ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফাস্ট ট্র্যাক
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের “ফাস্ট ট্রাক” সহজ ও ঝামেলাহীন একটি ব্যাংকিং পদ্ধতি তা আজ আর কারোই অজানা নেই। ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফাস্ট ট্র্যাক শাখাহীন ব্যাংকিং সুবিধা সম্প্রসারণ ব্যাংকিং শিল্পের সকলের জন্য একটি স্টাইলরূপে পরিণত হয়েছে। মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন শাখাহীন বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার প্রবণতা বেড়েছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক এটিএম নেটওয়ার্ক দ্রুত বৃদ্ধিকরনের সাথে সাথে ২০০৯ সালের নভেম্বরে ফাস্ট ট্র্যাক (Fast Track) নামে একটি নতুন ধারণার সাথে শাখার সাথে সংযুক্ত থেকে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাংকিং এর সুবিধা সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে আসে।
একটি ফাস্ট ট্র্যাক এ ৬-১২টি এটিএম এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এতে ডিপোজিট মেশিন রয়েছে যেখানে গ্রাহক নগদ ক্যাশ, চেক, রিফান্ড ওয়ারেন্ট, ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট ইত্যাদি জমা দিতে পারবেন। বর্তমানে গ্রাহকরা তাদের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এর চেক বইয়ের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন এবং ডেলিভারি নিতে পারবেন।
ফাস্ট ট্র্যাকগুলিতে উপস্থিত কর্মকর্তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খোলার জন্যও সহায়তা করেন। ফাস্ট ট্র্যাকের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি ৯৪৯টিতে পৌঁছেছে। ফাস্ট ট্র্যাক এর সেবাগুলো নীচে তুলে ধরা হলো-
নগদ টাকা উত্তোলন
গ্রাহকরা দিনে ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহের ৭ দিন ফাস্ট ট্র্যাকগুলিতে এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন করতে পারবেন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
নগদ জমা
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রাহকরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দিতে পারবেন। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি লেনদেন ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
অ্যাকাউন্ট খোলা
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাক থেকে গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে সব ধরনের সহায়তা করে। গ্রাহকদের এখন অ্যাকাউন্ট খুলতে শাখায় যেতে হবে না এবং পরবর্তীতে চেক বই, আমানত বই, কার্ড এবং পিন পাবেন।
কার্ড এবং অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সেবা
ফাস্ট ট্র্যাক এর কর্মকর্তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা সরবরাহ করে। সেবার একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলো-
• ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য অনুরোধ (নিজের অ্যাকাউন্টের মধ্যে)
• ডেবিট কার্ডের জন্য অনুরোধ (মাস্টারকার্ড/ভিসা), ক্রেডিট কার্ড (মাস্টারকার্ড/ভিসা)।
নিম্নোক্ত কারনগুলোর জন্য কার্ড (ডেবিট/ক্রেডিট) রিপ্লেসমেন্ট করার অনুরোধ-
• কার্ড হারানো/চুরি
• ভুল নাম/কার্ডে বানান ভুল
• কার্ড এ ভুল ছবি
• কার্ড ড্যামেজ
• ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ এরর/ত্রুটিপূর্ণ কার্ড
• অন্য যেকোন গ্রহণযোগ্য কারণ।
নিম্নোক্ত কারনগুলোর জন্য কার্ড ব্লক করার অনুরোধ-
• এটিএম বা পিওএস টার্মিনালে ভুল পিন প্রবেশ করা
• গ্রাহক কার্ডটি ব্লক করেছেন কার্ড সেন্টারে ফোন করে
• অন্য যেকোন গ্রহণযোগ্য কারণ
• একটি ব্লক কার্ড পুনরায় সক্রিয় করার জন্য অনুরোধ
• পিন পুনরায় ইস্যু করার অনুরোধ
• অ্যাকাউন্ট লিংক করার জন্য অনুরোধ।
ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে নিম্নলিখিত সেবাগুলোর জন্য গ্রাহক অনুরোধ-
• অটো ডেবিট
• কার্ড সীমা বাড়ানো
• লিমিট স্থানান্তর
• সম্পূরক কার্ড প্রাপ্তি
• প্রাথমিক পুনর্নবীকরণ
• কার্ড বাতিল
• কার্ড চেক
• অ্যাকাউন্ট ডেবিট করা হয়েছে কিন্তু নগদ অর্থ পাওয়া জায়নি
• ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট, এসএমএস এবং সতর্কতা সেবা গ্রহণের জন্য আবেদন।
ক্যাপচার্ড কার্ডের ডেলিভারি
যদি কোন ফাস্ট ট্র্যাক এর কোন এটিএমে কোন কার্ড ক্যাপচার হয় তবে ফাস্ট ট্র্যাক অফিসার এটিএমের উপরের চেম্বারটি খুলবে এবং কার্ডের পিছনে রেকর্ডকৃত ছবি এবং স্বাক্ষর পরীক্ষা করে কার্ডধারীর কাছে কার্ডটি হস্তান্তর করবে।
ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে দেশ ব্যাপি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৯৪৯টি ফাস্ট ট্র্যাক নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে এই সংখ্যা সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে।
- ফাস্ট ট্র্যাক নেটওয়ার্কের ঠিকানা পেতে ক্লিক করুন এখানে
- বিস্তারিত জানতে
ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২১৬ এ কল করুন।
আমি ফাস্ট ট্র্যাক আবেদন করছিলাম মোবাইলে ম্যাসেজ ও আসছিল ভূলবসত সেই ম্যাসেজ টা ডিলিট হইছে এখন কত তারিখে ওনারা ডাকছে আর কোথায় ডাকছে এটা কিভাবে জানবো?