সঞ্চয়পত্র নিয়ে এটা সেটা
প্রণব চৌধুরীঃ বর্তমান সময়ে গ্রাহকদের মাঝে বিনিয়োগ এর জন্য আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে বিভিন্ন ধরনের ‘সঞ্চয়পত্র’ প্রকল্প। সরকারের ‘নয়-ছয়’ নীতিমালার বাস্তবায়নের কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের ডিপোজিট এর সুদ বা মুনাফার হার হ্রাস পাওয়ার কারণে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য নিরাপদ একটি বিনিয়োগ মাধ্যমের নাম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। আবার নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার কারণে সঞ্চয়পত্র কিনতে মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। আজ কথা বলব গ্রাহকদের নিকট জনপ্রিয় এই বিনিয়োগ মাধ্যম নিয়ে। আমার লেখার তথ্যগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এর ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন সার্কুলার হতে নেয়া। তো চলুন শুরু করা যাকঃ
সঞ্চয়পত্রের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র চালু করার মাধ্যমে। আর শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রবর্তিত সঞ্চয়পত্রের প্রকল্প সংখ্যা ১০টি। কিন্তু বর্তমানে মোট ৪টি সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। এগুলো হলোঃ
১. ৫ বছর মেয়াদী পরিবার সঞ্চয়পত্র,
২. ৩ বছর মেয়াদী ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র,
৩. ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং
৪. ৫ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
পূর্বে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস, জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনস্ত সকল সঞ্চয় ব্যুরো অফিস ও ডাকঘরসমূহে সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় করা যেত। কিন্তু বর্তমানে উল্লেখিত জায়গাগুলো ছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক মানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ১২২৬টি শাখা হতে সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। তবে যে কেউ চাইলেই সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে ফেলতে পারবেন বিষয়টা এমন নয়। আবার উল্লেখিত ৪ প্রকার সঞ্চয়পত্রের ক্রেতাদের ক্ষেত্রেও নারী, পুরুষ, পেনশনার ও বয়স ভেদে ভিন্নতা আছে। একে একে আলোচনা করা যাক।
১. পরিবার সঞ্চয়পত্রঃ
১৮ বা তদুর্ধ্ব বয়সের কোন বাংলাদেশী মহিলা, যেকোন বাংলাদেশী প্রাপ্ত বয়স্ক শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা) এবং ৬৫ ও তদুর্ধ্ব বয়সের যেকোন বাংলাদেশী পুরুষ শুধুমাত্র একক নামে পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ এর উর্ধ্বসীমা ৪৫ লক্ষ টাকা*। ৫ বছর মেয়াদী এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদান্তে ১১.৫২%। পূর্ণ মেয়াদের জন্য ১ লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে গ্রাহক মুনাফা হিসেবে পাবেন ৯১২ টাকা (৫ লক্ষ টাকার উপর হলে ৮৬৪ টাকা)। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৫০%, ২য় বছরান্তে ১০.০০%, ৩য় বছরান্তে ১০.৫০% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১১.০০% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
২. ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রঃ
১৮ বা তদুর্ধ্ব বয়সের সকল শ্রেণী/ পেশার বাংলাদেশী নাগরিক একক বা যুগ্ম নামে এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারেন। বিনিয়োগ এর উর্ধ্বসীমা ৩০ লক্ষ টাকা (একক নামে) এবং ৬০ লক্ষ টাকা (যুগ্ম নামে)*। ৩ বছর মেয়াদী এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদান্তে ১১.০৪%। পূর্ণ মেয়াদের জন্য ১ লক্ষ টাকায় প্রতি ৩ মাস অন্তর গ্রাহক মুনাফা হিসেবে পাবেন ২,৬২২ টাকা (৫ লক্ষ টাকার উপর হলে ২,৪৮৪ টাকা)। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ১০.০০% এবং ২য় বছরান্তে ১০.৫০%, হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
৩. বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রঃ
৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মতো এক্ষেত্রেও ১৮ বা তদুর্ধ্ব বয়সের সকল শ্রেণী/ পেশার বাংলাদেশী নাগরিক একক বা যুগ্ম নামে এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগেরও সুযোগ আছে। বিনিয়োগ এর উর্ধ্বসীমা ৩০ লক্ষ টাকা (একক নামে) এবং ৬০ লক্ষ টাকা (যুগ্ম নামে)*। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো উর্ধ্বসীমা নেই। ৫ বছর মেয়াদী এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদান্তে ১১.২৮%। পূর্ণ মেয়াদের জন্য ১ লক্ষ টাকায় ৫ বছর শেষে গ্রাহক মুনাফা হিসেবে পাবেন ৫৩,৫৮০ টাকা (৫ লক্ষ টাকার উপর হলে ৫০,৭৬০ টাকা)। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৩৫%, ২য় বছরান্তে ৯.৮০%, ৩য় বছরান্তে ১০.২৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১০.৭৫% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
৪. পেনশনার সঞ্চয়পত্রঃ
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং উল্লেখিত ক্যাটাগরিতে মৃত চাকুরীজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/ স্ত্রী/ সন্তানগণ এই সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। বিনিয়োগ এর উর্ধ্বসীমা ৫০ লক্ষ টাকা (একক নামে)। ৫ বছর মেয়াদী এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদান্তে ১১.৭৬%। পূর্ণ মেয়াদের জন্য প্রতি ১ লক্ষ টাকায় ৩ মাস অন্তর গ্রাহক মুনাফা হিসেবে পাবেন ২,৯৪০ টাকা (৫ লক্ষ টাকার উপর হলে ২,৬৪৬ টাকা)। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৭০%, ২য় বছরান্তে ১০.১৫%, ৩য় বছরান্তে ১০.৬৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১১.২০% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
*তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এর সঞ্চয় শাখার ৩.১২.২০২০ তারিখে ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক, ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র এই তিনটি স্কিমের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা অথবা যৌথ নামে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। |
