শক্তভাবে খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে হবে
মোঃ জিল্লুর রহমানঃ বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে এবং তিনটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। প্রথমত বড় ধরনের সুপ্ত খেলাপি ঋণ, দ্বিতীয়ত একক অঙ্কের সুদ হারের বাস্তবায়ন এবং তৃতীয়ত করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার চ্যালেঞ্জ। মূলত করোনাপূর্ব ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতিকে ভিত্তিমূল ধরেই সংশ্লিষ্টদের করোনাকাল ও করোনা পরবর্তী ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা, বিনিয়োগ, ঋণ প্রদান, ঋণ আদায় সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রম নিতে হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এসব কার্যাবলী সহজ নয়। কাঙ্খিত সাফল্যের জন্য এখাতের সকল অংশীজনদের আন্তরিকতা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সক্ষমতার প্রশ্ন যেমন জড়িত, তেমনি সকলের স্বচ্ছ, নৈতিক, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও অত্যাবশ্যকীয় এবং এর জন্য পুরো কর্মপদ্ধতির সুশৃঙ্খল জবাবদিহিতাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচ্য।
নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের স্থিতির পরিমাণ ১১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা এবং এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ১৬৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮.৪৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ওই বছরের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আর সেপ্টেম্বরে দাড়ায় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধে কিস্তি না দেওয়ার সুবিধা দিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে যায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এরপর আবার বাড়তে থাকে এবং গত সেপ্টেম্বর শেষে তা দাড়ায় ১ লাখ ১৬৮ কোটি টাকা।
আরও দেখুন:
◾ জামানত নিয়ে ব্যাংকের বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
◾ ঋণ খেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন
আসলে দেশের ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। মূলত ব্যাংক দুর্নীতি, অনিয়ম, ঋণ বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব, সুশাসনের অভাব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিলতা ইত্যাদি বহু কারণে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করলে নানারকম নেতিবাচক চিত্র উঠে আসে। তবে খেলাপি ঋণের স্ম্ফীত চিত্র দেশের ব্যাংক খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের অশনিসংকেত।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, খেলাপি ঋণের সিংহভাগই অবশ্য রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর। জনতা ব্যাংকের ১৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা যা মোট খেলাপি ঋণের ১৪ শতাংশ, সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা যা মোট খেলাপি ঋণের ১০ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের ৭ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা যা মোট খেলাপি ঋণের ৮ শতাংশ, বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা যা মোট খেলাপি ঋণের ৭.৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি এবি ব্যাংকের ৫ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৪৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা যা মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৪৪ শতাংশ। বিশেষায়িত তিন ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ৫০ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণ না কমে বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া। ব্যাংক খাতে মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও আধিপত্যের কারণে খেলাপি ঋণ চিত্র স্ম্ফীত হচ্ছে। এ করোনা পরিস্থিতি এ অবস্থাকে আরও নাজুক করে তুলেছে। কাউকে নতুন করে খেলাপি বলা যাচ্ছে না। ঋণ আদায়ের জন্য কোন জোড়ালো তাগাদা বা কঠিন আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে কোনোই সংশয় নেই যে, মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের দাপট ও আধিপত্যের কারণে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি খেলাপি ঋণের প্রসার ঘটায়। মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার পর তা খেলাপিতে পরিণত করার প্রবণতা শুরুতেই যদি ব্যাংকগুলো রোধ করতে পারত কিংবা এখনও পারে, তাহলে ঝুঁকি এড়ানোর পথ থাকত। এ জন্য জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। জবাবদিহি-দায়বদ্ধতা অভাবে সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকসহ আরও কিছু ব্যাংকের বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সমাজে বস্তুত ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার প্রবণতা এক ধরনের অপসংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি ঋণের বিস্তার ব্যাংকগুলোর ভিত্তিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করছে।
