এনসিসি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকটি চাইলে আবারো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আরো দুটি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ১৫টি ব্যাংক।
আগে বাতিল হওয়া টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং খাতে তেমন কোনো কার্যক্রম না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এনসিসি ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন বলে দাবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুসলে উদ্দিন জানান, আমরা এতদিন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম প্রগতি সিস্টেমস লিমিটেডের সাথে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী এরকম প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত থাকতে পারবে সর্বোচ্চ একটি ব্যাংক। তাই তারা রুপালি ব্যাংক ছাড়া আমাদের সহ অন্যান্য সবার সাথে চুক্তি বাতিল করেছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিজেদের প্রযুক্তি তৈরির জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রযুক্তি আমরা তৈরি করতে পারিনি। তবে কাজ চলছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমরা পুনরায় মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির শেষে মোট নিবন্ধিত এমএমএস এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪১টি। আলোচিত সময়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় হিসাব ১৮ শতাংশ কমে দুই কোটি ৭০ লাখ ৮৭ হাজার পৌঁছেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৬ বার। গড় লেনদেনের পরিমাণ ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে নিয়মিত গড় লেনদেন এবং এর পরিমাণ দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।