সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

এস আলমমুক্ত ব্যাংকগুলোতে ছাঁটাই আতঙ্ক

এস আলমমুক্ত ব্যাংকগুলোতে ছাঁটাই আতঙ্ক – দেশের ব্যাংক খাত জুড়ে ব্যাপক ছাটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। চলতি বছর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর, ব্যাংক খাত সংস্কারে হাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি ব্যাংকে আগের পর্ষদ সরিয়ে নতুন পর্ষদ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর মধ্যে ব্যাপক সমালোচিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের কবল থেকে মুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলোতে ছাঁটাই আতঙ্ক বেশি। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আতঙ্কের কথা জানা গেছে।

সূত্র মতে, ব্যাংক কোম্পানি আইন ভেঙে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা নজিরবিহীনভাবে সাতটি ব্যাংক দখলে রেখেছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকও পেয়েছে নতুন গভর্নর। এরপর আলোচিত ব্যাংকগুলোকে সাইফুল আলমমুক্ত করা হয়েছে।

আরও দেখুন:
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন হেলাল আহমেদ

অভিযোগ রয়েছে, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মালিকানা এস আলমের হাতে যাওয়ার পর থেকে ব্যাপক ঋণ অনিয়ম হয়। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়ম করে কোনরকমের পরীক্ষা ছাড়াই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বড় অংশেরই বাড়ি চট্টগ্রাম, বিশেষ করে এস আলমের নিজ উপজেলায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানায় থাকা অবস্থায় অনিয়ম করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এস আলম গ্রুপ। ইতিমধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এসআইবিপিএলসি) বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত পর্ষদের নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্যাংকটির বর্তমান পর্ষদ।

অভিযোগ আছে, পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না। বর্তমানে ব্যাংকটির ৪ হাজার ৭০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ২ হাজার জনই চট্টগ্রামের। ২০২৪ সালে ৫৭৯ কর্মকর্তাকে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

সম্প্রতি এসআইবিএল ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অধিকাংশ চট্টগ্রামের একটি বিশেষ এলাকার। পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি আইনসম্মত ছিল না।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তাদের ইচ্ছেমতো চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, তা এখনো বহাল আছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স, গ্লোবাল ইসলামীসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকও এখন কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button