জীবন তরঙ্গ: শিক্ষক থেকে ব্যাংকার হওয়ার গল্প-২
নূরুল ইসলাম খলিফাঃ ৭৯ সালের মাঝামাঝি দু’টো রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো বলা যায় এক সাথে। অবশ্য তখন বাংলাদেশে ছয়টি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকও ছিল না। অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকে প্রবেশনারী অফিসার নিয়োগ করা হবে জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডে। আমরা প্রাথমিক শিক্ষকগণ তখন অষ্টম গ্রেডে। ফার্ষ্ট ক্লাস অফিসার যেমন ম্যাজিষ্ট্রেট এরা ছিলেন জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম গ্রেডে যাদের মূল বেতন তখন সাত শ’ পঞ্চাশ।
ষষ্ঠ গ্রেডের অফিসারদের বলা হতো সেকেন্ড ক্লাস অফিসার যাদের মূল বেতন ছিল ছয় শ’ পঁচিশ। দুটো ব্যাংকেই দরখাস্ত করে দিলাম। রূপালী ব্যাংকটাকে ভাল লাগতো বেশি। কারন হিসেবে বলা যায় আগরপুরে এর একটা শাখা ছিল এবং এর ম্যানেজার এমদাদুল হক সাহেবের সাথে ভাল একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। আমার একটা হিসাবও তিনি খুলে দিয়েছিলেন। অগ্রণী নামটাই আমার কাছে ভাল লাগতো না। কিন্তু বাস্তব ব্যাংকিংয়ে এসে দেখলাম অগ্রণী সকল ক্ষেত্রেই অগ্রণী।
বছরের শেষের দিকে সম্ভবত: নভেম্বর মাসে দু’টো ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার চিঠি পেলাম। দূর্ভাগ্যক্রমে পরীক্ষা একই দিন একই সময়ে। ফলে একটি ব্যাংকের পরীক্ষায়ই অংশ গ্রহনের সুযোগ ছিল। শেষ পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ভাল না লাগলেও কেন সেটাকেই বেছে নিলাম এমন একটা প্রশ্ন তো আসতেই পারে। কারন ছিল- অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল প্রার্থীদের নূন্যতম পাঁচ পয়েন্ট থাকতে হবে তাদের এ্যাকাডেমিক রেজাল্টে।
অর্থাৎ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হলে ৩, দ্বিতীয় বিভাগে ২ এবং তৃতীয় বিভাগে ১ পয়েন্ট। সেই হিসেবে পাঁচ পয়েন্ট পেতে কমপক্ষে দু’টো দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হয় আবেদন করার জন্য। রূপালী ব্যাংকে এই শর্তটা ছিল না শুধু মাত্র গ্রাজুয়েট হলেই প্রার্থী হওয়ার যোগ্য। চিন্তা করলাম, অগ্রণী ব্যাংকে যেহেতু শর্ত দেয়া আছে সুতরাং প্রার্থী সংখ্যা কম হবে। আমার যেহেতু সাত পয়েন্ট আছে তাই মেধাবীদের সাথেই পরীক্ষা দিতে চাই।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ব্যাংকে পরীক্ষা দিয়েছিলাম এর আগে তিনবার। এইচএসসি পাশ করার পরে কৃষি ব্যাংকে জুনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট পদে। ভাইবা শেষ করে বের হতে গিয়ে পেছন থেকে পরীক্ষকদের কমেন্ট কানে আসলো যে, এসব ছেলেরা বেশ ভাল। কিন্তু চাকুরী হয়নি। দ্বিতীয়টি দিয়েছিলাম একই ব্যাংকে সুপারভাইজার পদে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো কারন ছাড়াই এক গ্রেড নীচে অর্থাৎ জুনিয়র ক্লার্ক পদে নিয়োগ পত্র দিল। সেই নিয়োগপত্র বালিশের নীচেই থাকলো।
