দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে: গভর্নর
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আইবিবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে ব্যাংকারদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) আইবিবি’র সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন ও ১৪তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন।
আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকারদের ডিপ্লোমা এ মুহূর্তে কতটা জরুরি?
এ সময় তিনি আরও বলেন, পুরস্কার পাওয়া ব্যাংকাররা অর্জিত জ্ঞান ও মননশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবেন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিবি’র সিলেবাস ও পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জনাব আহমেদ জামাল।
এছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীগণ, আইবিবি’র ফেলোবৃন্দ, নতুন সিলেবাস ও রিডিং ম্যাটেরিয়াল প্রণয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, আইবিবি’র প্রাক্তন মহাসচিবগণ এবং পুরস্কার বিজয়ীগণ।
অনুষ্ঠানে আইবিবি’র ২০২০ ও ২০২১ সালের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং সিলেবাসভুক্ত বিষয়ের রিডিং ম্যাটেরিয়াল ওয়েব পোর্টালে আপলোডের মাধ্যমে ই-লাইব্রেরি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আইবিবি’র সিলেবাস ও পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বক্তব্যের শুরুতেই মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন।
এছাড়া ব্যাংকিং পেশার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, অন্যান্য পেশাজীবীদের তুলনায় ব্যাংকারদের জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন। ব্যাংকারদের পেশাগত উৎকর্ষতা সাধনে আইবিবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করছে।
দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) মহাসচিব লাইলা বিলকিস আরা সুবর্ণজয়ন্তীয় মাহেন্দ্রক্ষণে আইবিবি এবং আইবিবি’র সাথে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আইবিবি’র বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ দুই পর্বের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার আয়োজন ও সনদ প্রদান করা। ব্যাংকিং ডিপ্লোমার প্রথম স্তর হলো জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট অব দ্যা ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স (জেআইবিবি) এবং দ্বিতীয় স্তর হলো ডিপ্লোম্যাড অ্যাসোসিয়েট অব দ্যা ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স (ডিআইবিবি)। প্রথমটির লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং বিষয়ে প্রাথমিক ও মৌলিক জ্ঞান লাভ করা এবং দ্বিতীয়টির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান লাভ করা যেন ব্যাংকাররা আরও ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আইবিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মো. সাইফুল ইসলাম এবং তাহেরা তাসমিম।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আইবিবি’র সুবর্ণজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এরপর সুবর্ণজয়ন্তীর কেক কাটা এবং আইবিবি’র সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মনোগ্রাম সম্বলিত বোর্ড উন্মোচন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আইবিবি’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘স্বর্ণতরীর অরিত্র’ শীর্ষক স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।