সঞ্চয়পত্র

প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে পারবে না ব্যাংক-পোস্ট অফিস

এখন থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও পোস্ট অফিস কোনো প্রকার প্রতিষ্ঠানের নামে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক (নীতি, অডিট ও আইন, ব্যুরো ও পরিসংখ্যান) মো. শাহ আলম বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্র জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে জাতীয় সঞ্চয় অধিপ্তরের ৭৩টি কার্যালয় ছাড়াও ব্যাংক ও পোস্ট অফিস ৫ শতাংশ কমিশনে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে। কিন্তু সাম্প্রতি আমরা খোঁজ পেয়েছি, ব্যাংক ও পোস্ট অফিসগুলো প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয় না। উদাহারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয়পত্রের অর্থের উৎস।

মো. শাহ আলম বলেন, ব্যাংক ও পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠানের নামে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে গিয়ে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নিয়মগুলো মানছে না। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার জন্য সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সঞ্চয়পত্রকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ প্রমাণ করার জন্য গত দুই বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

পরিবর্তনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আগে একক নামে ৫০ লাখ টাকার তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কেনা গেলেও এখন ৩০ লাখ টাকার বেশি ক্রয় করা যাবে না। এক লাখ টাকার বেশি অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনলে বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) সনদ।

৫০ হাজার টাকার বেশি হলে টাকা জমা দিতে হবে চেকের মাধ্যমে। তারপরও প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। ফলে সুদ পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ২৭৭ কোটি ৬১ লাখ টাকায়, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৫৯ হাজার ৪৬৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার।

২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।

আরও দেখুন:
কৃষকের ধান কেটে দিলেন ব্যাংকাররা
এমডি নিয়োগে ন্যাশনাল ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকারদের পরিবহন বা যাতায়াত ভাতা প্রদানের নির্দেশ
কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার ৮ শতাংশ নির্ধারণ
ইএফটি সমস্যার সমাধান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button