পরে শুনেছিলাম যে, ইউনিয়নের চাপে নাকি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরাসরি সপ্তম গ্রেডে লোক নিতে অক্ষম হয়ে গিয়েছিল যে কারনে এক গ্রেড নীচে নিয়োগ দিতে হয়েছিল। তৃতীয় পরীক্ষা দিয়েছিলাম জনতা ব্যাংকে জুনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট পদে। ভাল লিখিত পরীক্ষা দিয়েও ভাইবাতে এ্যাটেন্ড করি নাই যে, তদ্বির না থাকলে চাকুরী হবে না এই চিন্তা থেকে। অগ্রণী ব্যাংকেই প্রথম সরাসরি অফিসার পদে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। লিখিত পরীক্ষা বেশ ভালই হলো এবং আমি মোটের উপর সন্তুষ্ট ছিলাম। ভাইবার ডাক পেলাম ১৯৮০ সালের জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারিতে প্রধান কার্যালয়ে ঢাকার মতিঝিলে।
এখানেও একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ভাইবাতে এ্যাটেন্ড করবো না যেহেতু মামু খালু নেই। কিন্তু তাকদীর কি এড়ানো যায়? আমার বাবা বললেন, ‘তোমার চাকুরীর বয়স তো শেষের দিকে। আমার মনে হয়, শেষ পরীক্ষা হিসেবে অংশ নিতে পারো।’ বাবার কথা ফেলতে পারলাম না, আর তাকে ইগনোর করা সম্ভবও ছিল না। তিনি যেমন ছিলেন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, তেমনই ছিলেন সুবিবেচক। আর ভাইবাতে এ্যাটেন্ড করার মধ্য দিয়েই জীবনের মোড় ঘুরে গেল। শিক্ষক থেকে ব্যাংকার হওয়ার গল্পের তরী এখানে এসেই তীরে ভিড়লো।
বাবার নির্দেশে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এলাম অগ্রণী ব্যাংক হেড অফিস মতিঝিলে। ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যান তখন ফজলুর রহমান সাহেব। উল্লেখ্য, তখন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে ম্যানেজিং ডাইক্টেরগণই স্ব স্ব ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ধুক ধুক করা বুকে ইন্টারভিউ দিতে ঢুকলাম ব্যাংকের অষ্টম তলায় নির্ধারিত কক্ষে। এমডি সাহেবই সব প্রশ্ন করলেন। লুৎফর রহমান সরকার সাহেব তখন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার। তিনি পাশে বসা, আরও দু’য়েকজন ছিলেন; কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন করলেন না।
কিছু পারলাম, কিছু পারলাম না একটা ঘোরের মধ্যে শেষ হলো ইন্টারভিউ। চাকুরী হবে এমনটা আশা করলাম না। উনি সব শেষে বললেন, ‘এত কথা কেন জিঞ্জেস করলাম বুঝতে পারো?’ বললাম, ‘না স্যার।’ উল্লেখ্য যে, তিনি সব প্রার্থীকে তুমি বলে সম্বোধন করছিলেন যা সাধারণত ইন্টারভিউ বোর্ডে কেউ করেন না বলেই আমার যতদূর জানা ছিল। তিনি বললেন, ‘দেখলাম কথা বার্তা বলতে পারো কিনা।’ শেষ করে যখন উঠে দাঁড়ালাম, উনি সেই মুহুর্তে আমার লিখিত পরীক্ষার খাতাটি বন্ধ করলেন। আমি দেখলাম লাল কালিতে নম্বর দেয়া ৭৭ সংখ্যাটি আমার খাতার উপর যেন জ্বল জ্বল করছে। পরীক্ষা দিয়ে অবশ্য আমি কমপক্ষে ৭০ নম্বরের আশা করেছিলাম।
ইন্টারভিউ শেষ করে এসে আবার আমার রুটিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ভুলেই গেছি যে, আমি একটি চাকুরীর ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছি। তাছাড়া চাকুরী হবে এমন আশাও আমার তেমন ছিল না। কিন্তু না, আমার আশংকাকে ভুল প্রমান করে দিয়ে মাসখানেকের মধ্যেই নিয়োগপত্র চলে এলো। ষষ্ঠ গ্রেডের অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আপনজন তো বটেই, সহকর্মীদের মাঝেও আমার অবস্থান অনেক উঁচুতে চলে গেল।
আসলে পেশা হিসেবে শিক্ষকতার চেয়ে একজন ব্যাংক অফিসার কি কোনো অংশেই বড় বা মর্যাদা সম্পন্ন কিছু? কিন্তু এমন একটা সমাজ আমরা তৈরী করেছি যেখানে অর্থ বা পদমর্যাদাকেই বড় করে দেখা হয়। আমাকে আমার সহকর্মী এমনকি থানা শিক্ষা কর্মকর্তাও যেভাবে অভিনন্দন জানালেন, মনে হচ্ছিল আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেছি। কর্মজীবন শেষে আজ যখন পিছন ফিরে তাকাই, তখন কুদরাতের মহিমা দেখে বিস্মিত হই।
ব্যাংকিং অঙ্গনে যেটুকুন সেবা আমি দিতে পেরেছি বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং প্রসারে, যদি সেই প্রধান শিক্ষক আমার সাথে এই আচরণটা না করতেন, তাহলে হয়তো আমার এ অঙ্গনে পা রাখা হতো না। হতো না দেশের অধিকাংশ জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের কাছে ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতির দাওয়াত পেশ করা। সম্ভব ছিলনা দেশের কয়েক হাজার শিক্ষিত ও মেধাবী যুবক যুবতীর কাছে ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতির শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি উপস্থাপন করা। কাজেই জীবনের ঘাত প্রতিঘাতগুলোর পিছনে আল্লাহর একটা অভিপ্রায় কাজ করে। শুধু আল্লাহর সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হিসেবে নিতে পারলেই মানসিক উদ্বেগ থাকে না, অন্তত উদ্বেগ উৎকন্ঠা কমে যায়।
প্রথম বিদায় সম্বর্ধনা দিল আমার নিজ কর্মক্ষেত্র আগরপুর প্রাইমারী স্কুল। পিতৃতুল্য যে প্রধান শিক্ষকের কাছে আমি শৈশবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্ত্তি হয়েছিলাম, সেই আবদুল হক স্যারের সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠান হলো। বিদায় বেলায় তার অকৃত্রিম স্নেহ ও ভালবসাপূর্ণ দোয়া আজও মনে পড়ছে। তার বক্তব্য ছিল, ‘ও আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরে, আবার এলো সহকর্মী হিসেবে। আমার বুকে অনেক সাহস এলো। আজকে বিদায় দিতে বুক ভাঙলেও একটা তৃপ্তি আছে। ওকে আমি অনেক উপরে দেখতে চাই এটি আমার স্বপ্ন ছিল।’ আমারও মনে পড়ছিল সেই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্যার হাসতে হাসতে মাঝে মধ্যেই বলতেন, ‘তুই যখন অনেক বড় অফিসার হয়ে যাবি তখন আমরা দেখা করতে গেলে তো বলবি- এ বুড়োকে তো চেনা চেনা লাগে!’ তখন হাসিতে ভেঙে পড়তাম।
আফসোস হয়, মোটের উপর একটি সম্মানজনক পদমর্যাদায় আমি পৌঁছতে পেরেছিলাম; কিন্তু স্নেহপরায়ন সেই মানুষটি আমার কাছে আসার অবকাশ পাননি তার আগেই চলে গেছেন এ জগতের মায়া ছেড়ে। তিনি চলে গেছেন তার সঠিক সময়ও জানতে পারিনি। ব্যাংকের চাকুরীতে প্রচন্ড ব্যস্ততায় সময় কেটেছে, কবে তিনি রিটায়ার্ড হলেন, কবে চলে গেলেন জানি না। শুধু শুনেছিলাম তিনি ইনতেকাল করেছেন। হৃদয় দিয়ে দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে, পরম মমতায় ভরা আমার এ শিক্ষাগুরুকে তুমি তোমার কাছে সম্মান ও মর্যাদা দিও হে রহমান! তার ভুল ত্রুটি মাফ করে দিও গাফুরুর রাহীম!
এর পরে বিদায় সম্বর্ধনা দিল বাবুগঞ্জ থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। খানপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা শিক্ষা অফিসার জনাব নূরুল ইসলাম। ইতোমধ্যে টিইও সাহেবের সাথে একটি হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যা আমি আগেই উল্লেখ করেছিলাম। বিদায় অনুষ্ঠানে আনেক কথাই বললেন, তারিফ করলেন যেটি বিদায় অনুষ্ঠানে সাধারণত: করা হয় আমাদের দেশে।
তবে তার কথাগুলোর মধ্যে একটি কথা এখনও আমার কানে বাজে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস, খলিফা সাহেব জীবনে অনেক বড় পজিশানে যাবেন।’ অনেক বড় পজিশানে যাওয়ার তেমন কি আর হয়েছে। তবে ব্যাংকিং সেক্টরের একটি প্রধান ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে পৌঁছে দিয়েছেন। এটি অর্থ ও ক্ষমতার দৃষ্টিতে বিরাট কিছু না হলেও পেশাগত জীবনে অবশ্যই একটি স্বীকৃতি। মহান প্রভুর দরবারে সবসময়ই আমি কৃতজ্ঞতার মস্তক অবনত রাখি।
সহকর্মীদের বুক ভরা ভালবাসা এবং দোয়া নিয়ে শিক্ষকতা জীবনের ইতি ঘটিয়ে চলে এলাম অবশেষে। ১৯৮০ সালের মে মাসের পাঁচ বা ছয় তারিখে। থানা শিক্ষা অফিসার বুকে জড়িয়ে ধরে বিদায় দিলেন। বললেন, আপনার এখনই রেজিগনেশান লেটার সাবমিট করার দরকার নেই। আগে ব্যাংকে জয়েন করুন, মাস খানেক চাকুরী করুন- সব দেখে শুনে বুঝে পরে সাবমিট করলেও চলবে। মাঝের সময়টা আমি ম্যানেজ করে নিব। প্রয়োজনে আপনি যাতে ফিরে আসতে পারেন তার একটা পথ খোলা থাক। মাস কয়েক পরে সর্বশেষ তার সাথে দেখা হয়েছিল চলন্ত বাসে। তিনি তখন পদোন্নতি পেয়ে শরীয়তপুরের মহকুমা শিক্ষা অফিসার।
উল্লেখ্য যে, তখনও বাংলাদেশে জেলা, মহকুমা ও থানা ভিত্তিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল। সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু ভাল অফিসারদের মধ্যে তিনি একজন বলে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি। জানি না নূরুল ইসলাম সাহেব জীবিত আছেন কিনা। আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সার্বিক কল্যাণ কামনা করি যেখানে যে অবস্থায় থাকেন। যদি ইতোমধ্যেই পাড়ি দিয়ে থাকেন অনন্ত জীবনের পথে, আমি গভীর ভালবাসার সাথেই আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করছি।
এভাবেই সমাপ্ত হলো আমার শিক্ষকতা জীবন এবং ১৯৮০ সালের ৯ মে অগ্রণী ব্যাংক, বরিশাল জোনাল অফিসে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হলো ব্যাংকারের পথ চলা।
লেখকঃ নূরুল ইসলাম খলিফা, সাবেক ডিএমডি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সাবেক প্রিন্সিপাল, ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকাররাই ব্যাংকারদের ক্ষতি করছে
◾ ব্যাংকারদের লেনদেন সময় ও টার্গেট কমানো উচিত
◾ ব্যাংকার হতে চান? আরেকবার ভাবুন
◾ একজন ব্যাংকারের যে সকল গুণাবলী থাকা জরুরী
◾ ব্যাংকারদের দেরিতে অফিস ত্যাগ সিস্টেম নাকি অদক্ষতা