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগঃ
আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২) এর বিধি ৪৯ এর উপবিধি (২) এবং ৬ষ্ঠ তফসিল এর অনুষ্ছেদ ৩৪ মোতাবেক যথাক্রমে স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিল এবং সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত Agro Based প্রতিষ্ঠান (মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, পেলিটেড পোলট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ) এর আয়ের ১০ % অর্থ দিয়ে শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তে বিনিয়োগযোগ্য। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের E-TIN নম্বর ও তার কপি প্রদান বাধ্যতামূলক এবং বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা নেই।
বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্র সম্পর্কে তো জানা হলো। এবার চলুন সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের দিকে যাই মানে ক্রয় করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেই।
সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে যা লাগবেঃ
◾ সঞ্চয়পত্র ক্রয় এর জন্য পূরণকৃত নির্দিষ্ট ফরম।
◾ ক্রেতা ও নমিনী প্রত্যেকের ২ কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি (ক্রেতার ছবি ১ম শ্রেণীর কর্তকর্তা কর্তৃক ও নমিনীর ছবি ক্রেতা কর্তৃক)।
◾ ক্রেতা ও নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (নমিনী নাবালক হলে তার জন্ম নিবন্ধন এবং প্রত্যয়নকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি)।
◾ ক্রেতার E-TIN সার্টিফিকেট এর কপি।
◾ গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের MICR চেকের পাতা।
◾ পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূরণকৃত প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিলের সনদপত্র এবং PPO (Pension Payment Order)/ EPPO (Electronic Pension Payment Order) এর ফটোকপি।
উল্লেখ্য যে, ‘জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ এ আপাতত নাবালক বা নাবালকের পক্ষে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার কোনো সুযোগ নেই।
এখানে বলে নেয়া ভালো, ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডিআর এর ক্ষেত্রে যেমন Auto Renewal সুবিধা রয়েছে অর্থাৎ যতদিন পর্যন্ত না গ্রাহক তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করবেন তার আগ পর্যন্ত সর্বনিম্ন স্ল্যাব অর্থাৎ ৩ মাস অন্তর Auto Renewal সুবিধা পেয়ে থাকেন, সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সে সুবিধা নেই। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে যা পরবর্তী ১ মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগযোগ্য।
সঞ্চয়পত্র তো ক্রয় করা হলো। কিন্তু এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কিভাবে পাবেন কিংবা মেয়াদপূর্তির পূর্বে যদি নগদায়ন এর প্রয়োজন হয় তখন কি করবেন অথবা বিনিয়োগকারী যদি নমিনী নিয়োগ না করে মৃত্যুবরণ করেন তখনই বা কি হবে?
◾ সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাবের প্রদানকৃত চেকের হিসাব নম্বরেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল EFT এর মাধ্যমে জমা করা হয়।
◾ পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক ভিত্তিতে, ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে গ্রাহকের হিসাবে জমা হয়ে যায়।
ভাঙানো/ নগদায়ন প্রক্রিয়াঃ
◾ পূর্বেই বলা হয়েছে, বর্তমানে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল মেয়াদপূর্তিতে গ্রাহকের হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT এর মাধ্যমে জমা করা হচ্ছে।
◾ আর মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে, যে শাখা বা অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়েছে, সেখানে ক্রেতাকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।
◾ আবেদন এর সাথে ক্রেতার ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রে কপি ও সিস্টেম হতে সরবরাহকৃত সঞ্চয়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
◾ নির্ধারিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে নগদায়নকৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT এর মাধ্যমে জমা হয়ে যায়।
◾ তবে সকল প্রকার সঞ্চয়পত্র ১ বছর পূর্তির পূর্বে নগদায়ন/ ভাঙ্গালে কোন মুনাফা পাওয়া যায় না।
নমিনী মনোনীত না করে সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা মারা গেলে কি করবেন?
◾ এক্ষেত্রে ক্রেতা বা মালিকের মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে কোর্ট হতে সাকসেশন সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার অনুমোদিত বা প্রদত্ত আইনানুগ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ উত্তরাধিকারী এগুলো ভাঙাতে পারবে।
◾ এছাড়া বিনিয়োগকারীর মনোনীত ব্যক্তি মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলণ করতে পারবেন।
◾ এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী কর্তৃক Authorization Letter (মনোনীত ব্যক্তি স্বাক্ষর সত্যায়নপূর্বক) প্রদানপূর্বক মনোনীত ব্যক্তি মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন।
◾ তবে সঞ্চয়পত্রে আসল কোনক্রমেই Authorization Letter এর মাধ্যমে প্রদানযোগ্য নয়।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। চেষ্টা করেছিলাম ছোট পরিসরে সবগুলো পয়েন্ট তুলে ধরতে। কিন্তু লেখাটি বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আর কথা বাড়াচ্ছি না। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে অভিজ্ঞরা ধরিয়ে দিবেন আশা করি। হ্যাপি ব্যাংকিং।
লেখকঃ প্রণব চৌধুরী, ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, গোলাপগঞ্জ শাখা, সিলেট।