ফিনটেক

চেক ব্যবহার নিয়ন্ত্রনই ডি‌জিটাল ব্যাংক বাস্তবায়‌নের সি‌ড়িঁ

আধুনিক যুগে হস্তান্তর যোগ্য দলিলগুলোর মধ্যে চেক সবচেয়ে সহজ, প্রচলিত ও জনপ্রিয়। চেক সর্বত্র টাকার মত ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নগদ টাকা হস্তান্তর ও লেনদেন করার মধ্যে যে সকল নিরাপত্তার অভাব রয়েছে চেকে তা নেই। চেক ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চেকের মাধ্যমে টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিরাপদে নেয়া যায়। চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হলে লিখিত রেকর্ড থাকে, হিসেব করা সহজ হয়, মুদ্রার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়, জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধ করা যায়।

চেক হলো এমন একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল যা প্রস্তুতকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয় এবং এর মাধ্যমে আমাতকারী ব্যাংকে রক্ষিত তার আমাতন থেকে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অথবা তার আদেশে কোন ব্যক্তিকে বা বাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদানের জন্য ব্যাংকের প্রতি শর্তহীন লিখিত আদেশ প্রদান করে; যার অর্থ চাহিবা মাত্র পরিশোধ্য। আর এই চেকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করলেই ডি‌জিটাল ব্যাংক বাস্তবায়‌নের সহজ সি‌ড়িঁ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও দেখুন:
ফিনটেক কী এবং কেন?
আগামীর ডিজিটাল ব্যাংকিং কেমন হবে

চেক বই নিয়ন্ত্রন/ বন্ধ/ কমা‌লে যেভা‌বে ব্যাংকগু‌লো ডি‌জিটাল সেবা প্রদান করতে পারবে
১) সকল গ্রাহক বুঝ‌বে একাউন্ট খোলা মা‌নেই মেবাইল/ এটিএম/ পিওএস এ লেন‌দেন। তাই সবাই সেগু‌লো শিখ‌বে/ শি‌খে নি‌বে।
২) NID ডি‌জিটাল হয়ে‌ছে, মোবাইল সিম কার্ড রে‌জিঃ এ NID, ছ‌বি ও ফিঙ্গার লাগে এবং ব্যাংকের হিসাব খুল‌তেও (ঘরে বসে ব্যাংক একাউন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং খোলা) এখন NID লা‌গে। আর এটা সবাই জা‌নে, বু‌ঝে।
৩) এখন মোবাইল রিচার্জ (ফ্লে‌ক্সি‌লোড/ টপ আপ) সব কিছুই ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং সি‌ষ্টে‌মে করা যায়।
৪) হিসাব খু‌লে চেক বই না দিয়ে ATM Card দিবেন। তাহলে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন হবে। ব্যাংকের কাউন্টারে ভিড় কমবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ডি‌জিটাল ব্যাংক বাস্তবায়ন হ‌লে আ‌রো যেসব কাজে গ‌তি আস‌বে
১) BACH এ চে‌কের কাজ থাক‌বে না।
২) ছাপা খানায় চে‌ক ছাপা‌নোর কাজ থাক‌বে না।
৩) দে‌শের ব্যাংকগু‌লোর চেক ছাপা‌নোর ব্যয় থাক‌বে না।
৪) চেক সংরক্ষন ও হিসাবায়ন, প্রতারনা, চু‌রি, হারা‌নো, থানায় জি‌ডি থাক‌বে না।
৫) টো‌কেন, ভাউচার, ক্যাশিয়ার পে‌মেন্ট, চেক পা‌সিং, চেক লেখা ইত্যাদি থাক‌বে না।
৬) চেক ডিজঅনার থাক‌বে না, ফ‌লে চেক সংক্রান্ত মামলা আর আদালতে যাবে না।
৭) তৎক্ষনাৎ নগদ ছাড়া চেক দি‌য়ে বা‌কি ব্যবসা থাক‌বে না।
৮) লেন‌দেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা না হ‌য়ে ২৪ ঘন্টায় রূপান্তরিত হ‌বে।
৯) জরুরী প্রয়োজনে মানুষ হতাশায় থাক‌বে না কখন ব্যাংক খুল‌বে।
১০) প্রবীন, ম‌হিলা, অ‌ল্পশি‌ক্ষিত মানুষ এবং রে‌মি‌টেন্স গ্রাহকগণ দ্রুত ও অ‌টো সেবায় আ‌রো স্বস্তি পা‌বে।
১১) অ‌নেক ক‌ঠিন ও সময় সা‌পেক্ষ কাজগু‌লো নি‌মি‌ষেই হ‌বে।
১২) দে‌শের অর্থব্যবস্থা আ‌রো গ‌তি পা‌বে।

দে‌শের সকল মানুষ‌কে ব্যাংকিং সেবাই আন‌তে ডি‌জিটাল ব্যাংক গ্রহন‌যোগ্যতা পা‌বে। মানু‌ষের কল্যানে, রা‌ষ্ট্রের সেবা দ্রুত নি‌শ্চিত কর‌তে ব্যাংকগু‌লো‌কে দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং ও ATM Card দেওয়া নি‌শ্চিত ক‌রলেই ডিজিটাল ব্যাংক এ‌গি‌য়ে যা‌বে। প‌রিত্যাজ্য হোক মহাপুরাতন কাগু‌জে ম্যানুয়াল চেক ব্যবস্থা।

সোর্সঃ ফেসবুক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button