কলমানি বনাম মুদারাবা পদ্ধতিতে ধার গ্রহণ

মো. জিল্লুর রহমানঃ কলমানি এবং মুদারাবা পদ্ধতিতে ধার নেওয়া দুটোই স্বল্প সময়ের জন্য অর্থ ধার নেওয়ার পদ্ধতি। প্রথমটি প্রচলিত ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য এবং দ্বিতীয়টি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য।

‘কলমানি’ বলতে বোঝায় আন্তঃব্যাংক ঋণ বা নগদ অর্থের লেনদেন বা আদান প্রদান। অর্থাৎ স্বল্প সময়ের জন্য এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চাহিবামাত্র পরিশোধ করার শর্তসাপেক্ষে যে নগদ টাকা ঋণ গ্রহণ করে তাই কলমানি। কলমানিতে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করতে হয়। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো সাধারণত বিভিন্ন সময় বিশেষ করে ঈদের সময় এ পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ের জন্য নগদ টাকা ঋণ গ্রহণ করে থাকে।

আরও দেখুন:
◾ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করে গ্রাহকদের ব্যাংকমুখী করতে হবে

কিন্তু শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো এ পদ্ধতিতে টাকা ধার করতে পারে না। এ পদ্ধতিতে যে ব্যাংকের (ধরুন ইসলামী ব্যাংক) নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় সেই ব্যাংক যেব্যাংক (আল আরাফাহ ব্যাংক) থেকে টাকা ধার করতে ইচ্ছুক। এক্ষেত্রে আল আরাফাহ ব্যাংক নগদ অর্থ ধার দিতে ইচ্ছুক, তখন ইসলামী ব্যাংকের অনুরোধে একটি মুদারাবা (এমএসএ-মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব) বা বিশেষ মুদারাবা হিসাব (এসএনডি) খুলতে আল আরাফাহ ব্যাংকে অনুরোধ করে এবং চাহিদা মতো টাকা সেই হিসাবে জমা করার অনুরোধ করে।

এখন আল আরাফাহ ব্যাংক সাহেব আল মাল (পুঁজি সরবরাহকারী) হিসেবে ইসলামী ব্যাংক (মুদারিব বা উদ্যোক্তা) এর হিসাবে নগদ টাকা জমা করলে সে গ্রাহকের মতোই স্বল্প সময়ের জন্য মুদারাবা পদ্ধতিতে মুনাফা পেয়ে থাকে। এখানে মুদারাবা পদ্ধতিতে দুটি পক্ষ থাকে যিনি পুঁজি সরবরাহ করে তাকে সাহেব আল মাল বা পুঁজি সরবরাহকারী এবং যিনি পুঁজি গ্রহণ করে তাকে মুদারিব বা উদ্যোক্তা বলে।

লেখকঃ মো. জিল্লুর রহমান, ব্যাংকার ও মুক্ত লেখক।