সেন্ট্রাল ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন ব্যাংকের আবির্ভাব হওয়ায় মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই উপলব্ধি থেকে অর্থব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জন্মলাভ করে। মুদ্রাবাজারকে আপন ইচ্ছা ও গতিতে চলতে না দিয়ে একটি সুসংগঠিত এবং নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং অর্থনীতির কল্যাণ সাধনই এই সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক যা একটি দেশের অর্থ সরবরাহ এবং আর্থিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার হিসাবে কাজ করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং দেশীয় আর্থিক ও আর্থিক ব্যবস্থার জন্য সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ, ১৯৭২ (P.O No. 127 of 1972) ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিরূপিত ও পরিচালিত হয়। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে। এটির কার্যনির্বাহী প্রধান গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যতঃ ব্যাংকসমূহের ব্যাংক।
এছাড়া এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে। ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ এবং বাজারে প্রবর্তন এই ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া এটি সরকারের কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯টি অফিস রয়েছে। অফিসগুলো হলো- মতিঝিল, চট্টগ্রাম, সদরঘাট, খুলনা, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন- এখানে।