ব্যাংকারের আত্মপক্ষ: ব্যাংকিং লেনদেনের পরিবর্তিত সময়
মোসলেহ উদ্দিনঃ ব্যাংকিং লেনদেনের পরিবর্তিত সময় ৯টা-৩টা নির্ধারণ করা হয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে। যাতে দিনের আলোয় ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করা যায়। ব্যাংকাররা আপাত: খুশি এই ভেবে যে দিনের আলোয় ব্যাংক থেকে বের হওয়া যাবে। অথচ ব্যাংকারদের স্বার্থ ভেবে এটা করা হয়নি সেটা অনেকে বুঝতে পারছেন না।
এটি করা হয়েছে সরকারি অন্য অফিসের সাথে সময় গড় হিসাবে। বাস্তবতার নিরিখে নয়। যার প্রমাণ হলো ৯টায় ব্যাংক খোলা হলেও সেই প্রথম এক ঘন্টা গ্রাহক থাকে না। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সকল ব্যাংক শাখায় লেনদেন তিনটার মধ্যে শেষ করাও সম্ভব হয় না। গড়পরতা আগের মত চারটা পর্যন্ত লেনদেন করতে হয়।
ফলাফল, ব্যাংকারদের নিট এক ঘন্টা অফিস সময় বেড়ে যাওয়া। চুড়ান্ত বিচারে বিদ্যুৎ ব্যবহারও বেড়ে গেল। যেকোনো ব্যাংক অফিস তা দিনের বেলা খোলা হোক বা রাতে তাতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে খুব একটা হেরফের হয় না।
আমাদের দেশের ব্যবসার ধারাই এমন যে, এটা অফিস টাইম মেনে চলে না। ব্যবসা চলে ব্যবসায়িদের দীর্ঘ দিনের চর্চিত সময় সূচি মেনে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের হিসাব নিকাশ বন্ধ হয় বেশ রাত করে। সঙ্গত কারণে সকালে তা খোলা হয় দেরিতে। আবার তাদের ব্যাংকিং লেনদেনটাও শুরু হয় আরেকটু দেরি করে। ব্যবসায়িগণ ব্যাংকের লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত সেদিনের লেনদেনের সুযোগ নেন। এখন ৩টার সময় ৪টা পর্যন্ত প্রলম্বিত হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে শেষ হচ্ছে আরো পরে। এ ধারা হঠাৎ করে পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
সকালে এক ঘন্টা নিষ্কর্ম কাটিয়ে দিন শেষে আরো এক ঘন্টা বেশি সার্ভিস দেয়ার মাঝে প্রাপ্তির দিকে থেকে না ব্যাংকার লাভবান না রাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট সকলের এটা উপলব্দি করা দরকার সবার আগে।
সময় পরিবর্তনের সুযোগে কাঁটায় কাঁটায় তিনটায় ব্যাংক যারা বন্ধ করতে পারেন তারা চরম সৌভাগ্যবান! মুষ্টিমেয় সেসব সৌভাগ্যবানদের কারিশমাও বুঝা দু:সাধ্য নয়। তবে গ্রাহকের স্বার্থই যেখানে ব্যাংকের স্বার্থ সেসব জায়গায় ব্যাংকারদের খুব কি রিজিট থাকার সুযোগ থাকে?
লেখক: ব্যাংকার, কবি ও ফ্রিল্যান্স রাইটার।