ব্যাংকিং অ্যালমানাক ব্যাংকের তথ্য ভাণ্ডার
দেশি ও বিদেশি গবেষক, ব্যাংকার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে গবেষণা গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’। তাদের জন্য তথ্যপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃত হবে গ্রন্থটি। সেভাবেই এটি সাজানো হয়েছে। এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গত গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনলাইনের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. নজরুল হুদা, সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. খলিলুর রহমান, পিপিআরসির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তথ্য-উপাত্তে অনেক ক্ষেত্রেই বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মোট হিসাবের সঙ্গে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসাবের তথ্যর সংগতি থাকছে না। এত বিভ্রাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে ভবিষ্যতে। এজন্য তথ্যর একটি ভাণ্ডার রাখা দরকার। আমাদের এই গ্রন্থটি ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে।’
ব্যাংক খাতের সুদহার-সংক্রান্ত উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে সাবেক এ গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে শক্তিশালী অবস্থানে যেতে হবে। সবার চাপ আমলে নিতে গেলে সমস্যা এক সময়ে বড় আকার ধারণ করবে।’
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্রন্থটি অনেক সময় ও গবেষণা করেই তথ্যগুলো সাজানো হয়েছে। এতে সবগুলো ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) বিভিন্ন সূচক তুলে ধরা হয়েছে। আর্থিক সূচক দেখে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
গ্রন্থটির ডিজিটাল সংস্করণের উদ্যোগ নেয়ার আবেদন জানানো হয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। বিষয়টি দ্রুত করা হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন আলোচকরা।
জানা গেছে, গ্রন্থটির সম্পাদনা পরিষদের নেতৃত্ব দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তথা আমানত, ঋণ, পারফরমেন্স, সেবা এবং প্রডাক্টের একটি তুলনামূলক চিত্র এক মোড়কে ফুটে উঠেছে এ গ্রন্থে। দেশের সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেই বিশাল কর্মযজ্ঞের সংকলিত হালনাগাদ তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ গবেষণা এ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নজরুল হুদা বলেন, কভিডকালীন ১০০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। কাজটি সহজ ছিল না। গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচারণা দরকার। তাহলেই এ পরিশ্রম আরও স্বার্থক হবে। সবারই উচিত এটি সংগ্রহ করে রাখা।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্যারের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে কভিডের সময়ে গ্রন্থটি প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। এটিতে অনেক তথ্যকে একসঙ্গে করা হয়েছে। আমরা চাই তথ্যর ধারাবাহিকতা থাকুক। এটি থাকলে-গবেষণা করেই বোঝা যাবে কোন প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতাটা কোথায়।
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ গ্রন্থটির ব্যাপক বিপণনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রত্যেক ব্যাংকের লাইব্রেরিতে যাতে বইটি রাখা হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাককে ব্যাংক আর্থিক খাতের একটি তথ্যকোষ। গ্রন্থটি সম্পর্কে বিশিষ্ট গবেষক, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদদের মতামত সংগ্রহ করলে গ্রন্থটি আরও সমৃদ্ধ হতো।
আরও দেখুন:
◾ বাসেল-৩ বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফসিএ মো. খলিলুর রহমান বলেন, অর্থের অভাবে এ উদ্যোগ যেন থেমে না যায় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও শক্তিশালী সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক ও প্রকল্প পরিচালক ব্যাংকিং অ্যালমনাক আবদার রহমান।