সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন এক পরিচালক ও ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ শনিবার (২৫ আগস্ট, ২০২৪) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব:) ডাঃ মোঃ রেজাউল হক। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৪ জন হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোরশেদ আলম খন্দকার এবং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট মোঃ আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে এসআইবিএল দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে গত ১৯ আগস্ট বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসব ব্যাংক কৃষি, চলতি মূলধন, সিএমএসএমই, প্রণোদনা প্যাকেজ এবং নিজ ব্যাংকে রক্ষিত এফডিআরের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা দিতে পারবে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন নিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ বা সীমাতিরিক্ত বকেয়া স্থিতির নগদ আদায় ছাড়া বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া যাবে না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এস আল‌মের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এ ছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ নেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প‌রিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। অথচ ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে ব্যাংকটি দেখিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা।

একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির পরিদর্শন টিম ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ পেয়েছে ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটি দেখিয়েছে মাত্র ৬৪ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি ৮ হাজার ৬৩ কোটি টাকা গোপন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button