ব্যাংক ইন বাংলাদেশ
ব্যাংক হল এক ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি উদ্যোক্তাদের ধার দিয়ে বিনিয়োগে সাহায্য করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক দায়িত্ব পালন করে থাকে। আধুনিক পুজিঁবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল ও কার্যকর রাখতে এর ভূমিকা অপরিসীম। ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রীয় সঞ্চয়, লেনদেন ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংক ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় সঞ্চিত অর্থ জমা রাখে এবং ঐ অর্থ ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানে ঋণ গ্রহণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদান্তে গ্রাহকের জমাকৃত অর্থের উপর সুদ বা মুনাফা প্রদান করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন ব্যাংকের আবির্ভাব হওয়ায় মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই উপলব্ধি থেকে অর্থব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জন্মলাভ করে। মুদ্রাবাজারকে আপন ইচ্ছা ও গতিতে চলতে না দিয়ে একটি সুসংগঠিত এবং নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং অর্থনীতির কল্যাণ সাধনই এই সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক যা একটি দেশের অর্থ সরবরাহ এবং আর্থিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার হিসাবে কাজ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং দেশীয় আর্থিক ও আর্থিক ব্যবস্থার জন্য সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ, ১৯৭২ (P.O No. 127 of 1972) ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিরূপিত ও পরিচালিত হয়। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে। এটির কার্যনির্বাহী প্রধান গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যতঃ ব্যাংকসমূহের ব্যাংক।
এছাড়া এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে। ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ এবং বাজারে প্রবর্তন এই ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া এটি সরকারের কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯টি অফিস রয়েছে। অফিসগুলো হলো- মতিঝিল, চট্টগ্রাম, সদরঘাট, খুলনা, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন- এখানে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বাংলাদেশের ব্যাংক
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি স্বাধীনতার পর ৬টি জাতীয়করণকৃত কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক এবং ৯টি বিদেশী ব্যাংকের সাথে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮০-র দশকে ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর প্রবেশের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫২টি স্থানীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ৯টি বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক কাজ করছে। যেখানে ৫১টি প্রাইভেট ও ১০ পাবলিক মিলে ৬১টি শিডিউল ব্যাংক এবং ৫টি নন-শিডিউল ব্যাংক সহ মোট ৬৬টি ব্যাংক রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাংকগুলো মূলত দুই ধরনের:
শিডিউল বা তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক
যে সকল ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দিষ্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তাদেরকে শিডিউল ব্যাংক বা তফসিলি ব্যাংক বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। কোন দেশের সবগুলো ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত থাকে না। তালিকার বাইরেও ব্যাংক থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকের নাম তালিকাভুক্ত করে থাকে। তালিকাভুক্ত ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে কিছু বিশেষ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে।
তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক হচ্ছে যারা বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এর ৩৭ ধারানুযায়ী এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত ব্যাংকরূপে ঘোষিত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত। তফসিলি বা তালিকাভুক্ত হওয়ার বিশেষ তাৎপর্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত ব্যাংকের কাঠামো, মূলধন সংরক্ষণ, বিধিবদ্ধ তহবিল, সংরক্ষণ, বিবরণী দাখিল ইত্যাদিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বপ্রকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মেনে চলার অঙ্গীকার করা।
তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, যেমন রি-ডিসকাউন্টিং সুবিধা, মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণ করা, ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার সদস্য হওয়া, ডিপোজিট স্কিম-এর সদস্য হওয়া, আইনগত মর্যাদা লাভ ইত্যাদি। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং দেশীয় ও বিদেশি যেসব বেসরকারি ব্যাংকের তালিকা এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলোর সবই তালিকাভুক্ত ব্যাংক। তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো মূলত ৬ ধরনের:
১. রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক
২. বিশেষায়িত ব্যাংক
৩. বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক
৪. প্রচলিত ব্যাংক
৫. ইসলামিক ব্যাংক
৬. বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক
১. রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুরোপুরিভাবে সরকারি মালিকানা ও পরিচালনার জন্য যে সকল ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যাংক বলে৷ অর্থাৎ যে ব্যাংকের মালিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে।
১. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
২. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
৩. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
৪. জনতা ব্যাংক লিমিটেড
৫. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
৬. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
২. বিশেষায়িত ব্যাংক
যে ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজন ও অর্থনীতির বিশেষ কোনো দিক নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাকে স্পেশালাইজড ব্যাংক বা বিশেষায়িত বাংক বলে। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য যেমন- কৃষি বা শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যাংকগুলো সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন। বাংলাদেশে ৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে।
১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
৩. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
