপর নয়) ১০% হারে আয়কর কেটে নিবে অন্যথায় ব্যাংক আপনার প্রাপ্য সুদের উপর ১৫% হারে আয়কর কেটে নিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button