এসএমই ঋণ বিষয়ক উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের সহজবোধ্য জবাব
SME (Small & Medium Enterprise) তিনটি ইংরেজী শব্দের প্রথম অক্ষর। এখানে এস বলতে স্মল অর্থাৎ ক্ষুদ্র, এম বলতে মিডিয়াম অর্থাৎ মাঝারি এবং ই তে এন্টারপ্রাইজ অর্থাৎ শিল্পোদ্যোগ বুঝায়। কাজেই SME হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ।
১. আমার একটা বুটিক শপ আছে। আমি এর আরেকটা শাখা খুলতে চাই। আমি কি ব্যাংক ঋণ পাব?
উত্তরঃ অবশ্যই ব্যাংক ঋণ পাবেন কারণ আপনি SME এর আওতায় পড়েন।
২. SME শব্দের মানে কি?
উত্তরঃ SME তিনটি ইংরেজী শব্দের প্রথম অক্ষর। এখানে এস বলতে স্মল অর্থাৎ ক্ষুদ্র, এম বলতে মিডিয়াম অর্থাৎ মাঝারি এবং ই তে এন্টারপ্রাইজ অর্থাৎ শিল্পোদ্যোগ বুঝায়। কাজেই SME হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ।
৩. কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প নীতি- ২০১০ এ প্রদত্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞার আলোকে বাংলাদেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুসরণের জন্য কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ এর সংজ্ঞা নিম্ন বর্ণিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছেঃ
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
কুটির শিল্প/উদ্যোগ
– “কুটির শিল্প/উদ্যোগ”(Cottage Industry/Enterpriseবলতে পরিবারের সদস্যদের প্রাধান্য বিশিষ্ট সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকার নিচে এবং পারিবারিক সদস্য সমন্বয়ে সর্বোচ্চ জনবল ১০ এর বেশী নয়।
– কোনো একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকান্ড কুটির শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদন্ডে সেটি মাইক্রো শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ কর্মকান্ডটি মাইক্রো শিল্পের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
মাইক্রো শিল্প/উদ্যোগ
– মাইক্রো শিল্প/উদ্যোগ”(Micro Industry/Enterprise) বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০-২৪ জন বা তার চেয়ে কম সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে।
– সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে “মাইক্রো শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকা এর কম কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০ জন এর কম শ্রমিক কাজ করে।
– ব্যবসার ক্ষেত্রে “মাইক্রো শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকা এর কম কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে ১০ জন এর কম শ্রমিক কাজ করে।
– কোনো একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকান্ড মাইক্রো শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদন্ডে সেটি ক্ষুদ্র শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রেএ কর্মকান্ডটি ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
– ম্যানুফ্যাকচারিং/সেবা/ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ স্থায়ী সম্পদের (জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে) মূল্যের ক্ষেত্রে যেখানে মাইক্রো শিল্প/উদ্যোগের সীমা শেষ তার পর থেকে ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগের নিম্ন সীমা শুরু হবে।
ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগ
– ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রশিল্প/উদ্যোগ” (Small Industry/Enterprise) বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ লক্ষটাকা থেকে ১০ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৫-৯৯ জন শ্রমিক কাজ করে।
– সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে “ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষটাকা থেকে ১ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করে।
– ব্যবসার ক্ষেত্রে “ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে ১০- ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে।
– কোনো একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকান্ড ক্ষুদ্র শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদন্ডে সেটি মাঝারি শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ কর্মকান্ডটি মাঝারি শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
– ম্যানুফ্যাকচারিং/সেবা/ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ স্থায়ী সম্পদের (জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে) মূল্যের ক্ষেত্রে যেখানে ক্ষুদ্র শিল্প/উদ্যোগের সীমা শেষ এর পর থেকে মাঝারি শিল্প/উদ্যোগের নিম্ন সীমা শুরু হবে।
মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ
– ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে “মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ”(Medium Industry/Enterprise) বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ কোটি টাকার অধিক এবং ৩০ কোটি টাকার মধ্যে কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০০-২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে ।
– সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে “মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৫০-১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।
– ব্যবসার ক্ষেত্রে “মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ” বলতে এমন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে ৫০-১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।
– কোনো একটি মানদন্ডের ভিত্তিতে একটি কর্মকান্ড মাঝারি শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হলেও অন্য মানদন্ডে সেটি বৃহৎ শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ কর্মকান্ডটি বৃহৎ শিল্পের/উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
– ম্যানুফ্যাকচারিং/সেবা/ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ স্থায়ী সম্পদের (জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে) মূল্যের ক্ষেত্রে যেখানে মাঝারি শিল্প/উদ্যোগের সীমা শেষ এর পর থেকে বৃহৎ শিল্প/উদ্যোগের নিম্ন সীমা শুরু হবে।
৪. নারী উদ্যোক্তা কারা?
