ব্যাংকিং

ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভাল আছেন। আজ আলোচনা করবো Banking Financial Institutions বা ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে।

ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান
যে সকল প্রতিষ্ঠান সাধারণ ব্যাংকিং কার্য পরিচালনা যেমন বিভিন্ন হিসাব খুলে আমানত গ্রহণ, গ্রাহকদের চেক বই ইস্যু, চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, বিনিময়ের বিভিন্ন মাধ্যম সৃষ্টির মত কার্য পরিচালনা করে থাকে, তাকে ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলে।

একটি দেশে কার্যরত অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং প্রতিষ্টান দেখা যায়। এক এক প্রকার ব্যাংক এক এক ধরনের ব্যাংকিং কার্য সম্পাদন করে থাকে। এগুলিকে Operational Banking বলা হয়। কাজের প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী যখন ব্যাংককে বিভক্ত করা হয়, তখন তাকে ব্যাংকের কার্যভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ বলা হয়। নিম্নে কার্যভিত্তিক ব্যাংকিং সিস্টেমের তালিকা দেয়া হলো-

কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক,শিল্প ব্যাংক,কৃষি ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংক, বিনিয়োগ ব্যাংক, বিনিময় ব্যাংক, সঞ্চয়ী ব্যাংক, বন্ধকী ব্যাংক, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যাংক, গৃহায়ন ব্যাংক, মহিলা ব্যাংক, স্কুল ব্যাংক, শ্রমিক ব্যাংক, ভোগকারী ব্যাংক, দেশজ ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ব্যাংক এবং আঞ্চলিক ব্যাংক ইত্যাদি।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাণিজ্যিক ব্যাংকিং
সাধারণভাবে ব্যাংকিং বলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকিংকে বুঝানো হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক একটি মুনাফাকেন্দ্রিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিয়ে কারবার করে, সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলিই বাণিজ্যিক ব্যাংকিং। বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যাংকিং কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠন করা হয়ে থাকে। এ ব্যাংক জনগণ থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে আমানত গ্রহণ করে।

এ ব্যাংক দেশের মুদ্রা বাজারের সদস্য হিসাবেও কাজ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক সরকারি, বেসরকারি ও সরকারি-বেসরকারি মালিকানায় হয়ে থাকে। একটি দেশে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকতে পারে এবং দেশে-বিদেশে শাখা খুলতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে এ ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যেও অংশগ্রহণ করে। নিকাশ ঘর পরিচালনার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সহায়তা করে। এ প্রকার ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে হিসাব বিবরণী পেশ করতে হয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং ৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ছাড়াও রয়েছে আরো বহু সংখ্যক ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ৯ টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৩৫টি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, ১টি ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকও। এছাড়া বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যেখানে সামাজিক ব্যবসার ধারণায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক নামক ক্ষুদ্রঋণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যা একটি বিশেষায়িত ব্যষ্টিক-অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে থাকে।
১. বাংলাদেশ ব্যাংক

রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশে রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এর সংখ্যা মোট ৬ টি। যা নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. সোনালী ব্যাংক
২. অগ্রণী ব্যাংক
৩. রূপালী ব্যাংক
৪. জনতা ব্যাংক
৫. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
৬. বেসিক ব্যাংক

ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক এর সংখ্যা মোট ৩১ টি। যা নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
২. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
৩. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
৪. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
৫. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
৬. এবি ব্যাংক লিমিটেড বা আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড
৭. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
৮. উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
৯. ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
১০. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
১১. প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
১২. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড
১৩. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
১৪. আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
১৫. দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড
১৬. এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড
১৭. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
১৮. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
১৯. সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
২০. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
২১. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
২২. ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
২৩. যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
২৪. এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
২৫. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
২৬. এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড
২৭. মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
২৮. ফার্মারস ব্যাংক লিমিটেড
২৯. মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
৩০. সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
৩১. মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড

ইসলামী ব্যাংক
দেশে ইসলামী ব্যাংক এর সংখ্যা মোট ৮টি। যা নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৩. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৪. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড
৫. শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৬. এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ লিমিটেড
৭. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৮. ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড

বিদেশী ব্যাংক
দেশে বিদেশী ব্যাংক এর সংখ্যা মোট ৯টি। যা নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড
২. এইচএসবিসি
৩. সিটিব্যাংক এনএ
৪. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন
৫. স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
৬. হাবিব ব্যাংক লিমিটেড
৭. ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান
৮. ওরি ব্যাংক
৯. ব্যাংক আলফালাহ্

বিশেষায়িত ব্যাংক
দেশে বিশেষায়িত ব্যাংক এর সংখ্যা মোট ৯টি। যা নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
৩. গ্রামীণ ব্যাংক
৪. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
৫. আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক
৬. কর্মসংস্থান ব্যাংক
৭. পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
৮. ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক
৯. প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (প্রগতি ব্যাংক)।

আজ এ পর্যন্ত। আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আসব আপনাদের মাঝে ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button