ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হোক
ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হোক – যে ব্যাংকার দক্ষ তিনি ব্যক্তি হিসেবেই নি:সন্দেহে দক্ষ মানুষ। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ করে কেউ নতুন করে দক্ষ হবে না বা হয় না বলে মনে করি। ব্যাংকাররা খুব সম্ভবত কেউই কম মেধাবী নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েই এক একজন ব্যাংকার হচ্ছেন।
• মেধা আর যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই আজকাল এক একজন ব্যাংকার হচ্ছেন। তাই এই পরীক্ষা টি যেহেতু একটি এডিশনাল কোয়ালিটি যাচাই পরীক্ষা তাই এর পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা এই মুহুর্তে সময়ের দাবী। বিভিন্ন জব রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার অভিজ্ঞতা থেকে এটা এখন প্রতীয়মান হয় যে- “Banking Diploma” পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এখন সময়ের দাবী….।
• কিছুই শিখালেন না, সহায়ক বই লিখলেন না। ক্লোজিং মাস গুলোতে ব্যাংকাররা যখন শ্রেণিকৃত/ অবলোপনকৃত Loan আদায় বা Deposit কালেকশন বা বিভিন্ন ক্লোজিং স্টেটমেন্ট করতে ব্যস্ত থাকেন ঠিক তখনই Banking Diploma পরীক্ষা শুরু হয়। তাও দিনে ১টা না, ২টা পরীক্ষা। যেখানে ৩+৩=৬ ঘন্টা সময় নিয়ে পরীক্ষা।
• মার্চ বা সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষা নেয়া যায় না? ব্যাংকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ী একটি ইনিস্টিটিউট IBB আজও গড়তে পারে নাই।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
• বাংলাদেশ এর ব্যাংকাররা বেশির ভাগই সায়েন্স এর ছাত্র, শুধুমাত্র সিলেবাস প্রণয়ন করে পরীক্ষা নিলেই কি তারা দক্ষ হয়ে উঠবে! আরো গবোষনার প্রয়োজন আছে।
Banking Diploma কিছু প্রস্তাবনা
১) প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে IBB কে কঠোর হতে হবে।
২) যৌক্তিক সিলেবাস প্রনয়ন করতে হবে।
৩) পরীক্ষা জুন-ডিসেম্বরে না নিয়ে মে-নভেম্বরে গ্রহন করতে হবে।
৪) পাশ নাম্বার ৪০ নির্ধারণ করতে হবে।
৫) Bank সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে প্রশ্ন প্রনয়ন এবং খাতা মূল্যায়ন করতে হবে।
৬) বর্ণনামূলক প্রশ্নের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহন এই পরীক্ষায় টোটাল মার্কস ডিস্ট্রিবিউশন করতে হবে। (এরকম হওয়া উচিত যেখানে MCQ ৫০ এবং Theoretical ৫০)
৭) এখানে Short Question এর একটা পার্ট থাকা একান্ত জরুরী যেটা কিনা বিভিন্ন জব রিক্রুটমেন্ট এক্সামে থাকে।
৮) Accounting বা কোন প্রশ্নপত্রে নির্ধারিত কোন প্রশ্ন বাধ্যতামূলক ভাবে উওর প্রদানের নিয়ম বাতিল করতে হবে।
৯) প্রত্যেক ব্যাংক যেহেতু বড় অংকের টাকা প্রতি বছর IBB কে ভর্তুকি দেয়, সে ক্ষেত্রে ১৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করতে হবে।
১০) প্রতিটি জেলায়, তা সম্ভব না হলে অন্ততপক্ষে ২টি কাছাকাছি জেলার জন্য পরীক্ষা সেন্টার স্থাপন করে সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
১১) দিনে ১টা পরীক্ষা, দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নিতে হবে।
কার্টেসিঃ Israt Kochi, Sadaqur Rahman ও Mehedi Hasan Shuvo (সামান্য পরিমার্জিত ও সংশোধিত)
ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম (BPE):
ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম (BPE) ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রফেশনাল/ পেশাদারদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং দক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (IBB) কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে। ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম (BPE) দুই ভাগে বিভক্ত: জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট অব দি ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (জেএআইবিবি) এবং অ্যাসোসিয়েট অব দি ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এআইবিবি)। ব্যাংকিং সেক্টরে ক্যারিয়ারের অগ্রগতির জন্য এই পরীক্ষাগুলো পাস করা অপরিহার্য, কারণ এই এক্সামগুলো (JAIBB, AIBB) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাংকিং অপারেশন, আর্থিক নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো বোঝা এবং জানার সুযোগ দেয়। সাধারণত বছরে দুইবার (জুন ও নভেম্বর) IBB কর্তৃক বিভাগীয় কেন্দ্রগুলোতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার নতুন সিলেবাস ও সাবজেক্ট-এর তালিকা প্রকাশ করেছে দি ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি)। ৯৬তম ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা-২০২৩ থেকে নতুন এই সিলেবাস কার্যকর করা হয়েছে। এতে সকল বিষয়ের পূর্ণ নম্বর- ১০০ এবং পাস নম্বর- ৪৫ করা হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি
◾ সার্কুলার, সময়সূচি, সিলেবাস, রেজাল্ট, বিগত সালের প্রশ্ন ও সাজেশন
◾ ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার সময়সূচী
পাশ মার্ক ৩৩ করা, ১ম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ রাখা উচিৎ!