৩. বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্যক্তি মালিকানায়, যৌথ মালিকানায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যাংককে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে৷ যেগুলো প্রধানত ব্যক্তি/ বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন। বাংলাদেশে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে।এই ব্যাংকগুলোকে দুটি গ্রুপে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়ে থাকে:
ক) প্রচলিত ব্যাংক
ব্যাংকের সনাতনী (প্রচলিত) ধারার যে ব্যবস্থাপনা তাই কনভেনশনাল বা প্রচলিত ব্যাংক। বাংলাদেশে ৩৩টি ব্যাংক প্রচলিত ধারায় কাজ করছে। তারা প্রচলিত অর্থাৎ সুদ ভিত্তিক অপারেশনে ব্যাংকিং কার্য সম্পাদন করে। কনভেনশনাল বা প্রচলিত ধারার ব্যাংক ৩৩টি হলো:
১. এবি ব্যাংক লিমিটেড
২. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
৩. ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
৪. বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
৫. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
৬. সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি
৭. সিটি ব্যাংক লিমিটেড
৮. কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
৯. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
১০. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
১১. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
১২. আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
১৩. যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
১৪. মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
১৫. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
১৬. মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড
১৭. মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
১৮. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
১৯. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
২০. ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
২১. এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
২২. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
২৩. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
২৪. পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড
২৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
২৬. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
২৭. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
২৮. সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড
২৯. সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
৩০. সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
৩১. ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
৩২. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
৩৩. উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
খ) ইসলামিক ব্যাংক
ইসলামিক ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা তার মৌলিক বিধান ও কর্মপদ্ধতির সকল স্তরে ইসলামী শরীয়াতের নীতিমালা মেনে চলতে বদ্ধপরিকর এবং তার কর্মকাণ্ডের সকল পর্যায়ে সুদ বর্জন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইসলামিক ব্যাংক দুটি মূলনীতির উপর প্রতিষ্টিত; যথাঃ লাভ ও লোকসানের ভাগ নেওয়া এবং সুদ লেনদেন নিষিদ্ধ। অর্থাৎ ইসলামিক ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যার উদ্দেশ্য হচেছ ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ইসলামের অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতিমালার বাস্তবায়ন করা।
ব্যাংকিং খাতে সুদের নির্মূল করে সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা কায়েমে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশে ১০টি ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে এবং এই ব্যাংকগুলোতে ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক নীতি অর্থাৎ লাভ-লোকসান শেয়ারিং (PLS) মোড অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি ব্যাংক হলো:
১. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
২. এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
৩. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৪. গ্লোবাল ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক)
৫. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড
৬. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
৭. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৮. সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৯. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড
১০. ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড
৪. বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক
যখন কোন ব্যাংক এক দেশে নিবন্ধিত কিন্তু অন্য দেশে এসে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে তখন তাকে বিদেশী ব্যাংক বলে৷ অর্থাৎ বিদেশি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাংককে বিদেশী ব্যাংক বলা হয়৷ ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশে কাজ করছে। ১০টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো:
১. ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড
২. সিটিব্যাংক এন.এ
৩. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন লিমিটেড
৪. হাবিব ব্যাংক লিমিটেড
৫. হংকং এবং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HSBC)
৬. ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান
৭. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
৮. স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
৯. উরি ব্যাংক বাংলাদেশ
নন-শিডিউল বা অ-তফসিলি বা অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক
যে সকল ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম-নীতি মেনে চলার শর্তে এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয় না তাকে নন-শিডিউল ব্যাংক বা অ-তফসিলি ব্যাংক বা অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। অর্থাৎ যে সকল ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয় তাদেরকে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। এরূপ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধি-নিষেধ মেনে চলে না। ফলে তাদের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে না। তালিকার অন্তর্ভুক্ত না হবার কারণে এ সকল ব্যাংকসমূহ সবচেয়ে বড় সুবিধাটি ভোগ করে তা হচ্ছে তারা তারল্য সংরক্ষণের ব্যাপারে কোনরূপ আদেশ-নিষেধ মেনে চলে না।
অপরদিকে তাদেরকে মোট আমানতের একটি অংশ বিধিবদ্ধ তহবিল হিসেবে জমা রাখতে হয় না। ফলে তারা আমানত মূলধন সংরক্ষণ ও ব্যবহারে অধিক সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে তাদের উপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই বজায় থাকে। বাংলাদেশের অ-তফসিলি ব্যাংক ৫টি হলো-
১. আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক
২. কর্মসংস্থান ব্যাংক
৩. গ্রামীণ ব্যাংক
৪. জুবিলি ব্যাংক
৫. পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক