খুচরা ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাবের ফি-চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব পণ্য বিক্রি ও শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ নামের পরিচালিত এ হিসাবে এখন থেকে ন্যূনতম জমা রাখতে হবে না।
পাশাপাশি এ হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ কোনো ধরনের ফি আদায় করতে পরবে না ব্যাংক। রোববার (১৯ মার্চ, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে দেশে কার্যরত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
এতে বলা হয়, শ্রম নির্ভর অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব তৈরি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারীদের ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনতে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এসব হিসাবের ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা এখন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত থাকবে। অর্থাৎ ন্যূনতম কোনো অর্থ এই হিসাবে রাখতে হবে না। এ হিসাবে এক হাজার টাকা থাকলে গ্রাহক চাইলে পুরো টাকা তুলতে পারবে। অন্যান্য হিসাবে ন্যূনতম একটা অংকের টাকা রাখতে হয়।
এছাড়া ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিপরীতে কোনো ধরনের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ খুলতে কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এটি চলতি হিসাবের মতোই পরিচালিত হবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে এ হিসাব। তবে এ হিসাবের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না। এ হিসাবের এককালীন স্থিতি হবে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা।
কারা হিসাব খুলতে পারবেন
অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যেমন- মুদি দোকানি, ভাসমান খাদ্য-পণ্য বিক্রেতা, বাস-সিএনজি-রিকশাচালক, ফুচকা-চটপটি বিক্রেতা, ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রেতা বা বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা এই হিসাব খুলতে পারবেন।
হিসাবটি খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি অনুলিপি ও পেশার প্রমাণপত্র দিলেই হবে। পেশার প্রমাণপত্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া বৈধ কাগজ হলেই হবে। বিনা খরচে এই হিসাব খুলে দেবে দেশের সব ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।