ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক ব্যাংকিং (DIB)ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম (BPE)

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা আর পাশ হয়না

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা আর পাশ হয়না – ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কিছু না লিখে পাড়লাম না! ২০১০ সালে ব্যাংক এ জয়েন করার পর কিছু বুঝে বা না বুঝে ২০১১ সালেই শুরু করি পরীক্ষা দেয়া। ভাল পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হওয়া আবার খারাপ পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা কখনো রাগ করে পরীক্ষা না দেয়া। কত যে পারিবারিক অনুষ্ঠান মিস করেছি এই পরীক্ষা দেবার কারনে?

যাই হোক প্রথম পর্বের ৬ বিষয় পাশ করে JAIBB Certificate পেলাম (সাথে সম্মানী)। আবার শুরু করলাম দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। ৫ বিষয় পাশ করলাম ২ বারে। Management Accounting বার বার ফেল করতে থাকলাম। তবু হাল না ছেড়ে পরীক্ষা দিয়ে যাছিছ। এবার ও দিলাম। পরীক্ষা হইছে গড় পড়তা। জানিনা পাশ না ফেল হবে?

কিন্তু একটা কথা না বলে পাড়ছিনা যে, এই একটা মাত্র পরীক্ষা আমাকে ফেলের স্বাদ দিয়েছে। তাছাড়া একাডেমিক কোন পরীক্ষা এই স্বাদ আমায় দিতে পারেনি। পরীক্ষা টা জুন আর ডিসেম্বর মাসে হয় যা ব্যাংকারদের জন্য অফিসের কাজের পাশা পাশি প্রস্তুতি নিতে খুব কষ্ট হয়।

যারা ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে সিটি সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা দেন তাদের প্রত্যেক দিনের পরীক্ষার পিছনে কম করে হলেও ৩/৪ হাজার টাকা খরচ হয়। সারাদিন অফিস করে পাগলের মত রাতে ছোটেন শহরে। হোটেলে রুম বুকিং করে খাবার খেয়ে বা না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যান। পরদিন পরীক্ষা শেষ করে রাতে আবার ছোটেন বাড়ীর দিকে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

দিনে দুইটা পরীক্ষা বোধ হয় ব্যাংকারদের জন্যই। তাও আবার তিন ঘন্টা করে ছয় ঘন্টা। এক তো সারাদিন অফিসের কাজ, তারপর লং জার্নি দিয়ে ঘুম কম, তারপর ৬ ঘন্টার লেখার মানসিক প্রেসারকে জয় করে আবার বাড়ীমুখী হবার জন্য জার্নি করতে হয়। উর্ধচাপ, নিম্নচাপ, পার্শ্বচাপ, লঘুচাপ, বায়ুচাপ, হলের টিচারদের বকবকানির চাপ সহ হরেক রকমের চাপ সহ্য করে পরীক্ষা শেষ করে ভাগ্যের উপর ভরসা করে বসে থাকার যে চাপ তা সামলানো অনেক কঠিন!

পরিবারের সদস্যদের কাছে নিজেকে কতটা অসহায় করে দিচ্ছে ডিপ্লোমা পরীক্ষা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্কুল, কলেজ কিন্বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রটির পরিচয় আজ আদু ভাই। বছরের পর বছর সে শুধু পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছে। মুক্তি পাবার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবার সুযোগ কই।

কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, যেখানে খাতা মূল্যায়ন হয় না যথাযথভাবে সেখানে আমাদেরকে আর কস্টে না ফেলে স্বচ্ছতার সহিত খাতা মূল্যায়ন নিশ্চিত করুন। আর পরবর্তীতে যাতে প্রশ্ন ফাস না হয় আর সবার মাঝে যেন ভাল ভাবে এক্সাম দিয়ে পাশ করার প্রবণতা তৈরি হয় সে দিকে মন দিন। দয়া করে ভাবুন সব বিষয়ে ১,৫০০ টাকা আবার এক বিষয়েও ১,৫০০ টাকা ফি এটা কোন ধরনের মানবিকতা?

Courtesy: Kamruz Zaman

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button