২০০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। আর এখন তা ১ লাখ ১৬৮ কোটি টাকা। একটা সময় ছিল যখন ব্যাংকে টাকা আমানত হিসেবে রাখলে মাত্র ছয় বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে যেত। কিন্তু আমানতকারীদের সেই রমরমা অবস্থা আর নেই। সে জায়গা দখল করে নিয়েছে ঋণ খেলাপিরা। ফলে মাত্র ১২ বছরেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। আর যদি অবলোপন করা ঋণ ধরা হয়, তাহলে তা দেড় লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে যাবে। এখন পর্যন্ত অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এটাকে গোপন খেলাপি ঋণ বলা যায়। তাছাড়া পূণঃতফসিল করে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ ঢেকে রাখা হয়, বছরের পর বছর অপরিশোধিত অবস্থায় থাকে।
ব্যাংকগুলোর ওপর তদারকি ও নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কালক্ষেপণ না করে কঠোর আইন প্রণয়নের বিষয়টি ভাবতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না গেলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে এবং তা ভবিষ্যতে আরও গভীর সংকট সৃষ্টি করবে। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি সুশাসনের প্রভাব ব্যাংক খাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা।
দেশের অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনার দিকে আরও গভীর মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি। এ সত্য অস্বীকার করা যাবে না যে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, বিভিন্ন শিল্প-কারখানাসহ দেশে বড় ধরনের উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়নে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন ছাড়া এত বড় অর্থায়ন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন করা নিশ্চয়ই কঠিন হয়ে দাঁড়াত। ঋণখেলাপি যাতে না হয়, সে জন্য বিদ্যমান নীতিমালার ব্যাপারেও নতুন করে ভাবতে হবে। গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সুতরাং ব্যাংকারদের সৎ থাকা ছাড়া উপায় নেই। রাজনৈতিক ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে ব্যাংকাররা যাতে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
খেলাপি ঋণের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইন যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন বিশেষ বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা। শুধু অর্থঋণ আদালতে এসব মামলার নিষ্পত্তি সময়মতো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাপি ঋণ নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে; কিন্তু কাজের কাজ কতটা কী হয়েছে, সেটা একটি প্রশ্নের বিষয়। সরকারের উচিত জনগণের গচ্ছিত আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাংক খাতকে আমাদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করা।
মূলত, মহামারি কোভিড-১৯ কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসায়ের ওপর কোভিড ১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও শ্রেণিকরণের জন্য বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দিয়েছে।
আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ। তবে এটাও ঠিক যে খেলাপি ঋণ আমাদের দেশের একার সমস্যা নয়, বরং এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বিশ্বের সব দেশেই খেলাপি ঋণ আছে। কোথাও বেশি, আবার কোথাও কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবপ্রাইম মর্টগেজ সংক্রান্ত খেলাপি ঋণ কেলেঙ্কারির কথা অনেকেরই জানা। আবার মাত্র কিছুদিন আগে ভারতের ব্যাংকিং খাতে যে খেলাপি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়েছে তা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তদারকি করার ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা। তাই সেখানে উচ্চ হারের খেলাপি ঋণ মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। ইউরোপের গ্রিস ও ইতালিতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাংকিং খাত এখনো খেলাপি ঋণ সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর থেকেই ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় অনেক কমে গেছে। এই সময়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদনমুখী তাদের পণ্য বিক্রি করতে না পারায় আয় কমে যায়। ফলে তারা ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের আয় কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ের ঋণের টাকাও ফেরত আসেনি। অনেকের বাসা বাড়ি খালি থাকায় হাউজ লোনের কিস্তিও বকেয়া পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই খেলাপি ঋণ বাড়ার কথা। অনেকের সামর্থ্য থাকার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের শিথিলতার কারণে ইচ্ছে করেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করছে না।
তাছাড়া, ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ের জন্য কোন কঠিন পদক্ষেপ বা আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায় পূর্ববর্তী মামলাও কোন গতি আসছে না। ফলে অনেক খেলাপি গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যে সময় পার করছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনা ও ছাড়ের কারণে করোনাকালীন সময়ে খেলাপি ঋণ সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো লুকিয়ে ছিল যা করোনা পরবর্তী সময়ে লাভা উদগীরণ করেছে। তবে করোনা পরবর্তী এসব সুপ্ত খেলাপী ঋণ ব্যাংকিং খাত ও অর্থনীতির জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ এবং যেভাবেই হোক শক্তভাবে এর লাগাম টেনে ধরা দরকার।
মোঃ জিল্লুর রহমানঃ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ফ্রিল্যান্স লেখক।