উত্তরঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প নীতি- ২০১০ অনুযায়ী,
“যদি কোন নারী ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বা প্রোপ্রাইটরী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারী বা প্রোপ্রাইটর হন’ কিংবা ‘অংশীদারী প্রতিষ্ঠান’ বা ‘জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত প্রাইভেট কোম্পানীর পরিচালক বা শেয়ার হোল্ডারগণের মধ্যে’ অন্যূন ৫১% (শতকরা একান্ন ভাগ) অংশের মালিক হন তাহলে তিনি নারী শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে পরিগণিত হবেন।”
৫. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কি ধরনের সহায়তা দিচ্ছে?
উত্তরঃ দেশে যাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে তার জন্য সহজ শর্তে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা এবং ঋণের ব্যবস্থাকরেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য “এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ”নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করেছে। এ বিভাগের সরাসরি তত্বাবধায়নে এখন সকল ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ প্রদান করছে। এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি মাইক্রো ও কটেজ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ব্যাংক ঋণ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এ বিভাগটি এসএমই খাতের উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন, মনিটরিং ও তহবিল সরবরাহ করে এবং উদ্যোক্তা গঠন ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
৬. ক্ষুদ্র ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কত?
উত্তরঃ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতে ঋণের সীমা ৫০,০০০ টাকা হতে ৫০,০০,০০০ টাকা (দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে নিম্নসীমা ১০,০০০ টাকা)।
৭. এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কত?
উত্তরঃ এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেরাই সংশ্লিষ্ট খাত/উপখাতে ঋণের হার নির্ধারণ করবে; তবে সুদের হার সহনশীল মাত্রায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় নারী উদ্যোক্তা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রতিবন্ধীকে, কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়ন পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় নতুন উদ্যোক্তাদেরকে এবং মফস্বলভিত্তিক কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে, জ্ঞান ও সৃজনশীল লেখনী প্রকাশ এবং বিপণনের ক্ষেত্রে মাইক্রো ও ক্ষুদ্র এন্টারপ্রাইজকে সর্বোচ্চ ১০% (ব্যাংক রেট + ৫%) সুদহারে ঋণ প্রদানের নির্দেশনা আছে।
৮. এসএমই ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কি কি জামানত প্রয়োজন?
উত্তরঃ ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নোক্ত জামানতসমূহ প্রয়োজন হয়ঃ
ক) হাইপোথিকেশন (মজুদ পণ্য, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি)
খ) মর্টগেজ (স্থাবর সম্পত্তি সমূহ)
গ) ব্যক্তিগত জামানত
ঘ) গ্রুপ জামানত/সামাজিক জামানত
ঙ) পোস্ট ডেটেড চেক।
৯. এসএমই ঋণ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক/অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সাধারণতঃ কি কি কাগজপত্র চেয়ে থাকে?
উত্তরঃ ব্যবসায়ের বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র, দোকান ভাড়া চুক্তিপত্র, ইন্সুরেন্স, জামানতনামা, ব্যবসায়ের মজুদ বিবরণী, ব্যাংক হিসাব বিবরণী, ব্যবসায়ের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ইত্যাদি।
১০. এসএমই এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কি কি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজগুলোর বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যেএসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ নামে একটি নতুন বিভাগ ২০১০ সাল থেকে কাজ করছে। এ বিভাগটি বাংলাদেশের এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক সেবা তথা সামগ্রিক এসএমই উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সম্প্রতি শুধুমাত্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে অর্থায়ন করার বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
১১. এসএমই উদ্যোক্তারা কি কোন কর রেয়াত পাবে?
উত্তরঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প নীতি- ২০১০ এ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য বিদ্যমান কর সুবিধা অব্যাহত থাকার কথা বলা আছে। ২০১৩-১৪ সনের বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বার্ষিক টার্ণওভার অনধিক ৩০.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
১২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কি কি আর্থিক এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (এসএমই খাতে) নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে অধিক প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা জারি করেছে। এর মধ্যে-
ক) পুনঃ অর্থায়ন স্কীমের সমুদয় অর্থের ন্যূনতম ১৫% নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়।
ক) পুনঃ অর্থায়ন স্কীমের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক রেট (বর্তমানে ৫%) + ৫% অর্থাৎ ১০% সুদ হার প্রযোজ্য।
খ) পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতা নারী হলে বা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নারী উদ্যোক্তা হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জামানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২৫.০০ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা পর্যন্তঋণ সুবিধা প্রদান করতে পারে।
গ) অর্থায়নকারী ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রধান কার্যালয়/আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্থাপিত নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট ও নির্বাচিত শাখার মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তার জন্য বিশেষ পরামর্শ ও সেবা কেন্দ্র স্থাপনপূর্বক তাদের সাথে সেবা বান্ধব আচরণ নিশ্চিত করে থাকে । এছাড়াও সকল শাখায় স্থাপিত “Women Entrepreneur Dedicated Desk” নারী উদ্যোক্তাগণকে যাবতীয় পরামর্শ ও ব্যবসা সহায়ক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।
১৩. গ্রুপ ঋণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ গ্রুপভিত্তিক ঋণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য। কোন একক নারী উদ্যোক্তা যদি এসএমই ঋণের সর্বনিম্ন সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে অপারগ হন তবে সমজাতীয় কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা মিলে গ্রুপ গঠনপূর্বক এসএমই ঋণের সর্বনিম্ন সীমা বা ততোধিক পরিমাণ এসএমই ঋণের জন্য ব্যাংকে আবেদন করলে এবং ব্যাংক কর্তৃক উক্ত ঋণ প্রদান করা হলে উক্ত ঋণকে গ্রুপ ঋণ বলে। এ জাতীয় গ্রুপ ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকে পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় পুনঃ অর্থায়ন যোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং বিতরণকৃত সুদের হার সর্বোচ্চ ১০% (ব্যাংক হার + ৫%) বহাল থাকবে। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা, গ্রুপভিত্তিক ঋণের পরিমাণ, ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন, ঋণ মঞ্জুরী, বিতরণ, দলিল সম্পাদন এবং ঋণের সদ্ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়াদি ঋণ প্রদান কারী ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানোর নিজস্ব বিধিবিধান ও ব্যাংকার – গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
১৪. ক্লাস্টার ফাইন্যান্সিং কি?
উত্তরঃ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিশেষ শিল্প গড়ে উঠেছে – যেমন: বগুড়ার লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প, জামালপুরের হস্তও কুটির শিল্প, সিলেটের মণিপুরী তাঁতশিল্প ইত্যাদি। কোন একটি এলাকায় একই ধরনের পণ্য উৎপাদনের জন্য বা পণ্য উৎপাদনে সহায়ক (সংযোগ শিল্প) একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে ঐ বিশেষ এলাকাসমূহকে এক একটি শিল্প ক্লাস্টার বলা হয়। এ ধরণের শিল্প ক্লাস্টারে এক বা একাধিক ব্যাংক কর্তৃক সমন্বিত অর্থায়ন ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রমকে ক্লাস্টার ফাইন্যান্সিং বলা হয়।
১৫. এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে পুনঃঅর্থায়ন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এসএমই খাতে গ্রাহকদের ঋণ প্রদানপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় উক্ত পরিমান ঋণ পুনঃঅর্থায়নের জন্য আবেদন করলে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উক্ত ঋণ অর্থায়নকৃত সময়ের জন্য প্রদান করা হলে তাকে এসএমই ঋণের পুনঃঅর্থায়ন বলা হয়। এসএমই খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ কর্তৃক বেশ কয়েকটি পুনঃঅর্থায়ন স্কীম চালু করা হয়েছে। কয়েকটি স্কীমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে বিশেষ সুদহার প্রযোজ্য হয়ে থাকে; যেমন: ‘স্মল এন্টারপ্রাইজ খাতে পুন:অর্থায়ন স্কীম’ এর আওতায় নারী উদ্যোক্তাদেরকে, কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা উন্নয়ন পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় নতুন উদ্যোক্তাদেরকে এবং ‘কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’ এর আওতায় কৃষিভিত্তিক শিল্পে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০% সুদে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরবরাহকৃত তহবিলের উপর ব্যাংক হারে (বর্তমানে ৫%) সুদ চার্জ করা হয়ে থাকে।
১৬. এসএমই ঋণের জন্য আলাদা কোন শাখা আছে কি?
উত্তরঃ এসএমই ও কৃষি খাতের উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের শাখা খোলার অনুমতি প্রদানের সময় মফস্বল এলাকায় এসএমই ও কৃষি ঋণ শাখা খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করে থাকে। এসএমই ও কৃষি ঋণ গ্রাহকগণকে বিশেষ সেবা প্রদানের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকসমূহের এসএমই ও কৃষি শাখা রয়েছে।
১৭. একজন এসএমই উদ্যোক্তার সাধারণ যোগ্যতাসমূহ কি কি?
উত্তরঃ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে অর্থায়ন পেতে হলে সাধারণত দুই বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, ট্রেড লাইসেন্স ও প্রযোজ্য জামানত থাকতে হয়। তবে উদ্যোগ গ্রহণকারী ব্যক্তির ব্যবসায়ীক জ্ঞান/প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান এবং প্রকল্পের সফলতার সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান একেবারে নতুন উদ্যোগেও অর্থায়ন করে থাকে।
১৮. কনজ্যুমার ঋণ কি এসএমই ঋণ?
উত্তরঃ কনজ্যুমার ঋণ এসএমই ঋণ নয়। ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিগত ভোগের জন্য যে সকল ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে সে সকল ঋণকে কনজ্যুমার ঋণ বলা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন-গাড়ী, ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার, আসবাবপত্র ইত্যাদি কেনা ও ভোগ করার জন্য প্রদত্ত ঋণ কনজ্যুমার ঋণ হিসেবে গণ্য করা হবে। অপরদিকে এসএমই ঋণ ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
১৯. কৃষি ঋণ এবং এসএমই ঋণের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ কৃষি কার্যক্রম যথা-শস্য ও ফসল উৎপাদন, মৎস্য চাষ, প্রাণিসম্পদ পালন, সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, বীজ উৎপাদন ও কৃষিপণ্য গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের জন্য কৃষি ঋণ নীতিমালার আওতায় প্রদত্ত ঋণকে কৃষি ঋণ বলা হয়। অপরদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত উৎপাদনশীল শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাভিত্তিক ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের জন্য প্রদত্ত ঋণকে এসএমই ঋণ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
২০. এসএমই ঋণের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে?
উত্তরঃ এসএমই ঋণ সংক্রান্তযে কোন বিষয়ে জানতে চাইলে এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের ফোকাল কর্মকর্তা ও মহাব্যবস্থাপক জনাব স্বপন কুমার রায় এর সাথে যে কেউ ই-মেইলে (swapan.roy@bb.org.bd) অথবা ফোনে (+৮৮০-২-৯৫৩০৫০২) যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও এসএমই উদ্যোগ ও ঋণ বিষয়ক যে কোন পরামর্শের জন্য উদ্যোক্তাগণ এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। নারী উদ্যোক্তাগণকে বিশেষভাবে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য অত্র বিভাগে একটি Women Entrepreneurs Development Unit চালু রয়েছে এবং এসএমই ঋণ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের Financial Integrity and Customer Service Department এর অভিযোগ কেন্দ্রে (ফোন নং ১৬২৩৬ অথবা ই-মেইল bb.cipc@bb.org.bd) যোগাযোগ করতে পারেন।
২১. কৃষিভিত্তিক শিল্প কি?
উত্তরঃ কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃতভোগ্য ও শিল্প পণ্য প্রস্তুতকারী/উৎপাদনমূখী শিল্পসমূহ কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩১/০৭/২০১২ তারিখের এসএমইএসপিডি সার্কুলার লেটার নং-০১ এ ৩৭টি কৃষিভিত্তিক শিল্প খাত বর্ণিত রয়েছে এবং এর বাইরেও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করা হবে। জাতীয় শিল্পনীতি- ২০১০ এ বাংলাদেশ সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্পকে Trust Sector হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক অর্থায়নের বিপরীতে ’কৃষিজাতপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’ এর আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০% সুদে কৃষিভিত্তিক শিল্পে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করে আসছে।
২২. বাংলাদেশ ব্যাংক হতে কি এসএমই ঋণ দেয়া হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকারের ঋণের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদেরকে ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে সাধারণ জনগণের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে না এবং বাংলাদেশ ব্যাংক হতে এসএমই ঋণ বা অন্য কোন ধরণের ঋণ সরাসরি জনসাধারণকে প্রদান করা হয় না।
সূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক
আমার একটি প্রশ্ন ছিল ,,,
মনে করুন আমি একটি মাছের প্রজেক্ট করব । মাছের প্রজেক্ট করার জন্য ৫ কানি (২০০ শতক , ৪০ শতকে = ১ কানি) পরিমান জমি ১৫ বছরের জন্য আমি লিজে (বন্ধক ) নিব । যার মূল মালিক আমি নই । এই মাছের প্রজেক্ট করার জন্য অনেক টাকা লাগবে , যার ৫০% / ৬০% টাকা আমি ব্যাংক হতে লোন নিতে চাই । লিজে ( বন্ধকী ) নেওয়া স্ট্যাম কাগজকে মটগেজ হিসাবে ব্যবহার করতে পারব কি ? এবং প্রতি শতক জমির আনুমানিক মূল্য ১০০০০০ ( ১ লক্ষ) টাকা হলে আমি কি পরিমান টাকা লোন হিসাবে ফেতে পারি ? ধন্যবাদ ।
লোনের ব্যাপারে বর্নিত বিষয় আর ব্যাংকগুলোর নিয়মে অনেক ব্যবধান যেমন-
১) ব্র্যাক ব্যাংক বর্তমানে এসএমই লোনর জন্য লোন গ্রহিতার ব্লাংক চেক, লোন গ্রহিতার পরিবারের দুইজনের ব্লাংক চেক এবং অনাত্মীয় গ্যারান্টরের ব্লাংক চেক ছাড়া লোন দিতে গড়িমসি করছে, নিজের এবং পরিবারের সদস্যের ব্লাংক চেক দেয়া সহজ কিন্তু অনাত্মীয় গ্যারান্টরের ব্লাংক চেক দেয়া সহজ কাজ নয় তাই অনেকেই লোন নিতে পারছে না।
২) বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক সহ অনেক ব্যাংক অনুমোদিত লোনের ২০% টাকা একাউন্টে জমা রাখতে বাধ্য করছে যারফলে লোন গ্রহিতা ৯% সুদ হারের স্হলে ১৩% সুদ হার দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
৩) এসএমই লোনের কোন প্রকার গ্রেইস প্রিয়ড না থাকায় লোনের টাকা ইনভেস্ট করার আগেই কিস্তি শুরু হয়ে যায়।
৪) ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনেক ব্যাংক লোনের বিপরীতে অনেক ধরনের চার্জ কর্তন করে থাকে যার ফলে লোন গ্রহিতা লাভবান হতে পারে না। মাসিক কিস্তি আদায় হওয়ার কারনে প্রকৃত অর্থে সুদ ৪০% আদায় করা হচ্ছে।
আমি তরুণ উদ্দোক্তা, আমার একটি ক্ষুদ্র গরুর খামার আছে যেখানে ২৫০০০০ টাকা মূল্যের ৩ টি গাভী আছে, গরু মোটাতাজাকরণ খামার করার জন্য আমি ব্যাংকলোন নিতে আগ্রহী কিভাবে ব্যাংক লোন পেতে পারি দয়া করে জানাবেন।
আমার মেকানিক্যাল লেদ মেসিনের ওয়ার্কশপ আছে, যার বর্তমান বাজারে প্রায় ৫ লাখ টাকা দাম। আমি কি ৫ লাখ টাকা লোন পেতে পারি? আমার একটি মেসিনের দরকার।