বেসিক ব্যাংক পিএলসি

বেসিক ব্যাংক পিএলসি (বাংলাদেশ স্মল ইন্ডাষ্ট্রিজ এন্ড কমার্স ব্যাংক পিএলসি) – BASIC Bank PLC (Bangladesh Small Industries and Commerce Bank PLC) বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। ১৯১৩ সালের কোম্পানি আইনের আওতায় ১৯৮৮ সালের ২ আগস্ট ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৯ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। মোট ৮০ মিলিয়ন টাকার পরিশোধিত মূলধন (বিসিসিআই ফাউন্ডেশনের ৭০% শেয়ার এবং বাংলাদেশ সরকারের ৩০% শেয়ার) নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৬ জুন, ১৯৯১ বিশ্বব্যাপী বিসিসিআই ফাউন্ডেশন অকার্যকর হয়ে গেলে উদ্ভূত অচলাবস্থা রোধ করতে বাংলাদেশ সরকার ৪ জুন, ১৯৯২ ফাউন্ডেশনের ১০০% শেয়ার ও ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করে। তবে ব্যাংকটিকে জাতীয়করণ করা হয় নি। সরকারী মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবেই ব্যাংকটি পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বেসিক ব্যাংকের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ৫৫,০০০ এবং ১০,৮৪৭ মিলিয়ন টাকা। বর্তমানে ব্যাংকটির ৭২টি শাখা, ৩৬টি উপ-শাখা, ১৬টি এটিএম বুথ এবং ২,০০০+ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির নিজস্ব একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত।

২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে ব্যাংকিং লেনদেন তথা সামগ্রিক কার্যক্রমকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০০৭ সালে এটিএম কার্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট ব্যাংকিং সেবা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে ব্যাংকটি ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, এটিএম কার্ড, পয়েন্ট অব সেল সেবাসহ প্রযুক্তিনির্ভর অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। শিল্পঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর শিল্প প্রকল্পের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে ঋণ মঞ্জুরি দেওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের ধরন হচ্ছে- গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটজাত দ্রব্য, কেমিক্যাল, সিনথেটিক লেদার, এমব্রয়ডারি, পেপার প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, হার্ডবোর্ড, মৎস্য ও চিংড়ি, ফিশিং নেট, খাদ্য প্রক্রিয়া, বিস্কুট ও ব্রেড, ময়দা মিল, লুব্রিকেটিং, সিএনজি ইত্যাদি।

Back to top button