ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র (এলসি) সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার
এখন থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) আওতায় বাকিতে আমদানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণসুবিধা পাবেন রপ্তানিকারকেরা। এ পুনঃ অর্থায়ন ঋণের মেয়াদ হবে ১৮০ দিন ও সুদহার হবে ২ শতাংশ। ফলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাক টু ব্যাক এলসির পাওনা পরিশোধে সময় পাবে ৩৬০ দিন।
করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রোববার ১২ এপ্রিল, ২০২০ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল অথরাইজ ডিলারদের কাছে পাঠানো কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রপ্তানিকারকেরা ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় বাকিতে আমদানি করা পণ্যের পাওনা পরিশোধে ১৮০ দিন সময় পেতেন। নির্ধারিত সময়ে পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক আমদানিকারকের নামে টাকায় ঋণ সৃষ্টি করে তা পরিশোধ করত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকদের ব্যাংক টু ব্যাক এলসির পাওনা পরিশোধের চাপ কমবে। এতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাত্র ২ শতাংশ সুদে ব্যাক টু ব্যাক আমদানি দায় পরিশোধ করতে পারবে। ফোর্সড লোন সৃষ্টির মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধের প্রয়োজন পড়বে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধরনের কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি কমে গেছে। অর্ডার বাতিল হচ্ছে বা নতুন অর্ডার নেই। পণ্য জাহাজীকরণে দেরি হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করেছিল, তাদের পাওনা সময়মতো পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিলম্বে মূল্য পরিশোধ ব্যবস্থার ব্যাক টু ব্যাক আমদানির বিল ইডিএফ থেকে পুনঃ অর্থায়নের মাধ্যমে পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এদিকে অপর এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট বা বিলম্ব মূল্য পরিশোধ ব্যবস্থায় আমদানি করা মূলধনি যন্ত্রপাতির মূল্য এক বছর সময় নিয়ে এককালীন পরিশোধ করা যাবে, যা আগে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হতো।
অন্য এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশি রপ্তানিকারক থেকে নথিপত্র পেতে বিলম্ব হলেও দেশের আমদানিকারক নথিপত্রে কপি ব্যাংক থেকে এনডোর্স করে আমদানি পণ্য ছাড় করতে পারবে। সময়মতো বিদেশ থেকে নথিপত্র না আসায় ও বিদেশি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বিলম্বিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সময়মতো পণ্য ছাড় করতে আর সমস্যা হবে না।