ব্র্যাক ব্যাংকের বাংলাদেশের প্রথম সাইবার ফিউশন সেন্টার চালু
শনিবার (১১ জুন, ২০২২) কঠোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সাইবার ফিউশন সেন্টার (CFC) প্রতিষ্ঠা করেছে।
আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত সেন্টারটিকে ব্যাংকের যেকোন ধরনের সাইবার নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সক্ষম করে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি গ্রাহকদের তথ্য ও স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকের দৃঢ় অঙ্গীকারের সাক্ষ্য বহন করে।
ব্র্যাক ব্যাংক এখন ২৪/৭ সাইবার সতর্কতা নিশ্চিত করতে পারছে এবং ব্যাংকের সিস্টেম এবং আইটি অবকাঠামোকে প্রতারকদের কাছে দুর্ভেদ্য করে তুলতে পেরেছে। এই সার্বক্ষণিক সতর্কতা ব্র্যাক ব্যাংক-কে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে যেখানে গ্রাহকের তথ্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকে। ডেটা চুরি এবং ক্ষতির কোনো ঝুঁকি থাকে না।
এই সেন্টারটি এমন এক সময়ে চালু করা হলো যখন বিশ্বব্যাপী ডেটা চুরির ঘটনা এবং প্রতারকদের দ্বারা বারবার সিস্টেম লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা বেড়েছে। এ বাস্তবতায় ব্র্যাক ব্যাংক এর গ্রাহকদের তথ্য যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ব্র্যাক ব্যাংক কয়েক বছর ধরে একটি ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোর ব্যাংকিং থেকে শুরু করে কার্ড ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপ ও ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যাংকিং এবং আরও নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। সিকিউরিটি ইন্টিগ্রেশন এবং সম্মিলিত প্রতিরক্ষার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে সেন্টারটি পরিবর্তনের চালক হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন এই সেন্টারটি সম্পর্কে বলেন: “গ্রাহকের তথ্য নিরাপদ রাখা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গ্রাহকদের কাছে এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের সম্পদ নিরাপদ হেফাজতে আছে। এটি গ্রাহকদের আমাদের সাথে নিশ্চিন্তে ব্যাংকিং করার আস্থা দেবে, বিশেষ করে ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, যা সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, প্রতারকদের দূরে রাখতে আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম দিয়ে সেন্টারটিকে আপগ্রেড করা অব্যাহত থাকবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক-এর হেড অফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি বি. এম. জাহিদ-উল হক বলেন: “সাইবার সিকিউরিটি একটি যাত্রা। এই পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টেলিজেন্ট সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার একাধিক ক্রিয়াকলাপকে একটি কার্যকরভাবে একীভূত করে, যেমন, থ্রেট ইন্টেলিজেন্স, অ্যানালিটিক্স, থ্রেট ডিটেকশন, ইনসিডেন্ট রেসপন্স, গভর্নেন্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স, থ্রেট হান্টিং ইত্যাদি, যার ফলে ক্রিটিক্যাল ইন্টেলিজেন্স, দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সময়, খরচ কমানো, এবং উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করা গেছে। এটি সাইবার স্পেসে যেকোনো নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রমাণ করে।”
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার
এ আগে ব্র্যাক ব্যাংক ডেটা সিকিউরিটির জন্য ২০২১ সালে পেমেন্ট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি ডেটা সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড (পিসিআই ডিএসএস) সার্টিফিকেশন, ইনফর্মেশন সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টে সক্ষমতার জন্য ২০১৭ সালে আইএসও ২৭০০১: ২০১৩ সার্টিফিকেশন এবং সিকিউরিটি অপারেশন্স ও সাইবার ফিউশন সেন্টারের জন্য ২০২০ সালে আইএসও ১৮৭৮৮ সার্টিফিকেশন অর্জন করে।