ব্যাংকার্স ভাইভা ট্রায়ালঃ পর্ব-২৪ ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং
ব্যাংকারদের VIVA নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। তারপরও বলতে হয় ব্যাংকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। VIVA বোর্ডে সাধারণত যে সমস্ত প্রশ্ন করা হয় তা Trial আকারে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো। আজকের ভাইভাটা Islamic Economics & Banking সংক্রান্ত বিষয়ে। কথা না বাড়িয়ে চলুন ২৪তম পর্বে।
প্রশ্ন: মি: বলেনতো ইসলামী অর্থনীতির সাথে প্রচলিত অর্থনীতির পার্থক্য কি?
উ: স্যার ইসলামী অর্থনীতিতে মানুষ সম্পদের মালিক নয় বরং সম্পদের ব্যবহারকারী মাত্র।
তাছাড়াও ইসলামী অর্থনীতিতে প্রচলিত অর্থনীতির মত শুধু মাত্র লাভজনক হলেই যেকোন দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবসা করা বৈধ মনে করে না বরং সমাজের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য উৎপাদন হারাম করা হয়েছে।
স্যার, ইসলামী অর্থনীতির সাথে প্রচলিত অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো সমাজ শোষনের হাতিয়ার সুদ ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন: বুঝলাম তবে সুদ কি জিনিষ একটু বলেন তো?
উ: স্যার সুদ মানে বৃদ্ধি পাওয়া অর্থাৎ যে বৃদ্ধি প্রদত্ত ঋনের উপর শর্ত হিসাবে পূর্বে নির্ধারিত হারে আদায় করা হয় তাকে সুদ বলা হয়।
প্রশ্ন: কিন্তু যদি একই জাতীয় দ্রব্য বিনিময়কালে অর্থাৎ খারাপ পণ্যের পরিবর্তে ভাল পণ্য কেউ অতিরিক্ত গ্রহন করে তাহলে কি সুদ হবে?
উ: জি স্যার সুদ হবে। সে ক্ষেত্রে এটার নাম রিবা আল ফদল।
প্রশ্ন: আচ্ছা তবে ঋনের বিপরীতে যে সুদ সৃষ্টি হয় তার নাম কি?
উ: রিবা আন নাসিয়া।
প্রশ্ন: মি: যদি কেউ ১০ টাকা দিয়ে মাল কিনে ১৫ টাকা বিক্রি করে তাহলে কি হবে?
উ: স্যার এটা মুনাফা হিসাবে গন্য হবে।
প্রশ্ন: তা কি করে হয়? এখানেও অতিরিক্ত নিচ্ছে আবার ঋণ দিয়েও অতিরিক্ত নিচ্ছে?
উ: স্যার, যিনি মাল কিনে নিচ্ছে তিনি লোকসানের ঝুকি এবং মাল নষ্ট হওয়ার ঝুকি গ্রহন করছে এটা ব্যবসার শর্ত।
প্রশ্ন: আচ্ছা বুঝলাম তবে আপনি বললেন একই জাতীয় দ্রব্য বিনিময়ে বেশী নিলে সুদ হয় কিন্তু এক মুদ্রার সাথে অন্য দেশের মুদ্রা বিনিময় হলে বেশী নিলে কি সুদ হবে?
উ: স্যার না কারণ এখানেতো একই জাতীয় হচ্ছে না বরং বহু জাতীয় দ্রব্য হচ্ছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
প্রশ্ন: বলতে পারবেন একদেশের মুদ্রা দিয়ে অন্য দেশের মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করলে তাকে কি বলে?
উ: জি স্যার, এ ধরনের ক্রয় বিক্রয়কে বলে “বাইয়ে ছারফ”।
প্রশ্ন: ইসলামী ব্যাংকগুলি বাইয়ে ছারফ Mode কখন ব্যবহার করে?
উ: যখন Bill of Exchange ক্রয় করে তখন এ Mode ব্যবহার করে।
প্রশ্ন: বলতে পরবেন Bill of Exchange এর আর একটা নাম আছে সেটা কি?
উ: জি স্যার, Draft.
প্রশ্ন: বুঝলাম তবে Draft কয় প্রকার জানেন?
উ: স্যার, দুই প্রকার যেমন:
1. Sight Draft ও
2. Usance বা Deferred Draft.
প্রশ্ন: Sight Draft কি?
উ: যে Draft এর Payment দেখা মাত্র দিতে হয়।
প্রশ্ন: তবে Usance Draft কি?
উ: যে Draft এর Payment টা Acceptance দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু দিন পরে দেওয়া হয়।
ভাইভা বোর্ডঃ ঠিক আছে। আপনি আসতে পারেন।
চলবে………………ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফিজ।
(এটি একটি কাল্পনিক ইন্টারভিউ; শুধু মাত্র শিক্ষার জন্য Present করা হল। কেউ ভুল বুঝবেন না।)
কার্টেসিঃ এহসান উল্লাহ, আইবিবিএল। (পরিমার্জিত)
ব্যাংকার্স ভাইভা ট্রায়াল বইটি বাংলা ভার্সন পাওয়া যাবে কি?